মুম্বইয়ের বাইরে পাহাড়ে দৈনিক ৬ কিলোমিটার দৌড় থেকে শুরু করে মুম্বই হাইওয়েতে বৃষ্টিতে ৫৬ কিলোমিটার দৌড়। মিলিন্দ সোমান প্রকৃত অর্থেই ফিটনেসের অনুপ্রেরণা। স্বাধীনতা দিবসের দিনেও তার কোনো ব্যাতিক্রম হয়নি। বৃষ্টির মধ্যে দৌড়লে ঠাণ্ডা লাগতে পারে এমন জনপ্রিয় বিশ্বাসকে সরিয়ে দিয়ে দৌড়লেন মিলিন্দ। অদম্য মানসিক শক্তিতে ভর করেই বৃষ্টির মধ্যেও জাতীয় পতাকা হাতে নিয়ে মম্বই হাইওয়েতে দৌড়লেন তিনি।
তাঁর সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেলে বলিউড অভিনেতা একটি ছবি এবং ভিডিয়ো শেয়ার করেছেন। ফিটনেস উৎসাহীদের কাছে এটি একটি নিদর্শনীয় মুহূর্ত ছিল। একটি সাধারণ সাদা রঙের গেঞ্জির সাথে কালো হাফপ্যান্ট পরেছিলেন তিনি। গলায় একটি সানগ্লাসও ছিল তাঁর।
তিনি ক্যাপশনে লিখেছেন, “শুভ স্বাধীনতা দিবস জনগণ! মুম্বাই থেকে স্ট্যাচু অফ ইউনিটি পর্যন্ত ৫৬ কিলোমিটারের এই যাত্রায় সামিল হোন। আবহাওয়া অসাধারণ, চারিদিকে শুধুই বৃষ্টি।”
স্বাস্থ্য সচেতনতা নিয়ে কথা বলতে গিয়ে তিনি জানান, “ভারতের স্বাধীনতার ৭৫ তম বছরে আমাদের ঐক্যের প্রতিশ্রুতি নিতে। শান্তিপূর্ণভাবে থাকতে শিখতে হবে আমাদের। একসাথে উদ্যোগ না নিলে আমরা ঐক্যের পথে কোনোদিন পৌঁছতে পারবো না।”
তিনি স্বাস্থ্যকর জীবনের প্রতি উৎসাহ দেখিয়ে তাঁর লেখা শেষ করেছেন। এতে লেখা ছিল, “আরেকটি বিষয় যা আমাদের সক্রিয়ভাবে করা দরকার। তা হল নিজের স্বাস্থ্য এবং ফিটনেসের খেয়াল রাখা। এই বিষয়টি আমরা এই মহামারী চলাকালীন শিখেছি। এতে অনিশ্চয়তা থেকে নিজেকে আগলে রাখতে পারবেন আপনি। ভারতকে সুস্থ রাখার জন্য আমাদের নিজেদের স্বাস্থ্যের খেয়াল রাখতে হবে, একসাথে। বিশ্বের সবচেয়ে স্বাস্থ্যকর দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে হবে ভারতকে। জয় হিন্দ।”
উপকারিতা:
কার্ডিওভাসকুলার ডিজিজের উপর একটি গবেষণা অনুযায়ী,প্রতিদিন ৬ মাইল প্রতি ঘণ্টা বেগেও যদি মাত্র ৫ থেকে ১০ মিনিট দৌড়নো যায় তাতে কেবল দীর্ঘায়ু নয়, হার্ট অ্যাটাক বা মৃত্যুর ঝুঁকিও কমে যায়। স্ট্রোক এবং অন্যান্য কার্ডিওভাসকুলার রোগ আর ক্যান্সারের ঝুঁকিও কমে। আলজাইমার এবং পারকিনসন্স রোগের মতো স্নায়বিক রোগের ঝুঁকিও কমে। গবেষণায় উল্লেখ করা হয়েছে যে, সাধারণত দৌড়বিদদের অকাল মৃত্যুর ঝুঁকি ২৫% -৪০% কমে যায়।
উন্নত ঘুম এবং মেজাজ দৌড়ানোর অন্যান্য ভাল দিক। ডাচ গবেষকদের একটি গ্রুপের মতে, সপ্তাহে ২.৫ ঘণ্টা বা ৩০ মিনিট করে ৫ দিন দৌড়লেই উপরে উল্লিখিত ফলাফলগুলি পাওয়া যাবে। যখন আপনার শরীর এবং মন স্বতঃস্ফূর্ত থাকবে তখন আপনার কাজ করার ইচ্ছেও অনেক বেশি হবে। দৌড় আপনাকে শুধু সতেজ রাখে তাই নয়, আপনার হৃদপিণ্ডকেও সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। রক্তসঞ্চালনের প্রক্রিয়া আরও সুঠাম হয়। এর ফলে আপনার হজম ক্ষমতাও বৃদ্ধি পায়।
আরও পড়ুন: আখের রস ক্যান্সার ছাড়াও আরও নানান রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে