ফের নয়া ভাইরাস (Monkeypox Virus) নিয়ে উদ্বেগ শুরু হয়েছে সারা বিশ্বে। এমনকি সেই ভাইরাস ঠেকাতে একটি দেশে লকডাউন ঘোষণাও করা হয়েছে। ফলে আতঙ্ক যে রীতিমত বাড়তে শুরু করেছে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। করোনাভাইরাসের (Coronavirus) জেরে টানা ২ বছর স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিল স্বাভাবিক জনজীবন। কাছের মানুষের সঙ্গেই মুখ দেখাদেখি প্রায় বন্ধ। করোনাভাইরাসের জেরে মানুষের সঙ্গে মানুষের শারীরিক তো বটেই, মানসিক দূরত্বও বেড়ে গিয়েছে। ভ্যাকসিনের কারণে করোনাভাইরাসের প্রকোপ কমলে ভেল্কি এখনও অব্যাহত। তবে এই সবের মধ্যে আবার এক নয়া ভাইরাসের বাড়বাড়ন্তে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। এখনও পর্যন্ত ২০টি দেশে মাঙ্কিপক্সের সংক্রমণ (Rare Virus) হুহু করে বেড়েই চলেছে। এখন প্রশ্ন হল, বিশেষজ্ঞরা যতই বলুন এই ভাইরাসের ভয়াবহতা কোভিডের থেকে অনেকটাই কম, কিন্তু যে হারে ছড়িয়ে পড়েছে, তাতে কপালে ভাঁজ পড়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (WHO)।
ইতোমধ্যে হু-এর গ্লোবাল ইনফেক্শন হ্য়াজার্ড প্রিপারেডনেস-এর ডিরেক্টর সেলভি ব্রিয়ান্ড জানিয়েছেন, জনসাধারণের মধ্যে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে এই বিরল মাঙ্কিপক্স ভাইরাস। করোনার থেকে অনেক কম সংক্রমিত। তাই আগেভাগে আতঙ্কিত হওয়ার প্রয়োজন নেই। এই ভাইরাস নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। তবে এই ভাইরাস মোকাবিলা করার এখনও ভ্য়াকসিন নেই। তবে যাঁরা চিকেন পক্সের জন্য নির্ধারিত ভ্যাকসিন গ্রহণ করেছেন, তাঁরা অনেকটাই নিরাপদ।
অন্যদিকে মাঙ্কিপক্সের কারণে ফের একবার অতিমারির সম্ভাবনা রয়েছে কিনা, সে প্রশ্নও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। এখনও পর্যন্ত ২০টি দেশে ২০০ জনের শরীরে এই ভাইরাল অসুখ ধরা পড়েছে। ভারতে এখনও কোনও ঘটনা সামনে না এলেও সরকার থেকেও আগাম ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। প্রত্যেক রাজ্যকে এই ভাইরাস ঠেকাতে আগাম নির্দেশিকা জারি করে দেওয়া হয়েছে। সম্প্রতি মাঙ্কিপক্স ঠেকাতে কয়েকটি উপায়ের কথা জানিয়েছ স্বাস্থ্য় নিয়ামক সংস্থা (CDC)। এবার সেই উপায়গুলি কী কী, তা একনজরে দেখে নিন…
১. ভাইরাসকে আশ্রয় দিতে পারে এমন প্রাণীর সংস্পর্শ এড়িয়ে চলুন। বিশেষজ্ঞ বলেছেন যে সংক্রমণটি ব্যক্তি থেকে ব্যক্তিতেও ছড়িয়ে পড়ে কিন্তু তার ভয়াবহটা অনেক কম। কারণ এটি মানুষের মধ্যে সহজে ছড়ায় না।
২- যে সব প্রাণী অসুস্থ বা যে সব এলাকায় মাঙ্কিপক্স হয়েছে, সেখানে মৃত অবস্থায় পাওয়া গিয়েছে, এমন প্রাণীদের থেকে এড়িয়ে চলুন। অসুস্থ প্রাণীর সংস্পর্শে থাকা বিছানা, তোয়ালে, গামছার মত জিনিসগুলির সংস্পর্শে আসবেন না।
৩- অন্যদের থেকে সংক্রমিতদের আলাদা রাখার চেষ্টা করুন। সংক্রমণ যাতে ছড়িয়ে না পড়ে তার জন্য ২১দিনের মত ঘরবন্দি বা আইসোলেট করে রাখুন।
৪- সংক্রমিত প্রাণী বা মানুষের সংস্পর্শে আসার পরই ভাল করে সাবান দিয়ে হাত ধুয়ে নিতে হবে। সাবান এবং জল দিয়ে আপনার হাত ধোয়া বা অ্যালকোহল-ভিত্তিক হ্যান্ড স্যানিটাইজার করুন।
৫- রোগীদের যত্ন নেওয়ার জন্য পিপিই কিট ব্য়বহার করা আবশ্যিক।