Best Drink For Diabetes: গরমের এই ৫ পানীয় সুগারের রোগীদের জন্য যেন ইনসুলিনের চেয়েও বেশি
How to Manage Diabetes in Summer: ডাবের জল, তরমুজ, ছাঁচ এসব রোজ খান সুগারের রোগীরা। এতেই কিন্তু সুগার থাকবে নিয়ন্ত্রণে

বিশ্বজুড়ে ক্রমেই জোরাল থাবা বসাচ্ছে ডায়াবেটিস। এখন প্রায় প্রতি পাড়ার সব বাড়িতেই একজন করে ডায়াবেটিস আক্রান্তের খোঁজ পাওয়া যায়। সব সময় জল তেষ্টা পাওয়া, তুলনায় বেশি পরিমাণে প্রস্রাব হওয়া, দৃষ্টিশক্তি ঝাপসা হয়ে যাওয়া এসব ডায়াবেটিসের প্রাথমিক লক্ষণ। দীর্ঘদিন ধরে ব্লাড সুগার যদি অনিয়ন্ত্রিত থাকে তাহলে সেখান থেকে অন্যান্য অঙ্গের উপরও প্রভাব পড়ে। গরম পড়লে সুগারের সমস্যাও বাড়ে। লোভে পড়ে সুগারের রোগীরা ঠান্ডা পানীয়, কোল্ড ড্রিংক, মিল্কশেক এসব বেশি পরিমাণে খেলে রক্তশর্করা বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
যে সব খাবারের মধ্যে গ্লাইসেমিক ইনডেক্স কম সেই সব খাবারই কিন্তু রাখা উচিত রোজকারের মেনুতে। গরমকালে শরীর হাইড্রেট রাখতে প্রচুর পরিমাণ জল তো খেতেই হবে পাশাপাশি এই সব খাবারও খান যাতে রক্ত শর্করা থাকে নিয়ন্ত্রণে। আর তাই ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে হলে প্রথমেই মিষ্টি যে কোনও পানীয় বাদ রাখতে হবে। চিনি বা ক্যালোরি যুক্ত খাবার একেবারেই খাওয়া চলবে না। কারণ বেশি মিষ্টি জাতীয় পানীয় খেলে সুগার বাড়বে হুড়মুড়িয়ে।
পুষ্টিবিদ শিখা আগরওয়াল তাই দিচ্ছেন বিশেষ কিছু টিপস। এইভাবে নিয়ম মেনে খাবার খেতে পারলে শরীর থাকবে সুস্থ। আর হিট স্ট্রোকের হাত থেকে বাঁচাতেও সাহায্য করে এই সব পানীয়। রক্তশর্করা নিয়ন্ত্রণে না থাকলে সেখান থেকে হাইড্রেশনের সমস্যা হতে পারে। আর জল বেশি খেলে অতিরিক্ত শর্করাও প্রস্রাবের মাধ্যমে বাইরে বেরিয়ে যায়। আর তাই রক্তশর্করা থাকে নিয়ন্ত্রণে।
গরমকালে ঘরে ঘরে নুন-চিনির শরবত, লেবুর শরবত এসব থাকেই। ডায়াবেটিসের রোগী হলে লেবু আর নুন দিয়ে শরবত বানিয়ে খেতে হবে। চিনি কিন্তু মেশানো যাবে না।
ফলের রস এড়িয়ে চলুন। কারণ তার মধ্যে চিনির ভাগ বেশি থাকে। তরমুজের জুস, মিক্সড ফ্রুটের জুস খুব ভাল। তবে এতে চিনি একদম মেশানো যাবে না। প্রয়োজনে সবজির রস খান। একটা বোতলের মধ্যে চিয়া সিড, শসা, লেবু স্লাইস করে জলে ভিজিয়ে রাখুন। ৫ ঘন্টা রেখে তারপর খান।
ডায়াবেটিসের রোগীদের জন্য খুব ভাল হল ডাবের জল। রোজ একটা করে ডাব খেতে পারলে খুবই ভাল। ডাবের জলের গ্লাইসেমিক ইনডেক্স কম সেই সঙ্গে চিনিও প্রায় থাকে না বললেই চলে। ফলে ব্লাড সুগার থাকে নিয়ন্ত্রণে।
বাটারমিল্ক গরমের দিনে খুব ভাল আর পেটের জন্যেও কিন্তু তা খুব উপকারী। এই বাটার মিল্ক আসলে প্রোবায়োটিক। যা অন্ত্রের স্বাস্থ্য বজায় রাখতে সাহায্য করে। সেই সঙ্গে রক্তচাপ আর কোলেস্টেরলের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। এই পানীয় সুগার নিয়ন্ত্রণে রাখতে তাই খুবই ভাল।





