শীতে যে কোনও সংক্রমণই ( Infection) বাড়ে অনেকটাই। জ্বর, সর্দি, কাশির ( Flu) মত সমস্যা থাকে ঘরে ঘরে। এছাড়াও এই সময় কিন্তু পেটের সমস্যা বেশি হয়। বাইরের খাওয়াদাওয়া তুলনায় শীতে খানিকটা বেশিই হয়। পার্টি, অনুষ্ঠান এসব লেগেই থাকে। শীতে শরীরও বেশি গরম হয়। সব মিলিয়ে নানা রকম সমস্যা বাড়তেই থাকে। সাধারণ সর্দি-কাশি বা ইনফ্লুয়েঞ্জা শরীরকে ( Flu Recovery) বেশ কাহিল করে দেয়। শুধু তাই নয়, এই সময় ইউরিন ইনফেকশনের সংখ্যাও তুলনায় বেশি হয়। কারণ জল তুলনায় কম খাওয়া হয়। শীতের এই সব সমস্যার সঙ্গে এবার উপরি পাওনা ওমিক্রনের সংক্রমণ।
ওমিক্রন যে ভাবে দ্রুত গতিতে ছড়াচ্ছে তাতে প্রতিদিন প্রচুর মানুষ আক্রান্ত হচ্ছেন। বাচ্চা থেকে বয়স্ক ছাড় পাচ্ছেন না কেউই। যদিও ওমিক্রণের রোগ-লক্ষণ কিন্তু অনেক মৃদু। সাধারণ ঠান্ডা লাগার মতই উপসর্গ। প্রতিদিন প্রচুর সংখ্যক মানুষ আক্রান্ত হচ্ছেন। যদিও এবার সকলেই বাড়িতে থেকে সুস্থ হয়ে উঠছেন। হাসপাতালে ভর্তি হবার প্রয়োজন পড়ছে না।
তবুও ক্লান্তি, শরীরে ব্যথা-সহ একাধিক সমস্যা থাকছে। কফ, কাশির সমস্যা যেমন অনেকের ক্ষেত্রেই দীর্ঘায়িত হচ্ছে তেমনই আবার অনেকেই ভুগছেন পেটের সমস্যায়। আর তাই সংক্রমণ কাটলেও আগের রুটিনে ফিরতে বেশ অসুবিধেই হচ্ছে। একটানা বসে কাজ করা, হজম জনিত সমস্যা, কোমর-পিঠে ব্যথা এসব কিন্তু বেশ ভোগাচ্ছে। এছাড়াও সংক্রমণ ঠেকাতে বেশিরভাগকেই অ্যান্টিবায়োটিক খেতে হয়। এই সব কিছুর প্রভাব কিন্তু পড়ে শরীরে। ফলে এক সপ্তাহ ভোগান্তির পর সকলেই যে সুস্থ শরীরে কাজে ফিরতে পারছেন এমন নয়। নানা সমস্যা রয়েই যাচ্ছে। সেই সঙ্গে একটানা বসে ল্যাপটপ কিংবা কম্পিউটারের সামনে বসে কাজ করাটাও কিন্তু বেশ কঠিন। আর তাই যেসব নিয়ম মেনে চলবেন-
প্রথমেই বেশি কিছু খাবার একসঙ্গে খাবার চেষ্টা করবেন না। যে কোনও অসুখ থেকে সেরে উঠলেই খিদেমন্দা হয়। আর তাই ধীরে ধীরে সেই অভ্যাসে ফিরুন। তেল, মশলা একেবারে কম খান। ফল, সবজি. সিদ্ধ খাবার, ডাল এসব বেশি খান। দিনে একটা ডিমই যথেষ্ট। মাছ, মাংস কিন্তু খুব পরিমাণে খাবেন। একেবারেই বেশি নয়। এতে হজমের সমস্যা হয়।
ক্লান্তি কাটাতে সবথেকে ভাল কিন্তু ব্যায়াম। নিয়মিত ৩০ মিনিট হলেও ব্যায়াম করুন। হাঁটতে যান। এতে যেমন ক্লান্তি দূর হবে তেমনই কিন্তু বিভিন্ন ব্যথাও চলে যাবে। যাঁদের এক্সসারসাইজ করার সময় থাকবে না তাঁরা নিয়ম করে অবশ্যই হাঁটবেন।
ভিটামিন সি বেশি করে খান। আমলকি, লেবু, মুসাম্বি, কমলালেবু এসব বেশি করে খান। ভাল খেতে হবেই বলে যে জোর করে সব কিছু খেয়ে নেবেন এমনটা কিন্তু নয়। ধীরে ধীরে খাওয়া শুরু করুন। এতে শরীর ভাল থাকবে।
মনের দিক থেকে পজিটিভ থাকতে হবে। ভাল ঘুম, শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়াম এবং মেডিটেশন করুন। এতে শরীর-মন ভাল থাকবে।
Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি শুধুমাত্র তথ্যের জন্য, কোনও ওষুধ বা চিকিৎসা সংক্রান্ত নয়। বিস্তারিত তথ্যের জন্য আপনার চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন।
আরও পড়ুন: শীতকালে সর্দি কাশির কারণে শরীরের বিশেষ কিছু স্থানে মারাত্মক ব্যথা হয়, নিরাময়ের উপায় জেনে নিন…