AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Mental Stress: মানসিক চাপে বাড়ে কর্টি‌সল, কিন্তু কোন লক্ষণে বুঝবেন এই হরমোন শরীরের বারোটা বাজাচ্ছে?

Cortisol Hormone: শুধু যে কর্মক্ষেত্রেই এই ধরনের চাপ রয়েছে, তা নয়। ব্যকপারিবারিক জীবন, সাংসারিক জীবন, অনেক সময় শরীর-স্বাস্থ্য, পড়াশোনা নিয়েও মানসিক চাপ বাড়তে থাকে। কিন্তু দিনের পর দিন মানসিক চাপে ভুগতে থাকে মোটেও ভাল বিষয় নয়। মানসিক চাপে ভুগলে দেহে কর্টিসল হরমোনের ক্ষরণ বৃদ্ধি পায়।

Mental Stress: মানসিক চাপে বাড়ে কর্টি‌সল, কিন্তু কোন লক্ষণে বুঝবেন এই হরমোন শরীরের বারোটা বাজাচ্ছে?
| Updated on: Sep 06, 2024 | 12:18 PM
Share

মন ভাল নেই—এমন পরিস্থিতি আপনার জীবনেও এসেছে। কিন্তু ঘরে-বাইরে কাজের চাপ, উদ্বেগ আর কোথায় যাবে। বর্তমানে জীবনযাপনের অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে মানসিক চাপ। শুধু যে কর্মক্ষেত্রেই এই ধরনের চাপ রয়েছে, তা নয়। ব্যকপারিবারিক জীবন, সাংসারিক জীবন, অনেক সময় শরীর-স্বাস্থ্য, পড়াশোনা নিয়েও মানসিক চাপ বাড়তে থাকে। কিন্তু দিনের পর দিন মানসিক চাপে ভুগতে থাকে মোটেও ভাল বিষয় নয়। মানসিক চাপে ভুগলে দেহে কর্টিসল হরমোনের ক্ষরণ বৃদ্ধি পায়। এখান থেকে বাড়ে অনিদ্রা, ডায়াবেটিস, কোলেস্টেরল, উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা। কিন্তু আপনার দেহে যে কর্টিসল হরমোনের ক্ষরণ বাড়ছে, তা বুঝবেন কীভাবে?

১) মানসিক চাপে ভুগলে কর্টিসল হরমোনের ক্ষরণ বাড়ে। কিন্তু এরও কিছু উপসর্গ শরীরে প্রকাশ পায়। ত্বক স্পর্শকাতর হয়ে পড়ে। ত্বক নিস্তেজ দেখায়। ত্বকে চুলকানি, ব্রণ, র‍্যাশের সমস্যা দেখা দেয়।

২) দেহে কর্টিসল হরমোনের ক্ষরণ বেড়ে গেলে ঘুমের চক্রের উপর প্রভাব পড়ে। রাতে ঘুম আসতে চায় না। তখন আরও মানসিক চাপ বাড়ে।

৩) দেহে কর্টিসল হরমোনের ক্ষরণ বেড়ে মেটাবলিজমের উপরও প্রভাব পড়ে। হজম স্বাস্থ্য দুর্বল হয়ে পড়ে। খাবার ঠিকমতো হজম হয় না। কখনও ওজন বেড়ে যায় আবার কখনও কমেও যায়।

৪) কর্টিসল হরমোনের জেরে ফুসফুসের চারপাশে ডায়াফ্রাম পেশির কার্যকারিতা কমে যায়। তখন ঘন ঘন হেঁচকি উঠতে থাকে।

৫) কিডনির উপরেও কর্টিসল হরমোনের প্রভাব পড়ে। ঘন ঘন প্রস্রাবের বেগ আগে।

কর্টিসল হরমোনের প্রভাব কমাতে হলে মানসিক চাপ কমাতে হবে। তার জন্য দৈনন্দিন জীবনে কিছু বদল আনতে হবে। কী-কী করবেন, রইল টিপস।

১) ঘুম ভাঙা মাত্র ফোনে হাত দেবেন না। এই বদভ্যাস অ্যানজাইটি বাড়িয়ে দেয়। ঘুম থেকে উঠে কিছুক্ষণ প্রাণায়াম করুন। প্রাণায়াম করলে মন শান্ত হয়।

২) নিয়মিত শরীরচর্চা করুন। এতে দেহে এন্ডরফিন হরমোনের মাত্রা স্বাভাবিক হয়। যা মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে এবং মনকে ভাল রাখে।

৩) রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগেও ফোন ঘাঁটবেন না। গান শুনুন কিংবা বই পড়ুন।

৪) মানসিক স্বাস্থ্যকে ভাল রাখতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে খাবার। দেহে কোনও পুষ্টির ঘাটতি না হয় সেদিকে খেয়াল রাখুন। স্বাস্থ্যকর খাওয়া-দাওয়া করুন।

৫) কোনওভাবেই যদি মানসিক চাপ কমাতে না পারেন, সেক্ষেত্রে মনোবিদ বা বিশেষজ্ঞের সাহায্য নিন।