চলতি সপ্তাহে দেশে মিলেছে ওমিক্রনের নতুন প্রজাতি। ওমিক্রনের এই নতুন প্রজাতি হল বিএ.৫.২.১.৭, সংক্ষেপে বিএফ.৭। বিগত কয়েক মাস ধরে করোনার গ্রাফ নিম্নমুখী থাকলেও ওমিক্রনের এই নতুন প্রজাতি উদ্বেগ তৈরি করছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, ওমিক্রন এবং তার নানা সাব-ভ্যারিয়েন্টের মতো এই বিএফ.৭ অতিসংক্রামক। তাই এখনই সচেতন না হলে আবার দেশে করোনার নয়া ঢেউ শুরু হতে পারে।
চিনের মঙ্গোলিয়া প্রদেশে ওমিক্রনের বিএফ.৭-এর প্রথম খোঁজ মেলে। সেখানেও দ্রুত হার ছড়িয়ে পড়ছে বিএফ.৭। আমেরিকা, ব্রিটেন, অস্ট্রেলিয়া ও বেলজিয়ামেও মানুষের শরীরে বিএফ.৭ পাওয়া গিয়েছে। ভারতে গুজরাতে একজনের শরীরে এই ভাইরাস মিলেছে। বিএফ.৭ অভিযোজনের ফলে সৃষ্টি হয়েছে এবং এই ভাইরাস বেশ শক্তিশালী। তাই সংক্রমণ এড়াতে সচেতন থাকার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।
অন্যদিকে, ওমিক্রনের বিএ.২.৭৫ ও বিজে.১ উপ-প্রজাতি রূপ বদলে হয়েছে এক্সবিবি। ওমিক্রনের ‘এক্সবিবি’ উপপ্রজাতি ইতিমধ্যেই বিশ্বের ১৭টি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। গত অগস্টে সিঙ্গাপুরে প্রথম এক্সবিবির হদিশ মেলে। একইভাবে, ওমিক্রনের ‘এক্সবিবি’ উপপ্রজাতিও বেশ শক্তিশালী। এই প্রজাতির ভাইরাসে সংক্রামণ দ্রুত ছড়ায়। সুতরাং, এখানেও যদি সচেতন না হওয়া যায় তাহলে দেখা দিতে পারে আবার একটি ঢেউ।
বিশেষজ্ঞরা সচেতন করেছেন যে, ওমিক্রনের বিএফ.৭, এক্সবিবির ক্ষেত্রে আগে থেকে নেওয়া করোনাভাইরাসের প্রতিষেধক কাজ না-ও করতে পারে। যেহেতু ওমিক্রনের এই উপ-প্রজাতিগুলো অভিযোজনের ফলে সৃষ্টি হয়েছে তাই এই ভাইরাসগুলো খুবই শক্তিশালী। এগুলো মানবদেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে নষ্ট করে দিতে পারে।
দেশের সাম্প্রতিকতম করোনা পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ২ হাজারেরও বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছে করোনায়। পাশাপাশি দেশে বিএফ.৭ নতুন উদ্বেগ তৈরি করেছে। উৎসবের আবহে নতুন আতঙ্ক তৈরি করছে বিএফ.৭। এর মধ্যে আবহাওয়াও পরিবর্তন হচ্ছে। তাই বিএফ.৭-এ আক্রান্ত হলে কী-কী উপসর্গ দেখা দিতে পারে, জেনে রাখুন। এতে আক্রান্ত হলে গলা ব্যথা, মাথা ধরা, নাক দিয়ে জল পড়া, শারীরিক ব্যথা-যন্ত্রণা, শারীরিক ক্লান্তি ইত্যাদি উপসর্গ দেখা দিচ্ছে। যেহেতু এই ভাইরাসের উপসর্গগুলো ঠান্ডা লাগার মতোই তাই অতিরিক্ত সচেতন থাকতে হবে।
এ সব থেকে বাঁচার সবচেয়ে কার্যকর উপায় হল কোভিড স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা। সঠিকভাবে মাস্ক পরা, নিয়মিত স্যানিটাইজার ব্যবহার করা এবং শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখা। যদিও এখন দেশের বেশিরভাগ মানুষ এই স্বাস্থ্যবিধি মানছেন না। কিন্তু রোগ থেকে দূরে থাকতে গেলে এটাই একমাত্র উপায়।