ব্রেকফাস্ট দিনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ খাবার। রাতে আমরা অনেকক্ষণ কিছু না খেয়ে থাকি। এই কিছু না খেয়ে থাকার সময়সীমা হয় প্রায় ৬ থেকে ৮ ঘণ্টা। তাই, দিনের কাজের জন্য আপনার প্রয়োজনীয় শক্তি বাড়ানোর জন্য সঠিক ধরনের ব্রেকফাস্ট বিশেষ প্রয়োজন। স্প্রাউট পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ। স্প্রাউটে রয়েছে ভিটামিন এবং মিনারেল। এদের মধ্যে উচ্চ মাত্রায় ফোলেট, ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাস এবং ভিটামিন কে রয়েছে।
এক বাটি স্প্রাউট আপনার খিদে নিমেষে কমিয়ে ফেলতে পারে। যেহেতু এগুলি পুষ্টিকর এবং স্বাস্থ্যকর, আপনি এগুলি সহজেই খেতে পারেন। অস্বাস্থ্যকর এবং জাঙ্ক ফুড খাওয়া থেকে নিজেকে বিরত রাখুন। পুষ্টিবিদ সোনালি সবেরওয়াল স্প্রাউটের সুবিধাগুলি এবং কীভাবে আপনি স্প্রাউট থেকে উপকৃত হতে পারেন তা নিয়ে বিষদে জানিয়েছেন। এছাড়াও কীভাবে আপনার প্রতিদিন সঠিক পরিমাণে ভাগ করে খাওয়া উচিত তাও জানিয়েছেন।
ইনস্টাগ্রাম ফ্যাশন এবং ফিটনেসের জন্য পরবর্তী স্টপ। সোনালি একটি পোস্ট আপলোড করেছেন যা স্প্রাউটের উপকারিতা সম্পর্কে আমাদের বিস্তারে জানায়। তাঁর ক্যাপশনে লেখা আছে, “খাবার হিসেবে খেলে স্প্রাউট আমাদের অনেক বেশি স্ট্যামিনার যোগান দিতে পারে। শরীরে স্প্রাউট প্রোটিনের ঘাটতি মেটাতে সাহায্য করে। এছাড়াও উঁচু মানের এনজাইম কার্যকলাপের জন্য স্প্রাউট সব সময়ই ভীষণ উপকারী।”
সহজে হজম:
স্প্রাউট জটিল পুষ্টিকে সহজে হজমযোগ্য করে তুলতে পারে। স্টার্চকে গ্লুকোজ এবং ফ্রুক্টোজের মতো শর্করাতে পরিণত করে দেয়। এছাড়াও প্রোটিনকে অ্যামিনো অ্যাসিডে ভেঙে দিতে সাহায্য করে। এটি স্যাচুরেটেড ফ্যাটকে সহজ ফ্যাটি অ্যাসিডে পরিণত করতে পারে। এর সঙ্গে স্প্রাউট হজমের জন্য বিভিন্ন ধরনের এনজাইম ধারণ করতে পারে।
ডায়েটের জন্য নিখুঁত:
ডায়েটে থাকা লোকদের জন্য স্প্রাউট একটা আকর্ষণীয় খাবার। এগুলিতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে যা অতিরিক্ত চর্বি জমা করে আর শরীর থেকে বের করে দেয়। ব্রেকফাস্টের জন্য বা স্যালাড আকারে স্প্রাউট খাওয়া খুব ভাল।
প্রোটিনের সমৃদ্ধ উৎস:
স্প্রাউট খাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে শরীরে প্রোটিনের পরিমাণও বৃদ্ধি পায়। উদাহরণস্বরূপ, যদি আপনি মুগের সাথে স্প্রাউট মেশান, তবে মুগের প্রোটিন ক্ষমতা ৩০ শতাংশ বৃদ্ধি পায়। এর কারণ হল, ১০০ গ্রাম মুগে ২৪.৯ গ্রাম প্রোটিন থাকে। কিন্তু স্প্রাউটের সঙ্গে মিশিয়ে খেলে এটি ৩২ গ্রাম পর্যন্ত বেড়ে যায়।
ভিটামিন বুস্টার:
ভিটামিন এ, ভিটামিন সি, ভিটামিন ই, ভিটামিন কে এবং বি-কমপ্লেক্সে সমৃদ্ধ হওয়ায় স্প্রাউটকে ভিটামিন বুস্টার হিসেবে ব্যবহার করা যায়।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা:
স্প্রাউট ব্রকলি, আলফালফা এবং ব্রাসেলসের বীজ অঙ্কুরিত করতে সাহায্য করে। এর ফলে স্প্রাউট এই সবজিগুলোর মধ্যে থাকা ফাইটোকেমিক্যালস যৌগের পরিমাণ বাড়িয়ে তোলে। এগুলি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং বায়োফ্লাভোনয়েডসে সমৃদ্ধ যা ক্যানসার, ডায়াবেটিসের মতো রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে।
আরও পড়ুন: গর্ভাবস্থায় সবচেয়ে প্রয়োজনীয় ৫ টি বিষয়ের দিকে নজর রাখুন