Mental Health of Parents: ৫ বছর বয়সি শিশুর বায়না বাড়ে চারগুণ! সন্তানকে সামাল দিতেই মারাত্মক মানসিক চাপে বাবা-মায়েরা

TV9 Bangla Digital | Edited By: দীপ্তা দাস

Oct 26, 2022 | 7:20 AM

Children Stress: বাচ্চাদের ঘুম পাড়ানো, পড়ানো, ওদের সঙ্গে খেলা, ওদের খাবারের ব্যবস্থা করা, স্বাস্থ্যের খেয়াল রাখার মতো কাজগুলি অত্যন্ত মানসিক চাপ উৎপাদক। তবে আরও বহু কাজ আছে যেগুলি অন্তত দিনে ছয়বার প্রতিটি শিশুর বাবা-মা’কে ভয়ঙ্কর মানসিক উদ্বেগের মুখে ঠেলে দেয়। উদ্বিগ্ন পিতা-মাতারা জানাচ্ছেন, পাঁচ বছর বয়সে বাচ্চাদের বায়নাক্কা সবচাইতে বাড়ে! অন্তত সমীক্ষায় তেমনটিই প্রকাশ পেছে!

Mental Health of Parents: ৫ বছর বয়সি শিশুর বায়না বাড়ে চারগুণ! সন্তানকে সামাল দিতেই মারাত্মক মানসিক চাপে বাবা-মায়েরা

Follow Us

সম্প্রতি ২০০০ মা ও বাবার উপর করা এক সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে প্রতিদিন খুদে সন্তানেরা তার পিতা-মাতাকে এমন তিতিবিরক্ত করে যে তাঁরা পালাবার পথ পান না। কী কী সেই কাজ? সমীক্ষায় দেখা যাচ্ছে, বাচ্চাকে স্নান করানো, হোমওয়ার্ক শেষ করানো এবং স্ক্রিন টাইম কম করার সময়ে ঝামেলা ওঠে চরমে। এছাড়া ওদের সঠিক সময়ে ঘুম পাড়ানো, সঠিক ও পুষ্টিকর খাদ্য খাওয়ানো, বাড়ি থেকে বের করা ও বাড়িতে সঠিক সময়ে ফেরানোর বিষয়গুলিও সমীক্ষার আওতায় রয়েছে। দেখা গিয়েছে, এভাবে সব মিলিয়ে দিনে মোট ছয়বার শিশুরা তার বাবা-মায়েদের ভয়ঙ্কর মানসিক চাপের মুখে ফেলে দেয়। এছাড়া বাবা-মায়েদের মতে পাঁচ বছর বয়স হলে শিশুদের বায়না করার প্রবণতা বেড়ে যায়। বিপিএমই অ্যাপ দ্বারা চালিত ওই সমীক্ষায় প্রকাশ পেয়েছে, ব্রিটিশ বাবা-মায়েদের পক্ষে দিনে অন্তত একবারও ক্রোধান্বিত না হয়ে সমগ্র দিনটি কাটানো একেবারেই অসম্ভব হয়ে যায়।

সমীক্ষায় বাবা-মায়েরা জানিয়েছেন, পায়ে পায়ে বাচ্চা ঘুরলে একটা সোজা কাজও পাহাড় ভাঙার শামিল হয়ে যায়। এমনকী গাড়িতে তেল পোরার মতো সহজ কাজও হয়ে যায় দ্বিগুণ শক্ত। এছাড়া বাবা-মায়ের অসতর্কতার সুযোগে বাচ্চারা ভয়ঙ্কর সব কাজ করে যেমন মিষ্টি চুরি করে খাওয়া, মেক আপ বক্স থেকে অ্যাকসেসরিজ ঘেঁটে ব্যবহার করা, মাথায় প্যান্ট পরে নেওয়া ইত্যাদি।

তার সঙ্গে যোগ হয় সুন্দর দেওয়ালে রং পেন্সিল দিয়ে আঁকিবুঁকি কাটা। দেওয়াল ছাড়াও কার্পেটেও কেউ কেউ আঁকতে পছন্দ করে। কেউ কেউ আবার পোষ্যের গায়েও রং করে। কেউ আবার নিজেকেই করে নেয় ক্যানভাস। এছাড়া একাধিক বাচ্চাকে চকোলেট খেতে দিলে তারা সেই চকোলেট মুখে পোরার চাইতে মুখে মাখতেই বেশি পছন্দ করে।

কোনও কোনও বাচ্চাকে আবার নিজের বিছানায় শোওয়ালেও শেষে ঘুমোতে যায় কুকুরের জন্য নির্দিষ্ট বিছানায় বা লন্ড্রি বাকেটে।

সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, বাবা-মায়েরা মনে করেন সবচাইতে বেশি দুষ্টুমি বাচ্চারা বাড়িতেই করে (৪৬ শতাংশ)। এছাড়া দোকানেও তারা শয়তানি করে (১৩ শতাংশ)। এমনকী রেস্তোরাঁতেও তাদের খেল দেখা যায় (১০ শতাংশ)।

৮২ শতাংশ বাবা-মায়েরা জানিয়েছেন, নজর না দিলেই বাচ্চারা বেশি দুষ্টুমি করে। কিছু বাবা-মা আরও জানাচ্ছেন, জীবনে বাচ্চা আসার আগে অনেক কাজে সময় কম লাগত। সেই তুলনায় বাচ্চা আসার পর সদর দরজা দিয়ে বেরনোর জন্য তাদের ১২ মিনিট বেশি খরচ হয়, ১৪ মিনিট খাবারের দোকানে এবং ১১ মিনিট বেশি খরচ করতে সকালের পোশাক পরার জন্য।

খুদের সঙ্গে কুস্তি লড়তে গিয়ে প্রাতঃরাশ তৈরিতে দৈনিক বাড়তি ১২ মিনিট সময় লাগে। এমনকী দোকানে যেতেও ১১ মিনিট বাড়তি খরচ হয়।

বাবা-মায়েরা দেখেছেন সারাদিনে মোটামুটি ৪০ মিনিট তাঁরা অত্যন্ত বিচলিত বোধ করেন। এছাড়া মাসে ৮ দিন অন্তত তাঁরা ছোট্ট একটা বিরতি চান বা মি-টাইমের জন্য আকুল হয়ে যান। বাঙালি পাঠকরা মিলিয়ে দেখুন আপনার খুদের কাজকর্মের সঙ্গে সমীক্ষার মিল কতখানি।

 

Next Article