Autoimmune Disease: থাইরয়েড কিংবা রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিসের সমস্যায় সবচেয়ে ভাল কাজ করে ভিটামিন ডি ও মাছের তেল! বলছে সমীক্ষা
মেয়েদের ক্ষেত্রে এই সমস্যা কিন্তু সবচেয়ে বেশি। এছাড়াও বেশিরভাগ মেয়ে ভিটামিন ডি ডেফিসিয়েন্সি-তে ভোগেন। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এই সমস্যাও বাড়ে
একটা বয়সের পর বেশিরভাগ মেয়েই থাইরয়েড, রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস (Arthritis)- এর সমস্যায় ভোগেন। বেশিরভাগের ক্ষেত্রেই কমে যায় রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা। আর যা মূলত অটোইমিউন রোগ নামে পরিচিত। নতুন গবেষণা অনুসারে এই অটোইমিউন রোগের ক্ষেত্রে সবচেয়ে ভাল কাজ করে ভিটামিন ডি এবং ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড। আর তাই নিয়মিত ভিটামিন ডি খেতে পারলে এই রোগের ঝুঁকি কমে অনেকটাই। সম্প্রতি দিয বিএমজে জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে এই গবেষণা পত্র। গবেষকদের মতে এই অটোইমিউন রোগের ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট কিছু থেরাপি নেই। শরীরে প্রাকৃতিক ভাবে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমতে শুরু করলে এই রকম সমস্যা বাড়ে। যে কারণে প্রথম থেকেই মেয়েদের সতর্ক থাকা উচিত। আজকাল ৩০ পেরোতে না পেরোতেই মেয়েদের মধ্যে বাড়ছে এই সব সমস্যার প্রকোপ।
বয়সের সঙ্গে সঙ্গে কোমর ব্যথা, হাঁটু ব্যথা, সোরিয়াসিস, থাইরয়েড রিউমাটয়েড আথ্রাইটিস এসবের সমস্যা বাড়ে। আমেরিকায় প্রায় ২৫, ৮৭১ জন মহিলার উপর এই সমীক্ষা চালানো হয়েছিল। আর সেখানেই দেখা গিয়েছে প্রায় ৫২ শতাংশের শরীরেই ভিটামিন ডি এর অভাব রয়েছে। এরপর তাদের বেশ কিছুদিন ওমেগা ৩ ফিশ অয়েল এবং ভিটামিন ডি সাপ্লিমেন্ট দেওয়া হয়। সেই সঙ্গে শরীর, স্বাস্থ্যের ফরও নজর রাখা হয়। আর তাতেই দেখা গিয়েছে তাদের সমস্যার কিছুটা সমাধান হয়েছে। এই সব মহিলাদের সপ্তাহে এক দিন করে ২,০০০ আউন্স ভিটামিন ডি দেওয়া হত। সেই সঙ্গে ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড দেওয়া হত ১,০০০ মিলিগ্রাম। যাঁদের উপর এই সমীক্ষা চালানো হয় তাঁদের প্রত্যেকেই পাঁচ বছরের বেশি সময় ধরে এই সব সমস্যায় ভুগছেন। এই ভাবে ভিটামিন ডি ও ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড পরপর বেশ কিছুদিন দেওয়ার পর দেখা যায় সমস্যার সমাধান হয়েছে অনেকখানি। অনেকেই বলেছেন তাঁদের ঘাড়ের ব্যথা বা পেশির ব্যথা আগের তুলনায় ৩০ শতাংশ মত কমেছে।
এরপরই সেই গবেষণায় বলা বয়েছে, বয়স্ক মহিলারা যদি এই ভাবে ভিটামিন ডি ও ওমেগা- ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড খান তাহলে তাঁদের শরীর সুস্থ থাকবে। তবে এই টোটকা কম বয়সীদের ক্ষেত্রে কতটা কার্যকরী সেই বিষয়ে অবশ্য স্পষ্ট করে কিছু বলা হয়নি। কিন্তু মেয়েদের প্রতিদিনকার খাদ্যতালিকায় এই দুটি থাকা আবশ্যক।
ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড মূলত তিন রকমের হয়, যথা- এএলএ (ALA), ইপিএ (EPA) এবং ডিএইচএ (DHA)। এই ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড। ফ্লাক্স সিড, মাছের তেল, বিভিন্ন সামুদ্রিক মাছ, বাদাম এবং আরও খাবারের মধ্যে পাওয়া যায়।
সোয়াবিন, আখরোট, চিয়া সিডস, রাজমা, ফ্ল্যাক্স সিডস বা তিসি বীজ ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিডের ভীষণ ভাল উৎস। রোজ সকালে সোয়াবিন দানা ভিজিয়ে খেতে পারেন। কিংবা এক গ্লাস জলে চিয়া সিডস ভিজিয়ে খান। এছাড়াও দুধ, ওটস, কলা, ফ্ল্যাক্স চিডস, চিয়া সিডস দিয়ে স্মুদি বানিয়েও খেতে পারেন।
Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি শুধুমাত্র তথ্যের জন্য, কোনও ওষুধ বা চিকিৎসা সংক্রান্ত নয়। বিস্তারিত তথ্যের জন্য আপনার চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন।