বাড়ছে কোভিডের সংক্রমণ। প্রতিদিনই বিশ্বজুড়ে প্রচুর মানুষ আক্রান্ত হচ্ছেন। কোভিডের ( Covia-19)আগের দুটো ঢেউতে বেশিরভাগ মানুষই পড়েছিলেন শ্বাসকষ্টজনিত ( Respiratory) সমস্যায়। সেই সঙ্গে শরীরে অক্সিজেনের মাত্রাও কমে গিয়েছিল। যে কারণে মৃত্যুহার বেশি ছিল। এমনকী প্রচুর সংখ্যক মানুষকে হাসপাতালে রেখে চিকিৎসা করাতে হয়েছিল। তবে এবার যাঁরা আক্রান্ত হচ্ছেন তাঁরা কিন্তু বাড়িতেই থেকে সুস্থ হয়ে উঠছেন। এমনকী রোগ লক্ষণও তেমন জটিল নয়। সাধারণ ফ্লু, সর্দি-কাশির সঙ্গে ওমিক্রনের (asymptomatic omicron) তেমন কোনও ফারাক নেই। যে কারণে অনেকেই সময়ে তা পরীক্ষা করাচ্ছেন না। আর সেখান থেকে বাড়ছে উপসর্গহীন আক্রান্তের সংখ্যাও। সাধারণত ওমিক্রনে আক্রান্ত হলে ৪ থেকে ১৫ দিনের মধ্যেই লক্ষণ প্রকাশ পায়।
এবারে যাঁরা ওমিক্রনে আক্রান্ত হচ্ছেন তাঁদের বেশিরভাগের ক্ষেত্রেই থাকছে লং কোভিডের সমস্যা। শ্বাসকষ্ট, কাশি, কফ, পেট ব্যথা, ডায়ারিয়া, মাথা ব্যথার মত সমস্যা থেকে যাচ্ছে দীর্ঘদিন ধরে। অনেকের ক্ষেত্রে মাথা ব্যথার মত সমস্যাও থাকছে। আর তাই এই সময় পর্যাপ্ত বিশ্রাম, খাওয়াদাওয়া এবং ঘুমের পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।
অতিরিক্ত দুর্বলতা মোটেই শরীরের জন্য ভাল নয়। মাথা ঘোরার মত সমস্যা দীর্ঘদিন থেকে গেলে সেখান থেকে আসতে পারে অন্যান্য শারীরিক জটিলতা। বাড়ির বাইরে বেরোনোই তখন সমস্যার হয়ে দাঁড়ায়। সব সময় মনে হয় সবকিছু দুলছে। অতিরিক্ত দুর্বলতা কিংবা ডিহাইড্রেশন থেকেই আসে এই সমস্যা। তবে মাথা ঘোরার কারণ অনেক কিছুই হতে পারে। কিন্তু কোভিড পরবর্তী সময়ে যদি এই সমস্যা বাড়ে তাহলে কিন্তু অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। হতে পারে তা ভাইরাসের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া। আর এই সমস্যা কিন্তু রোজকার জীবনযাপনেও প্রভাব ফেলে।
অতিরিক্ত পরিশ্রম হলে মাথা ঘোরার সমস্যা থেকেই যায়। তাই কোভিড সংক্রণের থেকে সেরে ওঠার পরপরই শরীরে অতিরিক্ত চাপ দেবেন না। অনেকেই বেশকিছুদিন ঠিকমতো হাঁটতে পারেন না। এমনকী অনেকেরই কানে শোনার সমস্যা, চোখে অতিরিক্ত চাপ পড়া, মাথাব্যথা এসব অনেকদিন পর্যন্ত থেকে যায়। করোনার প্রকোপে শরীরের অভ্যন্তরীণ অনেক রকম অসুবিধে হয়। যা প্রাথমিক ভাবে বোঝা যায় না। সব সময় যে শুধুই তা শ্বাসযন্ত্রে প্রভাব ফেলে এমন নয়। ওমিক্রনের সংক্রমণ তাড়াতাড়ি সেরে যাচ্ছে বলে এমন নয় যে ১৫ দিন পর থেকেই সব আগের মত শুরু করে দেবেন। বিশ্রাম নিন, পর্যাপ্ত খাওয়া-দাওয়া করুন। সেই সঙ্গে কিন্তু ঘুমও ভীষণ জরুরি। প্রোটিন বেশি করে খান। ফল, মাংস, সবজি এসব বেশি করে খাওয়া, পর্যাপ্ত পরিমাণে জল এসব কিন্তু অবশ্যই মনে করে খাবেন।
Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি শুধুমাত্র তথ্যের জন্য, কোনও ওষুধ বা চিকিৎসা সংক্রান্ত নয়। বিস্তারিত তথ্যের জন্য আপনার চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন।