করোনাকালে অনেক মানুষের ফুসফুসের কার্যক্ষমতা কমে গিয়েছে। দূষণও একটা কারণ। ধূমপান ও টোব্যাকো সেবনের কারণেও ক্ষতিগ্রস্ত হয় ফুসফুস। ক্ষতি হতে শুরু করে চুপিসারে। মানুষের বোঝার উপায় থাকে না। ক্ষতি বেড়ে যাওয়ার পর মানুষ বুঝতে পারে শ্বাস নিতে সমস্যা হচ্ছে। কিন্তু শরীরের নাম মহাশয়। সে কিন্তু নিজের মতো করে জানান দিতে শুরু করে। তাই কিছু বিষয়ে লক্ষ্য রাখলে আগেই বুঝে যাবেন ফুসফুসের কার্যক্ষমতা কতখানি দুর্বল হয়েছে। অল্পেতেই চিকিৎসা শুরু করলে বড় ক্ষতি আটকাতে পারবেন।
১. শ্বাসের গতি পরীক্ষা – প্রত্যেক মিনিটে শ্বাসের প্রবণতা ও গতি বেড়ে গেলে বুঝবেন শ্বাস নিতে সমস্যা শুরু হয়েছে আপনার। সতর্ক হয়ে যান তৎক্ষণাৎ।
২. রং বদল – ফুসফুস দুর্বল হলে মুখে নীলচে আভা দেখা দিতে শুরু করে। এমনকী, ঠোঁট জোড়া, নখও নীল হয়ে যেতে পারে। বুঝতে হবে শরীর সঠিক পরিমাণে অক্সিজেন পাচ্ছে না বলেই নীলচে ভাব দেখা দিচ্ছে। ত্বকের রংও ফ্যাকাশে কিংবা ঘিয়ে হয়ে যেতে পারে।
৩. শ্বাসের শব্দ – শ্বাস নেওয়ার সময় অদ্ভুত আওয়াজ হতে পারে। বুঝতে হবে শ্বাস নিতে অসুবিধে হচ্ছে।
৪. নাক – নিশ্বাস নেওয়ার সময় নাকের ফুটো ফুলে যেতে পারে। আরও বড় হয়ে যেতে পারে। বুঝতে হবে শ্বাস নিতে অসুবিধে তৈরি হচ্ছে।
৫. বুক – শ্বাস নেওয়ার সময় বুকে অনেক বেশি জোর দিতে হচ্ছে কি? ফুসফুসে যথেষ্ট পরিমাণ অক্সিজেন পৌঁছাতে না পারলে এমনটা করতে হয়।
৬. ঘাম – কপালে, মাথার ভিতরে ঘাম হতে পারে। কিন্তু শরীর গরম হয় না। ঠান্ডাই থাকে। শ্বাস নেওয়ার প্রবণতা যদি বাড়ে তবে এটা হতে পারে।
৭. শরীরের পজিশন – মানুষ শিরদাঁড়া সোজা করে দাঁড়াতে পারেন না। সামনের দিকে ঝুঁকে পড়েন। এমনকী, বসে থাকার সময়ও তিনি সামনের দিকেই ঝুঁকে থাকেন।
এই সাতটি উপসর্গ যদি কোনও ব্যক্তির মধ্যে লক্ষ্য করেন, তৎক্ষণাৎ তাঁকে সজাগ করুন। জানবেন, ফুসফুসের রোগ সহজে সারতে চায় না। ফুসফুসের ক্ষতি চিরস্থায়ী ক্ষতি। তাই সময় থাকতে যত তাড়াতাড়ি চিকিৎসা শুরু হবে, ততই মঙ্গল।
আরও পড়ুন: Plastic ill effects: প্লাস্টিকের বাসনে খাবার গরম, প্লাস্টিকের বোতলে জল পান; ধেয়ে আসছে ভয়ানক বিপদ