Omicron: ডেল্টার থেকেও ৭০ গুণ দ্রুত সংক্রমিত হয় ওমিক্রন যদিও তীব্রতা কম, বলছে সমীক্ষা
Omicron Infects: ওমিক্রনের রোগ লক্ষণ তেমন প্রকট না হলেও ডেল্টার থেকে তা ৭০ গুণ বেশি সংক্রামক। অনেক তাড়াতাড়ি ওমিক্রণ ছড়িয়ে পড়ছে। এখনও পর্যন্ত হাসপাতালে রেখে চিকিৎসার প্রয়োজন না পড়লেও একে কিন্তু হালকা ভাবে নেওয়া ঠিক নয়
ডেল্টা এবং কোভিডের প্রথম স্ট্রেনের তুলনায় ৭০ গুণ বেশি সংক্রামক ওমিক্রন। সংক্রমণ খুব তাড়াতাড়ি ছড়িয়ে পড়লেও তার তীব্রতা কিন্তু কম। বেশিরভাগই উপসর্গহীন। সমপ্রতি হংকং বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে একটি গবেষণা প্রকাশিত হয়েছে। সেই গবে,ণায় ছিলেন বেশি কিছু আফ্রিকার চিকিৎসকও। ওমিক্রন সংক্রমণ প্রথম ধরা পড়ে দক্ষিণ আফ্রিকাতেই। তবে সেই সব সংক্রিমতদের মধ্যে রোগ-লক্ষণ খুব একটা প্রকট ছিল না।
হংকং বিশ্ববিদ্যালয়ের এই গবেষণায় দেখা গিয়েছে, যিনি ওমিক্রনে আক্রান্ত হয়ছেন তাঁর শরীরে ২৪ ঘন্টা পর্যন্ত থাকছে সেই ভাইরাস। এবং সেই সময়কালে তিনি কিন্তু সুপার স্প্রেডার। সেই সঙ্গে ওমিক্রনও প্রথম আঘাত করছে ফুসফুসেই। ফুসফুসের টিস্যুতে মিলেছে ভাইরাসের হদিশ। মাইকেল চ্যান চি ওয়াই এর নেতৃত্বে হয় এই পরীক্ষা। তবে সব চিকিৎসকরাই বলেছেন, ওমিক্রনের ভাইরাস যত দ্রুত একজনের থেকে অন্যজনের শরীরে ছড়িয়ে পড়ে তত দ্রুত কিন্তু ফুসফুসের ক্ষতি করে না। কারণ শরীরে এই ভাইরাসের স্থায়িত্ব কিন্তু খুবই কম। যদিও বিষয়টি নিয়ে এখনও সমীক্ষা চলছে।
ওমিক্রন কতটা সংক্রমণযোগ্য, কতটা ভংকর হতে পারে এর পরিণতি এর জন্যই কিন্তু চিন্তিত চিকিৎসকরা। আর তাই সেই খোঁজেই গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছেন তাঁরা। দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রথম ২৪ নভেম্বর ধরা পড়ে ওমিক্রনের সংক্রমণ। এরপরই দক্ষিণ আফ্রিকার তরফ থেকেই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কাছে প্রথম রিপোর্ট পেশ করা হয়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এই ভাইরাসকে কোভিডের স্ট্রেন হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার পর থেকেই নানা দেশে ছড়িয়ে পডতে থাকে ওমিক্রন। ইতিমধ্যেই ৭৭ টি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে সংক্রমণ। হংকং থেকেও যে সব সমীক্ষা হয়েছে তাতেও উঠে এসেছে এই একই তথ্য। ওমিক্রনে আক্রান্ত হওয়ার পর এখনও পর্যন্ত কাউকেই হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়নি। কারণ সকলেরই রোগ-লক্ষণ মৃদু।
তবে নতুন এই ভ্যারিয়েন্ট ততটা ভয়ংকর না হলেও কিন্তু সকলেই যাবতীয় সতর্কতা অবলম্বন করছেন। কোভিডের তৃতীয় ঢেউয়ে বিপর্যস্ত অবস্থা ছিল ভারতের। অক্সিজেনের অভাবে প্রচুর মানুষের মৃত্যু হয়েছে। আর তাই সিঁদুরে মেঘ দেখেই ভয় পাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। আর্ন্তদেশীয় উড়ানের উপর যেমন নিষেধাজ্ঞা জারি রয়েছে তেমনই ভ্রমণের ক্ষেত্রেও রয়েছে নিষেধাজ্ঞা। তবে গবেষকরা এটাও বলেছেন যে, ধীরে ধীরে অন্যান্য পাঁচটা ভাইরাসের মতই হয়ে যাবে কোভিডের উপসর্গ। এবং মানুষও তখন এই ভাইরাসের বিরুদ্ধে সহজেই লড়াই করতে পারবেন। তবে ওমিক্রনকে যাতে কোনও ভাবেই অবহেলা না করা হয় সেই ব্যাপারে কিন্তু বারবার সতর্ক করেছেন তাঁরা। হতেই পারে যে এরপর চূড়ান্ত আকার নিয়েই বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়ল ওমিক্রন।
যাঁদের অন্য কোনও শারীরিক সমস্যা রয়েছে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম, দীর্ঘদিন ধরে কোনও রোগের শিকার তাঁদের ক্ষেত্রে কিন্তু ওমিক্রনের প্রভাব হতে পারে মারাত্মক। এখনও পর্যন্ত যে ভ্যারিয়েন্টের খোঁজ মিলেছে তার জন্য কিন্তু কোভিডের দুটো টিকার ডোজই যথেষ্ট নয়। যে কারণে সকলেই বারবার বুস্টার ডোজের প্রতি সওয়াল করেছেন। কারণ শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলাই এখন একমাত্র লক্ষ্য।