Health Tips: আখের রস ক্যানসার ছাড়াও আরও নানা রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে
আখের রসে চর্বি থাকে না। এতে ভাল পরিমাণে কোলেস্টেরল, ফাইবার এবং প্রোটিনের মত উপাদান থাকে। জেনে নিন কী কী রোগ নিরাময়ে আখের রস গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
গরমের দিনে আখের রসের চেয়ে উপাদেয় পানীয় খুব কমই আছে। ব্রাজিলের পর ভারত বিশ্বের সবচেয়ে বড় আখ উৎপাদনকারী দেশ। আখের দাম সাধারণত ১০ টাকা থেকে শুরু হয়। আখের সবচেয়ে ভালো দিক হল এটা সমস্ত রাজ্যেই পাওয়া যায়। উত্তরপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র, কর্ণাটক, তামিলনাড়ু এবং অন্ধ্রপ্রদেশে আখের প্রধান উৎপাদন।
আখের রসে চর্বি থাকে না। এতে ভাল পরিমাণে কোলেস্টেরল, ফাইবার এবং প্রোটিনের মত উপাদান থাকে। HealthifyMe- এর করা একটি গবেষণায় দেখা গেছে, ২৪০ মিলি নিরেট আখের রসের মধ্যে ২৫০ ক্যালরি এবং ৩০ গ্রাম প্রাকৃতিক চিনি থাকে। আখের রস অন্যতম সেরা স্বাস্থ্যকর পানীয়।
তাৎক্ষণিক শক্তির উৎস:
ইক্ষু শক্তির তাত্ক্ষণিক উৎস। অত্যন্ত গরমের দিনে এক গ্লাস আখের রস পান করুন আর সঙ্গে সঙ্গে কতটা স্ট্রেংথ আপনি অনুভব করতে পারবেন দেখুন। আখ শুধু আপনার শরীরকেই শক্তি দেয় না বরং আপনার শরীরে জলের ভারসাম্যও রক্ষা করে যা গরমের দিনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটি সহজেই হজম হয়ে যায় আর শরীরে সুগারের মাত্রাও ঠিক রাখে।
লিভারের কার্যকারিতা বাড়ায় এবং কিডনির সুস্বাস্থ্য বজায় রাখতে সাহায্য করে:
আখের রস স্বাস্থ্যকর এবং পুষ্টি গ্রহণের অন্যতম শ্রেষ্ঠ প্রাকৃতিক উপায়। এটি জন্ডিসের মতো লিভার-সম্পর্কিত রোগের চিকিৎসার ক্ষেত্রে খুবই উপকারী। ক্ষারীয় প্রকৃতির হওয়ায় আখের রস ইলেক্ট্রোলাইট ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে। আখের রস কিডনির সুস্বাস্থ্য বজায় রাখার জন্যও খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এর মধ্যে স্বাভাবিকভাবেই কোলেস্টেরল কম থাকে।
ক্যান্সারের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সাহায্য করে:
আখের রস ক্যান্সারের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে। এটি ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, পটাশিয়াম, আয়রন এবং ম্যাঙ্গানিজের সমৃদ্ধ উৎস। এগুলি সবই আখকে ক্ষারীয় করে তোলে। এই সমৃদ্ধ উৎসগুলি শরীরকে ক্যান্সার সেলের সাথে লড়াই করতে সাহায্য করে। যদি কোন ব্যক্তি প্রোস্টেট এবং স্তন ক্যানসারের মধ্য দিয়ে যাচ্ছেন, তাঁর ক্ষেত্রেও আখের রস বিশেষ সহায়ক।
ব্রণ এবং ক্যাভিটি নিরাময়ে সাহায্য করে:
আখের রস ত্বকের যাবতীয় সমস্যা দূর করার ক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা পালন করে। এতে গ্লাইকোলিক অ্যাসিড, আলফা-হাইড্রক্সি (AHA) অ্যাসিড থাকে যা সেলের উৎপাদন বাড়ায়। এগুলি ত্বককে এক্সফোলিয়েট করতে এবং ব্রণ হওয়ার সম্ভাবনা দূর করতে সাহায্য করে। আখের রসে ক্যালসিয়াম এবং ফসফরাসের মতো খনিজ পদার্থ থাকে। এর ফলে দাঁতের এনামেল এবং দাঁত মজবুত হয়। ফলস্বরূপ দাঁতের ক্ষয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা অনেক কমে যায়।
পাচনতন্ত্র এবং STDs, UTIs- এ সাহায্য করে:
আখের রসে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম থাকে যা পাকস্থলীতে পিএইচের ভারসাম্য বজায় রাখে। হজমের সমস্যায় ভুগে থাকলে আখের রস খেতে পারেন কারণ এটি হজমের রসের নিঃসরণ বাড়াতে সাহায্য করবে। বেশ কিছু ভিটামিন এবং খনিজের উপস্থিতির কারণে আখের রস পেটের সংক্রমণ রোধেও সাহায্য করে। আখের রস যদি খুব পাতলা করে খাওয়া যায় তাহলে যৌন সংক্রামিত রোগ, কিডনিতে পাথর, মূত্রনালীর সংক্রমণ, প্রোস্টাটাইটিস ইত্যাদি দূর করতে সাহায্য করে।