শরীরে কাজ করার জন্য জ্বালানির প্রয়োজন। রোজকার আমরা যে খাবার খাই সেখান থেকেই শক্তি আসে। খাবারের মধ্যে ভিটামিন, খনিজ থাকে- যা শরীর ঠিক রাখতে সাহায্য করে। শরীরে যদি প্রয়োজনীয় উপাদানের কোনও একটা কম থাকেতাহলে খিদে কমে যাওয়া, তেষ্টা পাওয়া, শ্বাসকষ্টের মত সমস্যা লেগে থাকে। নিয়মিত এই সমস্যা হলে নিজেকেই সাবধানে থাকতে হবে। দিনের পর দিন এমন চলতে থাকলে পরবর্তীতে সেখান থেকে সমস্যা গুরুতর হতে পারে। শ্বাসকষ্ট, হঠাৎ বুকে চাপ লাগা, তেষ্টা পাওয়া, খিদে একেবারেই না পাওয়া এসব কোনও রোগের উপসর্গ হতে পারে। দেরী না করে চিকিৎসকের পরামর্শ অবশ্যই নেবেন সেই সঙ্গে নিজের খাবারেও একটু বদল আনুন। শরীরে আয়রনের অভাবেও কিন্তু এমনটা হতে পারে।
শরীরে আয়রনের ঘাটতির অন্যতম লক্ষণ হল রক্তাল্পতা। শরীরে যদি রক্তের অভাব হয়, চোখ ঘোলাটে হয়ে যায়, ত্বক হলুদ হয়ে যায়, খিদেমন্দা, তৃষ্ণা এসব লেগে থাকে তাহলে সাবধান। শরীরে পুষ্টি যোগাতে এবং আয়রনের চাহিদা মেটাতে রোজ এই খাবারগুলি অবশ্যই নিতে হবে।
ডিম- ডিমের মধ্যে আয়রনের ভাগ বেশি থাকে। সেই সঙ্গে বিভিন্ন রকম খনিজও থাকে। আর তাই শরীর সুস্থ রাখতে সকলেই একটা করে ডিম থেকে পারেন রোজ। ডিম একটা করে সেদ্ধ করে খান রোজ। ব্রেকফাস্টের সঙ্গে ডিম খেতে পারেন।
শাক- শাকের মধ্যে খনিজ, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট অনেকটা পরিমাণে থাকে। প্রদাহ জনিত সমস্যা থেকে রেহাই পেতে শাক খান। শাকের মধ্যে সবথেকে ভাল হল পালং শাক।
ডাল- ডালের মধ্যে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট প্রচুর পরিমাণে থাকে। থাকে প্রোটিন। আর তাই রোজ একবাটি করে ডাল খেতে পারলে খুবই ভাল। শরীরে আয়রনের ঘাটতি থাকলে রোজ একবাটি করে ডাল খান। মুসির ডাল যেমন শরীরের জন্য খুবই ভাল।
কুমড়ো বীজ- কোভিড পরবর্তী সময় থেকে প্রচুর রকম বীজের চল বেড়েছে। এর মধ্যে অন্যতম হল কুমড়ো বীজ। এই বীজের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে। জমেছে অ্যামাইনো অ্যাসিড। ওটসের সঙ্গে দই, চিয়া সিডস, কুমড়ো বীজ মিশিয়ে খান। এর ফলে শরীরে আয়রনের চাহিদাও মিটবে।
ডার্ক চকোলেট- চকোলেট খেতে অনেকেই ভালবাসেন। তবে এর মধ্যে সেরা হাল ডার্ক চকোলেট। মিষ্টি ছাড়া ৯৯ শতাংশ ডার্ক টকোলেট খেতে পারেন। এর মধ্যে যে প্রোবায়োটিক থাকে তা আমাদের অন্ত্র ঠিক রাখতে সাহায্য করে। আয়রনের ঘাটতিও মেটায়।
Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি শুধুমাত্র তথ্যের জন্য, কোনও ওষুধ বা চিকিৎসা সংক্রান্ত নয়। বিস্তারিত তথ্যের জন্য আপনার চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন।