ফাল্গুন মাসের কৃষ্ণপক্ষের চর্তুদশী তিথিতে দেশজুড়ে পালন করা হয় শিবরাত্রি। শনিবার বিকেল থেকে শুরু হয়েছে বিশেষ যোগ। চলবে রবিবার বেলা ৪ টে ১৯ মিনিট পর্যন্ত। শিবরাত্রির উপোস ছেলে-মেয়ে নির্বিশেষে সকলেই করেন। মহাদেবের বিশেষ কৃপা পেতেই এদিন সকলে উপবাস করেন। বলা হয় শিবরাত্রির দিন শিব-পার্বতীর বিয়ে হয়েছিল। আর তাই এই দিনটি খুব শুভ। এদিন মহাদেবের যেমন পুজো হয় তেমনই সঙ্গে কালীকেও মালা নিবেদন করা উচিত। অধিকাংশই শিবরাত্রিতে নির্জলা উপবাস রাখেন। শিবলিঙ্গে জল ঢেলে, অঞ্জলি দিয়ে তবেই উপবাস ভাঙেন। সুগারের রোগী এখন প্রায় সব বাড়িতেই রয়েছে। যে কারণে সুগারের রোগীদের বাড়তি কিছু সতর্কতা অবলম্বন করে চলা দরকার। জল না খেয়ে বেশিক্ষণ খালি পেটে থাকলে রক্তশর্করার পরিমাণ বাড়তে পারে।
খালি পেটে বেশিক্ষণ জল না খেয়ে থাকলে রক্তচাপ বাড়তে পারে। রক্তচাপ বাড়লে প্রভাব পড়ে কিডনির উপরেও। তাই জল না খেয়ে উপবাস করবেন না। অন্য কোনও খাবার খেতে না চাইলেও জল কিন্তু অবশ্যই খাবেন।
যাঁদের সুগার রয়েছে এবং নিয়মিত ভাবে ওষুধ খেতে হয় তাঁদের একেবারে খালিপেটে উপবাস না করাই ভাল। কারণ এতে রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়তে পারে। সেই সঙ্গে চাপ পড়ে কিডনির উপর। তাই চিকিৎসকেরা পরামর্শ দিচ্ছেন উপবাস করলেও হালকা কিছু খাবার খেতে। বিস্কুট, ড্রাইফ্রুটস এসব খেতে পারেন। উপবাস করলে অধিকাংশ ভাত খান না। তাই ভাতের পরিবর্তে ডালিয়া বা সাবুর খিচুড়ি খেতে পারেন। ফল খান। তবে খালি পেটে জুস না খাওয়া ভাল। পরিবর্তে লিকার চা, নুন চিনির জল খান বার বার করে।
তবে উপোস করে বেশি ফল খাবেন না। এতে গ্যাস, অম্বলের সম্ভাবনা থেকে যায়। আর কিছু ফলের মধ্যে প্রাকৃতিক ভাবেই বেশি চিনি থাকে। তাই সেই সব ফল এড়িয়ে যাওয়াই ভাল। এই তালিকায় রয়েছে আম, আনারস, পেঁপে, আঙুর, কলা, খেজুরের মত ফল। তাও শুকনো খেজুর একটা খেতে পারেন চাইলে।
উপোস করলে অনেকেই ডায়াবেটিসের ওষুধ এড়িয়ে যান। যা একেবারেই ঠিক নয়। কারণ ওষুধ না খেলে রক্তশর্করার পরিমাণ বাড়তে পারে। তাই রোজ নিয়ম করে ওষুধ খেতে হবে। ডায়াবেটিসে শরীরকে হাইড্রেট রাখা খুবই জরুরি। তাই ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে রাখতে নিয়মিত ভাবে জল খান। নির্জলা উপবাস করবেন না। চা, লিকার চা, নুন-চিনির জল এসব সময় মাফিক খেয়ে যাবেন। ডিহাইড্রেশন হলে ডায়াবেটিসের রোগীদের শরীরের উপর চাপ পড়তে পারে।