কোভিডের ( Covid-19) তৃতীয় তরঙ্গে প্রচুর মানুষ আক্রান্ত হচ্ছেন। দিনের পর দিন বেড়ে চলেছে আক্রান্তের ( Omicron update) সংখ্যা। এবারের কোভিডের উপসর্গ আর ইনফ্লুয়েঞ্জার উপসর্গের মধ্যে তেমন কোনও ফারাক না থাকায় অনেকেই বুঝতে পারছেন না আদৌ তাঁরা কোভিডে আক্রান্ত কিনা। কোভিডের এই নতুন ভ্যারিয়েন্ট প্রথম ধরা পড়ে দক্ষিণ আফ্রিকায় ( South Africa) , নভেম্বরের একদম শেষ দিকে। এরপর বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা নতুন এই ভ্যারিয়েন্টটিকে কোভিডের নতুন ভ্যারিয়েন্ট হিসেবেই চিহ্নিত করে
। তিন থেকে চার সপ্তাহের মধ্যে তা বিশ্বের প্রায় ৫৫টিরও বেশি দেশে ছড়িয়ে পড়ে। মূলত ঠান্ডা লাগার মত উপসর্গ থাকায় এবং অল্প দিনের মধ্যেই সেরে ওঠার কারণে অনেকেই কোভিড সংক্রমণকে তেমন গুরুতেব দিচ্ছেন না। মানছেন না নিয়মও। যে কারণে শঙ্কিত চিকিৎসকেরাও। কারণ এবার কোভিডের হাত থেকে ছাড় পাচ্ছে না কেউই।
কোভিডের আগের দুটো ঢেউ আমাদের জন্য কতটা কঠিন ছিল তা বারবার মনে করিয়ে দিতে চান চিকিৎসকেরা। অপ্রত্যাশিতের মতই কিন্তু আমাদের জীবনে হানা দিয়েছিল কোভিড। প্রচুর প্রাণহানির ঘটনা আমরা দেখেছি। অনেকেই কিন্তু কোভিডে হারিয়েছেন তাঁর প্রিয়জনকে। যে কারণে আমাদের সতর্ক থাকার কথা বলছেন বিশেষজ্ঞরা। এখন হয়ত উপসর্গ তেমন নেই, সমস্যাও কম। কিন্তু ভবিষ্যতে যে সমস্যা বাড়বে না এ বিষয়ে কিন্তু কোনও রকম কথা দিতে পারছেন না চিকিৎসকেরা। কারণ হিসেবে তাঁরা বেশ কয়েকটি ঘটনার উল্লেখ করেছেন।
আগের দুই তরঙ্গেও অনেকে মাইল্ড কোভিডে ভুগেছেন। তাঁদের ক্ষেত্রে জ্বর, কাশি, ক্লান্তি, দুর্বলতা, পেশি ব্যথার মত উপসর্গ- এই সবকটিই ছিল। কিন্তু তাঁরা কোউই বলছেন না যে খুব সহজে এই সব রোগ লক্ষণ সামলে ওঠা যায়। বরং পেশীর ব্যথা, দুর্বলতা এসব কাটিয়ে ওঠা খুবই কষ্টের। এছাড়াও যাঁরা মাইল্ড কোভিডে ভুগেছিলেন তাঁদেরও কিন্তু স্বাদ-গন্ধে সমস্যা ছিল। আর সেই স্বাদ-গন্ধ পুরোপুরি ফিরে পেতে বেশ খানিকটা সময় লেগে গিয়েছিল। এই সবই কিন্তু কোভিডজে ভোগা মানুষদের প্রভাবিত করেছিল। এবং যা সামলে উঠতে অনেকখানি সময় লেগে গিয়েছিল।
সম্প্রতি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পক্ষ থেকে একটি সমীক্ষা পত্র প্রকাশিত হয়েছে, যেখানে বলা হয়েছে ওমিক্রন নিয়ে ইংল্যান্ডের মানুষদের মধ্যে বেশ কিছু ভুল ধারণা ছিল। কোভিডের এই নতুন ভ্যারিয়েন্ট যে কম উদ্বেগের, তা সকলেই স্বীকার করে নিয়েছেন। আর এর জন্য টিকাকেই মুখ্য হিসেবে ধরা হচ্ছে। টিকাকরণের জন্যই কিন্তু কমেছে কোভিড মৃত্যুর রেট। এমনকী হাসপাতালে রেখেও চিকিৎসকার প্রয়োজন পড়ছে না। কিন্তু ওমিক্রনের প্রভাবেও বেশ কিছু মৃত্যুর খবর এসেছে, জানানো হয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফ থেকে। শুধু তাই নয় ওমিক্রন কিন্তু একবার হলেও পরবর্তীতে হবার সম্ভাবনা রয়েছে এবং থেকে যাচ্ছে দীর্ঘ কোভিডের আশঙ্কা।
Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি শুধুমাত্র তথ্যের জন্য, কোনও ওষুধ বা চিকিৎসা সংক্রান্ত নয়। বিস্তারিত তথ্যের জন্য আপনার চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন।
আরও পড়ুন: Anxiety: শারীরিক সমস্যা থেকেই কিন্তু আসে অ্যাংসাইটি, কীভাবে একে নিয়ন্ত্রণে রাখবেন?