সুপার ফুড হিসেবেই পরিচিত ডিম। ডিমের মধ্যে থাকে প্রচুর পরিমাণ প্রোটিন আর ক্যালশিয়াম। যা শরীর ঠিক রাখতে ভীষণ রকম কার্যকরী। ডিমের স্বাদের কোনও তুলনা নেই। যে কারণে শিশু থেকে বয়স্ক সকলেই খেতে পারেন ডিম। যে কোনও সুস্বাদু খাবার তৈরি করতেও ডিম লাগে। কেক, মাফিন, রকমারি বিস্কুট বানাতে যেমন ডিম ব্যবহার করা হয় তেমনই চিলিচিকেন বা চিলিফিশের ব্যাটারেও অতি আবশ্যক হল ডিম। একটি ডিমের মধ্যে প্রোটিন থাকে ৬.৩ গ্রাম, পটাশিয়াম থাকে ৬৯ মিলিগ্রাম, ভিটামিন এ, ক্যালশিয়াম, আয়রন এই সবও থাকে।
রোজ ডিম খেলে হাড় শক্তিশালী হয়, মস্তিষ্ক ক্ষুরধার হয়, পেশীর ভর বাড়ে। এছাড়াও ক্যানসার রুখতে, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতেও সাহায্য করে ডিম। এত উপকার থাকা সত্ত্বেও কিছু মানুষের জন্য ডিম একেবারেই ভাল নয়। ডিম তাঁদের শরীরের জন্য যেমন ক্ষতিকারক তেমনই হতে পারে মারাত্মক স্বাস্থ্য ঝুঁকিও। আর তাই কাদের ডিম খাওয়া একেবারেই ঠিক নয়-
কোলেস্টেরল রোগীদের ডিম খাওয়া একেবারেই ঠিক নয়। NCBI-এর রিপোর্ট অনুযায়ী,ডিম বেশি খেলে কোলেস্টেরল বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থেকে যায়। যেখান থেকে হতে পারে মারাত্মক ঝুঁকি। আর তাই কোলেস্টেরলের সমস্যা থাকলে ভুল করেও ডিম নয়।
সুগার রোগীদেরও ডিম এড়িয়ে চলতে পারলেই ভাল। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একটি সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে যাঁরা সপ্তাহে তিনটির বেশি ডিম খান তাঁদের ক্ষেত্রে ডায়াবেটিসের ঝুঁকি ৩৯ শতাংশ বৃদ্ধি পায়। চিনের মানুষরা অতিরিক্ত পরিমাণ ডিম খান। যে কারণে তাঁদের মধ্যে ডায়াবেটিসের সম্ভাবনাও থাকে সবচাইতে বেশি। ওয়ার্ল্ড হার্ট ফেডারেশনের মতে, ডিমের কুসুম বেশি পরিমাণে খেলে ধমনীতে ফ্যাট জমা হয়। যে কারণে স্ট্রোক আর হৃদরোগের ঝুঁকিও বেড়ে যায়। যে কারণে সপ্তাহে ৫ টির বেশি ডিম কোনও ভাবেই খাওয়া ঠিক নয়।
এছাড়াও যাঁদের হজমের সমস্যা রয়েছে তাঁদের বেশি ডিম খাওয়া একেবারেই ঠিক নয়। বেশি ডিম খেলে ফুড পয়জনিং এর সম্ভাবনা বেড়ে যায়। আর তাই সাবধানে ডিম খাবেন। ডিম খুব ভাল করে ধুয়ে তবে সিদ্ধ করুন। এমনকী ডিম ভাল করে ধুয়ে নিয়ে ভাজুন।