আজকাল অনেকেই অবসাদে ভোগেন। এর অন্যতম কারণ হল, অনেকেই সময়মতো মানসিক চাপ থেকে মুক্তি পাওয়ার চেষ্টা করে না, বরং এটিকে দৈনন্দিন রুটিনের একটি অংশ মনে করে। এর ফলে সমস্যাটি ধীরে ধীরে উদ্বেগ, একাকিত্ব এবং হতাশার দিকে যেতে থাকে। যার ফলে কখনও কখনও পরিস্থিতি গুরুতর হয়। এটা এড়াতে অবশ্যই মানসিক চাপ এবং ব্যক্তিগত জীবনের জটিলতা থেকে বিরতি প্রয়োজন। কখন সেটা নেবেন, তা সময়মতো বুঝতে হবে।
অত্যধিক কাজের চাপ, ব্যক্তিগত জীবনের ভারসাম্য বিঘ্নিত হওয়া বা সম্পর্ক নষ্ট হওয়া এবং কর্মক্ষেত্রে অত্যধিক বিষাক্ততাও মানসিক ক্লান্তির কারণ হতে পারে। কারণ যাই হোক না কেন, এই সমস্ত জটিলতা থেকে বিরতি নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ, যাতে মানসিক অবসাদ স্ট্রেস এবং বিষণ্ণতায় পরিণত না হয়। কোন লক্ষণগুলো দেখে বুঝবেন আপনার এখন বিরতি প্রয়োজন, জানুন।
কোনো কারণ ছাড়াই বিরক্ত বোধ করা- যদি কয়েকদিন ধরে নিজেই অনুভব করেন যে, আপনি ছোটখাটো বিষয় নিয়ে বিরক্ত হয়ে যাচ্ছেন এবং আপনার স্বভাব খিটখিটে হয়ে উঠছে, তাহলে বুঝতে হবে এর কারণ হতে পারে মানসিক অবসাদ। এই পরিস্থিতিতে নিজেকে রোজকার কাজের সমস্যা থেকে কিছুটা মুক্তি দিতে হবে। ব্যক্তিগত জীবনে সমস্যা হলে সেখানে একটি বিরতি নিয়ে নিজেকে সময় দিন। নিজের জন্য সময় বের করা উচিত।
কাজের প্রতি মনোযোগ হারানো- যদি কাজের সময় মনোযোগ দিতে না পারেন এবং কোনও কারণ ছাড়াই মনের ভিতর অশান্তি হয়, তাহলে আপনার বিরতি দরকার।
দুর্বল ঘুম- সঠিক ডায়েট মেনে চলা এবং সম্পূর্ণ ফিট থাকা সত্ত্বেও যদি এনার্জির অভাব অনুভব করা, ক্লান্ত বোধ করা বা ঘুমের ধরনে পরিবর্তন আসে, যেমন- গভীর রাত পর্যন্ত ঘুমোতে না পারা বা বারবার জেগে ওঠার মতো সমস্যার সম্মুখীন হন, তাহলে তা এটি মানসিক সমস্যা বা মানসিক ক্লান্তির কারণ হতে পারে। এই সময়ে নিজেকে কাজ থেকে বিরতি দিন।
মানসিক নিয়ন্ত্রণ হারানো- অনেক সময় আমরা মানসিকভাবে দুর্বল বোধ করতে শুরু করি, অল্পেই কান্না আসে বা রেগে যাই, আবেগ নিয়ন্ত্রণ করতে পারি না। এরকম যদি ক্রমাগত হতে থাকে, কিছুক্ষণ পর দুঃখ, কিছুক্ষণ পর আনন্দ, তারপর কান্না, তারপর বিরক্তি… এগুলি উপেক্ষা করবেন না। এগুলিও মানসিক অবসাদের লক্ষণ।