কালীপুজোর ঠিক একদিন পরই হয় ভাইফোঁটার অনুষ্ঠান। তিথির কারণে এবছর দীপাবলির ঠিক ২ দিন পর হচ্ছে ভাইফোঁটা। অনেক বাড়িতে প্রতিপদেও ফোঁটা হয়। ভাই আর বোনের মধ্যে সম্পর্ক অটুট রাখতে এই বিশেষ দিনটি পালন করা হয়। একই ভাবে পালন করা হয় রাখীবন্ধনও। এই দিনে বোনেরা তাদের ভাইয়ের দীর্ঘায়ু কামনা করে পূজা করেন, তাঁর মঙ্গল কামনা করেন এবং ফোঁটা দেন। কথিত আছে, ভাইফোঁটার দিন তিলক লাগালে ভাই দীর্ঘায়ুর পাশাপাশি সুখ-সমৃদ্ধির আশীর্বাদও পায়। সাধারণত প্রতি বছর কার্তিক মাসের শুক্লপক্ষের দ্বিতীয় দিনে পালিত হয় ভাইফোঁটা। তাই একে ভ্রাতৃদ্বিতীয়া বলা হয় । এই দিন দিদি-বোনেরা ভাইয়ের জন্য গুঠিয়ে রান্না করে। জলখাবারে লুচি. ছোলার ডাল, পাঁচ রকমের ভাজা থেকে শুরু করে দুপুরে ফ্রায়েড রাইস, মাংস, পোলাও, মাটন- সে এক এলাহি আয়োজন থাকে। বছরের এই দিনটা বোনের হাতের রান্না খাবার জন্য ভাইরাও অপেক্ষা করে থাকে।
উৎসবের মরশুমে টানা কয়েকদিন ধরেই চলছে দেদার খানাপিনা। দিওয়ালি, কালীপুজো প্রতিদিনই তেল-মশলাদেওয়া খাবার খাওয়া হচ্ছে। এদিও সকাল থেকে চলবে লম্বা খ্যাঁটন পর্ব। আর তাই শরীর যাতে সুস্থ থাকে এবং হজম ভাল হয় তার জন্য খালিপেটেই খান এই সমস্ত পানীয়।
প্রথমে ঘুম থেকে উঠেই খালি পেটে জোয়ান জল খান। বড় এক চামচ জোয়ান জলে ফুটিয়ে সেই জল ছেঁকে খান। এতে খাবার যেমন তাড়াতাড়ি হজম হবে তেমনই শরীর সুস্থ থাকবে। সময়ে খিদেও পাবে।
ঘুম থেকে উঠে সকালে খালি পেটে মেথি আর মৌরি ভেজানো জল খেলেও খুব উপকার হয়। এতে পেট ঠাণ্ডা থাকে। কোনও রকম গোলযোগও হয় না। যেদিন এমন মশলাদার খাবার খাওয়া হবে সেই দিন আগে থেকে মেথি-মৌরির জল খান। এতে সুগারও থাকবে নিয়ন্ত্রণে।
হজমের জন্য সবথেকে ভাল হল জিরের জল। গ্যাস, অম্বল, অ্যাসিডিটির সমস্যায় খুব ভাল কাজ করে এই জল। শরীরে কোনও রকম অস্বস্তি থাকলে তাও দূর করে দেয়। আর তাই রোজ সকালে খান জিরে ভেজানো জল। এতে ওজনও নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। ভুঁড়ি বাড়ে না। ভাইফোঁটার দিন দুপুরেব খাওয়া দাওয়ার পর যদি অস্বস্তি হয় তখনও খেতো পারেন এই জল।
আদা দিয়ে গ্রিন টি বানিয়ে খান বারবার। সঙ্গে একটু গোলমরিচের গুঁড়োও দিতে পারেন। এতে হজম হয় ভাল। গ্যাস, অম্বল হয় না। গ্রিন টি খিদে চেপে দেয়। ফলে প্রয়োজনের অতিরিক্ত খাওয়া হয় না।