শীতের মরসুম শুরু হয়েছে এবং শরীরকে অতিরিক্ত এবং তীব্র ঠান্ডা থেকে রক্ষা করার উপায়ও খোঁজা শুরু হয়ে গেছে। এই সময় আপনাকে আপনার খাদ্যতালিকার ওপরও নজর দিতে হবে। ঠান্ডায় যাতে সহজেই রোগে আক্রান্ত না হন, তার জন্য মরসুমি ফল ও শাকসবজিকে বেশি প্রাধান্য দিতে হবে। উপরন্ত, ফাইবার, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, পটাসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ভিটামিন সি, ই সমৃদ্ধ খাবারগুলি রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করাতে এবং হৃদরোগ ও ক্যান্সারের ঝুঁকি প্রতিরোধ করতে সক্ষম।
শীতকালীন পুষ্টিকর সবজি হিসাবে রয়েছে কচু। এই বিষয়ে সন্ধান দিয়েছে পুষ্টিবিদ মুনমুন গানেরিওয়াল। তিনি তাঁর ইনস্টাগ্রাম পোস্টে শেয়ার করে জানিয়েছেন যে, “ঐতিহ্যবাহী এবং মরসুমি খাবার সম্পর্কে ক্রমাগত খোঁজা আমাকে সত্যিই উত্তেজিত করে। এই আপনার তুলে ধরা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে আমি মনে করি। আজ এমন একটি খাদ্য, কচু সম্পর্কে কথা বলতে পেরে আনন্দিত।”
বিভিন্ন রাজ্য বিভিন্ন আকারে কচু খাওয়া হয়ে থাকে। মুনমুন বলেছেন যে উপকূলীয় ভারতে, বিশেষ করে গোয়া, কর্ণাটক এবং মহারাষ্ট্র রাজ্যে কচু খুব আনন্দের সঙ্গে খাওয়া হয়। কোঙ্কণীতে বলা হয় তারো রুট ফ্রিটার্স বা মাড্ডি ফোডি সবার প্রিয় খাবার। উত্তর ও পশ্চিমাঞ্চলীয় রাজ্যগুলিতে এটি আরবি নামে পরিচিত। এটি বিভিন্ন স্টের-ফ্রাই, কারি এবং তরকারিতে ব্যবহৃত হয়। আরেকটি রাজ্য যেখানে এটি ব্যাপকভাবে খাওয়া হয় তা হল ওড়িশা, যেখানে কচু সারু নামে পরিচিত।
মুনমুন লিখেছেন যে, তারো দিয়ে তৈরি একটি জনপ্রিয় খাবার হল সারু বেসারা। ওড়িয়া বিশেষ দলমার একটি অপরিহার্য উপাদান, যেখানে ডাল দিয়ে শাকসবজি রান্না করা হয়। সারু চিপস তৈরি করতে কচুগুলিকে তেলে ভাজা হয় এবং লাল লঙ্কার গুঁড়ো এবং নুনে টস করা হয়।
কচুর মধ্যে কিছু স্বাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে বলে জানিয়েছে তিনি। কচু ফাইবার, পটাসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম এবং ভিটামিন সি এবং ই এর একটি দুর্দান্ত উৎস। এটি রক্তে শর্করার মাত্রা, অন্ত্র এবং হৃদযন্ত্রের স্বাস্থ্যের উন্নতির মতো বিভিন্ন স্বাস্থ্য সুবিধাও সরবরাহ করে।
মুনমুন জানান যে, “কচুর আরেকটি অনন্য গুণ হল এটি একটি স্টার্চযুক্ত সবজি, এতে দুই ধরণের কার্বোহাইড্রেট রয়েছে, ফাইবার এবং প্রতিরোধী স্টার্চ যা রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে সহায়ক। এটি অন্যান্য কার্বোর হজম এবং শোষণকেও ধীর করে দেয়, খাবারের পরে রক্তে শর্করার স্পাইক প্রতিরোধ করে।”
আরও পড়ুন: শিশুরাও আক্রান্ত হয় মৃগী রোগে! কীভাবে যত্ন নেবেন আপনার সন্তানের, পরামর্শ বিশিষ্ট চিকিত্সকের