Monkeypox: আতঙ্কের আরেক নাম মাঙ্কিপক্স! বুঝবেন কীভাবে আপনি সংক্রমিত?

Symptoms of Monkeypox: এটি একটি ভাইরাল জুনোটিক সংক্রমণ, স্মল পক্সের মত, মাঙ্কিপক্স বিরল রোগ। আপাতত, ইউকে-তে ইতিমধ্যেই পর পর কয়েকজন মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত হয়েছেন। এবার ধরা পড়ল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও অস্ট্রেলিয়াতেও।

Monkeypox: আতঙ্কের আরেক নাম মাঙ্কিপক্স! বুঝবেন কীভাবে আপনি সংক্রমিত?
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: May 20, 2022 | 3:01 PM

করোনার (COVID19) আতঙ্ক এখনও কাটেনি। তারমধ্যেই ফের এক সংক্রমণ দেখা দেওয়ায় রীতিমত ত্রস্ত। এর কারণ হল, সম্প্রতি এক মার্কিন নাগরিকের শরীরে ধরা পড়েছে মাঙ্কিপক্সের ভাইরাস (Monkeypox)। নাইজেরিয়া ভ্রমণ করতে গিয়েই বিপত্তি। আপাতত লন্ডনের (London) সেন্ট থমাস হাসপাতালে তাঁকে আলাদা করে চিকিত্‍সা করানো হচ্ছে। চিকিত্‍সকের মতে, ভাইরাসটি একটি সংক্রামিত প্রাণীর মাধ্যমে ব্যক্তির দেহে প্রবেশ করেছে। সম্ভবত সেই প্রাণীটি ইঁদুর হতে পারে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) মতে, মাঙ্কিপক্স ভাইরাস প্রাথমিকভাবে মধ্য ও পশ্চিম আফ্রিকার বিস্তৃণ এলাকায় দেখা যায়। এটি একটি ভাইরাল জুনোটিক সংক্রমণ, স্মল পক্সের মত মাঙ্কিপক্স বিরল রোগ। আপাতত, ইউকে-তে ইতিমধ্যেই পর পর কয়েকজন মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত হয়েছেন। এবার ধরা পড়ল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও অস্ট্রেলিয়াতেও।

কোথায় প্রথম ধরা পড়ে

ইউনাইটেড স্টেটস ভিত্তিক সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল (সিডিসি) অনুসারে, মাঙ্কিপক্স ভাইরাসকে অর্থোপক্স ভিরিডে শ্রেণীতে শ্রেণীবদ্ধ করা হয়।এই রোগটি প্রথম ১৯৫৮ সালে আবিষ্কৃত হয়েছিল। গবেষণার জন্য রাখা বানরের মধ্যে মাঙ্কিপক্স প্রথম আবিষ্কৃত হয়। আফ্রিকাতে ভাইরাসের মানব সংক্রমণ বেশি দেখা যায় এবং মানুষ যখন সংক্রামিত প্রাণীর সরাসরি সংস্পর্শে আসে তখন এটি ছড়িয়ে পড়ে। ১৯৭০ সালে কঙ্গো গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র থেকে মানব সংক্রমণের প্রথম ঘটনা ধরা পড়ে।

মাঙ্কিপক্স কী?

মাঙ্কিপক্স একটি বিরল রোগ। সাধারণত হালকা সংক্রমণথেকে এর তীব্রতা শুরু হয়। আফ্রিকার কিছু অংশে সংক্রমিত বন্য প্রাণী থেকে ধরা পড়ে। এটি প্রথম গবেষণার জন্য রাখা বানরের মধ্যে আবিষ্কৃত হয়েছিল। যুক্তরাজ্যের NHS ওয়েবসাইট অনুসারে এই রোগটি গুটিবসন্তের একটি আপেক্ষিক সংক্রমণ। যার ফলে প্রায়শই মুখে ফুসকুড়ি শুরু হয়।

লক্ষণ

মানুষের মধ্যে মাঙ্কিপক্স ভাইরাস একটি সিস্টেমিক অসুস্থতা এবং ভ্যারিওলার মত ভেসিকুলার ফুসকুড়ি দ্বারা চিহ্নিত করা হয়।  জ্বর, ঠাণ্ডা, পেশী ব্যথা, ক্লান্তি, মাথাব্যথা, ফুসকুড়ি এবং লিম্ফডেনোপ্যাথি (ফোলা লিম্ফ নোড) ইত্যাদি দেখা যায়। ফুসকুড়ি সাধারণত প্রকাশের এক থেকে তিন দিন পরে উপস্থিত হয়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে রোগটি গুরুতর নয় এবং লক্ষণগুলি সাধারণত ১৪-২১ দিন স্থায়ী হয়।

হু-এর মতে, কিছু ক্ষেত্রে রোগ হওয়ার ২১ দিন পরেও লক্ষণগুলি প্রতিফলিত হতে পারে। ইউকে হেলথ সিকিউরিটি এজেন্সির মতে, মাঙ্কিপক্স একটি বিরল সংক্রমণ। তবে এটি সহজেই ছড়িয়ে পড়ে না। সংক্রামিত ব্যক্তির ত্বকের ক্ষত এবং তাদের দ্বারা ব্যবহৃত কাপড়, তোয়ালে, গামছা, জিনিসপত্র এবং বিছানার সংস্পর্শে আসা এড়ানো উচিত।

কোথা থেকে, কীভাবে ছড়িয়ে পড়ে?

মানুষের কাছ থেকে মাঙ্কিপক্স ধরা খুবই অস্বাভাবিক, কারণ এটি মানুষের মধ্যে সহজে ছড়ায় না। কম রান্না করা মাংস বা সংক্রমিত পশুর পশুজাত দ্রব্য খাওয়া থেকেও একজন ব্যক্তি এই রোগে আক্রান্ত হতে পারেন। ভাইরাসটি সাধারণত অন্যান্য প্রজাতির মধ্যে ইঁদুর,কাঠবিড়ালি, গাছ কাঠবিড়ালি থেকে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়তে পারে। মাঙ্কিপক্সের কারণে ত্বকের উপর ফোস্কা বা স্ক্যাব স্পর্শ করার মাধ্যমে বা সংক্রমিত ব্যক্তির কাশি এবং হাঁচির খুব কাছাকাছি যাওয়ার মাধ্যমেও এই রোগটি ছড়াতে পারে বলে জানা গিয়েছে।

মাঙ্কিপক্সের কারণে মৃত্যু কি হতে পারে?

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, মধ্য আফ্রিকা সমীক্ষা চালিয়ে দেখা গিয়েছে যেখানে মানুষের স্বাস্থ্যসেবার কম পরিষেবা রয়েছে, সেখানে এই রোগটি ১০ ​​জন সংক্রমিত ব্যক্তির মধ্যে একজনের মৃত্যু হয়েছে। বেশিরভাগ রোগী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে সুস্থ হয়ে ওঠেন।

চিকিত্‍সা

এখনও পর্যন্ত মাঙ্কিপক্সের জন্য হু-এর অনুমোদিত কোনও চিকিৎসা নেই। তবুও, মাঙ্কিপক্স প্রতিরোধে গুটিবসন্তের টিকা প্রায় ৮৫ শতাংশ কার্যকর বলে প্রমাণিত হয়েছে। শৈশবকালের গুটিবসন্তের টিকা এই রোগের সংক্রমণ এড়াতে সর্বোত্তম উপায়। কোনও উপসর্গ লক্ষ্য করা গেলে দ্রুত চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করুন।

Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি শুধুমাত্র তথ্যের জন্য, কোনও ওষুধ বা চিকিৎসা সংক্রান্ত নয়। বিস্তারিত তথ্যের জন্য আপনার চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন।