Monkeypox Outbreak: মাঙ্কিপক্সে শিশুদের ঝুঁকি বেশি, এই লক্ষণ দেখলেই সতর্ক হন: ICMR

TV9 Bangla Digital | Edited By: দীপ্তা দাস

May 28, 2022 | 11:45 PM

Monkeypox in India: ইতিমধ্যেই আইসিএমআর-এর তরফে গাইডলাইন প্রকাশ করা হয়েছে। গাইডলাইনে বেশ কিছু অস্বাভাবিক শারীরিক উপসর্গ সম্পর্কেও উল্লেখ করা হয়েছে।

Monkeypox Outbreak: মাঙ্কিপক্সে শিশুদের ঝুঁকি বেশি, এই লক্ষণ দেখলেই সতর্ক হন: ICMR

Follow Us

সমগ্র বিশ্বেই মাঙ্কিপক্সের ( Monkeypox Outbreak) সংখ্যা ক্রমবর্ধমান। ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চ (ICMR)-এর মেডিক্যাল বডি শুক্রবার জানিয়েছে মাঙ্কিপক্স ভাইরাস (Monkeypox Virus) দ্বারা বাচ্চাদের আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা অনেকখানি বেশি। ইতিমধ্যেই একাধিক দেশে মাঙ্কিপক্সের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে যা রীতিমতো উদ্বেগের ব্যাপার! তবে আইসিএমআর-এর গবেষকরা জানিয়েছেন, ভারতে এখনও পর্যন্ত মাঙ্কিপক্সে (Monkeypox in India) একজন আক্রান্তরও খোঁজ মেলেনি! তবে সেই সঙ্গে তাঁরা বলেছেন, তবে পরিস্থিতির দিকে নজর রাখা হচ্ছে ও দেশ তৈরি হচ্ছে অবস্থা মোকাবিলার জন্য। আইসিএমআর-এর চিকিত্‍স- বিজ্ঞানী ডঃ অপর্ণা মুখোপাধ্যায় সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ‘শিশুরা মাঙ্কিপক্স সংক্রমণের প্রতি একটু বেশিই সংবেদনশীল। সংক্রামিত হওয়ার আশঙ্কা কিছুটা হলেও বেশি। বয়স্কদের স্মলপক্সের টিকা দেওয়া হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আতঙ্কিত হওয়ার কোনও কারণ নেই। তবে মাঙ্কিপক্সে আক্রান্তদের থেকে শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখা উচিত।’ ইতিমধ্যেই আইসিএমআর-এর তরফে গাইডলাইন প্রকাশ করা হয়েছে। গাইডলাইনে বেশ কিছু অস্বাভাবিক শারীরিক উপসর্গ সম্পর্কেও উল্লেখ করা হয়েছে। লক্ষণগুলি দেখা দিলে সতর্ক হতে নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে। বিশেষ করে যে সকল ব্যক্তি মাঙ্কিপক্স সংক্রমণপ্রবণ দেশ থেকে ভারতে ফিরেছেন তাঁদের উপর কড়া নজর রাখতে বলা হয়েছে।

মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত হওয়ার লক্ষণ—

• জ্বর, গায়ে প্রচণ্ড ব্যথা, দুর্বলতা দিয়ে রোগ শুরু হয়।

• ফুলে যায় শরীরের একাধিক লিম্ফ গ্ল্যান্ড।

• পক্সের মতো, মুখে এবং হাতে পায়ে র‍্যাশ বেরনো শুরু হয়। পক্সের মতোই জলভরা র‍্যাশ ওঠে।

• র‍্যাশ অপেক্ষাকৃত বড় হয়, পুঁজ হয়, তারপর আস্তে আস্তে শুকিয়ে ঝরে যায়।

র‍্যাশ ঝরে যেতে ২ থেকে ৩ সপ্তাহ লাগে। মুখে হলে স্থায়ী দাগ থেকে যেতে পারে। চোখে হলে দৃষ্টিশক্তি ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা থেকে যায়। সাধারণত বেশিরভাগ রোগী সেরে ওঠেন। শিশুদের বিপদ বেশি। এর সঙ্গে নিউমোনিয়া বা এনকেফেলাইটিস হলে প্রাণ নিয়ে টানাটানিও পড়ে যেতে পারে।ইতিমধ্যে ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গ্যানাইজেশনের তরফে জানানো হয়েছে, যে সমস্ত দেশে মাঙ্কিপক্স দেখা দিয়েছে, সেইসব দেশের উচিত সংক্রমণ ছড়ানো বন্ধ করার জন্য উপযুক্ত নেওয়ার। এছাড়া তাদের কাছে উপযুক্ত সংখ্যায় ভ্যাকসিন আছে কি না সেই নিয়েও সঠিক তথ্য জানানোর পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গ্যানাইজেশনের অধীনস্থ বিশ্বব্যাপী সংক্রামক বিপদসম্পর্কিত প্রস্তুতি’র ডিরেক্টর সিলভি ব্রায়ান্ড জানিয়েছেন, এই রোগের গতিপ্রকৃতি সম্পর্কে পরিষ্কার জানা যাচ্ছে না। দেশগুলিকে আরও সতর্ক হতে হবে যাতে আরও বেশি কেসগুলিকে শনাক্ত করা সম্ভব হয়। সঠিক সময়ে সংক্রামিতদের চিহ্নিত করা গেলে সহজেই অসুখটি ছড়িয়ে পড়া রোধ করা যাবে। গোষ্ঠী সংক্রমণের বিপদ সম্পর্কে তাঁর মতামত, ‘গোষ্ঠী সংক্রমণের আশঙ্কা রয়েছে কিন্তু এই মুহূর্তে দাঁড়িয়ে ঝুঁকি সম্পর্কে আন্দাজ করা কঠিন।’ তিনি আরও বলেন, ‘২০টিরও বেশি দেশে ২০০-এরও বেশি মাঙ্কিপক্স হওয়ার তথ্য আমাদের হাতে এসেছে। আমরা রোগটি সম্পর্কে সামান্য তথ্যই জানি। আমরা বোঝার চেষ্টা করছি, উদ্ভূত পরিস্থিতি কি ভাইরাসের পরিবর্তনের কারণেই হয়েছে কি না! তবে তা সম্ভবত নয়, কারণ ভাইরাসের প্রথমবারের সিকোয়েন্সিং করার সময় দেখা গিয়েছে স্ট্রেনটি সংক্রামিত দেশগুলি থেকে প্রাপ্ত ভাইরাসের স্ট্রেন-এর মতোই। তবে তদন্ত জারি রয়েছে।’

Next Article