Monkeypox Outbreak: ২০১৭ সাল থেকেই চুপিসাড়ে ছড়াচ্ছে মাঙ্কিপক্স! DNA-র রিপোর্টে চাঞ্চল্যকর তথ্য

TV9 Bangla Digital | Edited By: দীপ্তা দাস

Jun 10, 2022 | 6:37 PM

Monkeypox DNA Report: বর্তমানে মাঙ্কিপক্সকে এখনও পর্যন্ত হালকা ভাবেই নেওয়া হচ্ছে। তবে শিশু ও দুর্বল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা রয়েছে যাদের, তারা দ্রুত সংক্রমিত দ্রুত হতে শুরু করলে এই কথা মিথ্যে পরিণত হতে পারে।

Monkeypox Outbreak: ২০১৭ সাল থেকেই চুপিসাড়ে ছড়াচ্ছে মাঙ্কিপক্স! DNA-র রিপোর্টে চাঞ্চল্যকর তথ্য

Follow Us

গত ২ জুন পর্যন্ত ২৭টি দেশে প্রায় ৭৮০টিরও বেশি মাঙ্কিপক্স ভাইরাস (Monkeypox Virus) সনাক্ত করা গিয়েছে। তবে সম্প্রতি একটি গবেষণা বলছে, মাঙ্কিপক্স কোনও বিরল ভাইরাস নয়, ২০১৭ সাল থেকেই আফ্রিকার বাইরে নানা দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। ডিএনএ টেস্ট (DNA Report) দেখে এমনটাই মত বিজ্ঞানীদের। পশ্চিম ও মধ্য আফ্রিকায় এই ভাইরাসটি স্থানীয় রোগ হিসেবেই পরিচিত। তবে এই প্রথমবার আফ্রিকার বাইরে ভাইরাসের বাড়বাড়ন্ত দেখে তাজ্জব বনে গিয়েছেন খোদ চিকিত্‍সক বিজ্ঞানীরাই। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এডিনবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের এইন ও’টুলে এবং তাঁর দল একটি প্রতিবেদনে লিখেছেন, ‘বর্তমানে যে প্যাটার্নটি আমরা দেখছি তা অন্তত ২০১৭ সাল থেকে মানবদেহ থেকে মানবদেহে সংক্রমিত হচ্ছে।’

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এই বিরল ভাইরাসকে ‘আনডিটেক্টেড’ হিসেবে চিহ্নিত করেছে। হু-য়ের ডিরেক্টর টেড্রোস আধানম ঘেব্রেইসাস এক বিবৃতিতে জানিয়েছেম, ‘অনেক দেশে একই সময়ে হঠাত করে মাঙ্কিপক্সের আবির্ভাব এটাই ইঙ্গিত দেয় যে, এই ভাইরাস কিছু সময়ের জন্য হু হু করে উপসর্গহীনভাবেই সংক্রমণ ছড়াতে পারে।’

ডিএনএ রিপোর্টে মাঙ্কিভাইরাসে জিনোম সিকোয়েন্সিং পরিচালনা করে দেখা গিয়েছে বর্তমানে যে ভাইরাস দ্রুত গতিতে ছড়াচ্ছে তা ২০১৭ ও ২০১৯ সালের মধ্যে ইজরায়েল, নাইজেরিয়া, সিঙ্গাপুর ও যুক্তরাষ্ট্রের অল্প সংখ্যক মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে পড়েছিল। সেই ভাইরাস সনাক্ত করা গিয়েছে। ওই সময়ের ভাইরাসের সঙ্গে বর্তমান ভাইরাসের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে বলে জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। এই আগের ঘটনাগুলির তুলনায় সর্বশেষ ভাইরাস সংক্রমিতদের ৪৭টি ডিএনএ-র প্যাটার্ন পরিবর্তন হয়েছে। এখানেই রয়েছে চরম ট্যুইস্ট। বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছে, ‘প্রতিবছর প্রায় একটি করে মিউটেশন দ্বারা ধীরে ধীরে মাঙ্কিপক্স বিকশিত হয়ে ছড়িয়ে পড়ছে! ৪৭টি পরিবর্তনের মধ্যে প্রায় ৪২টির ডিএনএ লেটারস T-তে TA, বা GA থেকে AA-তে পরিবর্তিত হয়েছে। APOBEC3 নামে একটি মানব এনজাইম রয়েছে যা তাদের ডিএনএ-তে মিউটেশন প্ররোচিত করে ভাইরাসের বিরুদ্ধে রক্ষা করতে সাহায্য করে। এই ধরনের পরিবর্তনগুলি সেগুলি ধরা পড়েছে বলে রিপোর্ট ধরা পড়েছে।’ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ক্রমশ এই ভাইরাসের সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ছে। ১০টি মাঙ্কিপক্সের মধ্যে তিনটিতে পার্থক্য দেখা গিয়েছে। যদিও এখনও পর্যন্ত ২০১৭ সালে সনাক্ত হওয়া ভাইরাসের সঙ্গে এই তিনটি সম্পর্কিত বলে মনে করছে ইউএস সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন।

তাহলে এই ভাইরাস কোভিডের মত মারণভাইরাস? সুইত্‍জারল্য়ান্ড বার্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের এম হডক্রাফ্ট জানিয়েছেন, ‘আজকে যে ভাইরাসের মধ্যে মিউটেশন দেখা যাচ্ছে, তা কখনওই প্রাণহানির মত ঘটনা ঘটাবে না। এটি একটা সময় গিয়ে ভাইরাসের মৃত্যুও ঘটতে পারে। এই ভাইরাস সাময়িককালের জন্য বিস্তার লাভ করতে পারে, কিন্তু তা কখনও প্রাণঘাতী নয় বা অতিমারির মত অবস্থা ঘটাতে পারবে না। এই ভাইরাসের রূপবদলের ধারা বোঝার জন্য দরকার আরও গবেষণা।’ তবে সময় থাকতে সতর্কতা অবলম্বন করলে এই ভাইরাস মানবদেহ থেকে মানবদেহের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ার সুযোগ হবে না। তাঁর মতে, ‘বর্তমানে মাঙ্কিপক্সকে এখনও পর্যন্ত হালকা ভাবেই নেওয়া হচ্ছে। তবে শিশু ও দুর্বল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা রয়েছে যাদের, তারা দ্রুত সংক্রমিত দ্রুত হতে শুরু করলে এই কথা মিথ্যে পরিণত হতে পারে।’

Next Article