করোনাকালে বাচ্চাদের খাদ্যতালিকায় অবশ্যই রাখুন ফল, সবজি, ডাল, বাদাম, ওটস, গম, ব্রাউন রাইস, কার্বোহাইড্রেটস জাতীয় খাবার (আলু, রাঙালু) এবং আমিষের দিক থেকে মাংস, মাছ, ডিম ও দুধ।
– ফলের দিক থেকে, ২-৩ বছরের শিশুদের জন্য এক কাপ ফলই যথেষ্ট। ৪-১৩ বছর বয়সি বাচ্চাদের জন্য ১.৫ কাপ ফল দরকার প্রতিদিন।, ১৪-১৮ বছরের কিশোর-কিশোরীদের জন্য প্রতিদিন ১.৫ কাপ যে কোনও ফল বা ফলের স্যালাদ খাওয়া উচিত। বিশেষ করে কিশোরীদের জন্য ।
– সবজি খেতে গেলেই সব বয়সি বাচ্চাদের মুখে অরুচি ধরে। ২-৩ বছরের বাচ্চাদের জন্য প্রতিদিন ভাল করে রান্না করা সবজি খাওয়ান। ৪-৮ বছর বয়সিদের জন্য দরকার ১.৫ কাপ রান্না করা সবজি। ৯-১৩ বছর কিশোরীদের জন্য প্রতিদিন ২ কাপ করে ও কিশোরদের জন্য ২.৫ কাপ তরকারি রাখুন পাতে। অন্যদিকে ১৪-১৮ বছর বয়সি যুবতীদের প্রতিদিন ২.৫ কাপ সবজির তরকারি খাওয়া দরকার। একই বয়সের ছেলেদের ক্ষেত্রে প্রতিদিন ৩ কাপ সবজি দিয়ে তরকারি খাওয়া দরকার পড়ে।
আরও পড়ুন: বাচ্চার ডায়াপারে রয়েছে ভয়ংকর রাসায়নিক! নয়া তথ্য নিয়ে উদ্বিগ্ন বিশেষজ্ঞরা
– শরীর সুস্থ রাখতে প্রতিদিন প্রোটিন-যুক্ত খাবার গ্রহণ করা প্রয়োজন। প্রতি সপ্তাহে দুদিন মাছ দিন। যে কোনও বয়সের শিশুর জন্য দরকার প্রোটিন। তাই নিয়মিত ডায়েটে মাছের একটি মনপসন্দ রেসিপির রান্না করে দিন। মুখে রুচি ফিরবে। ৫ বছরের ঊর্দ্ধে যাঁরা , তাঁরা সপ্তাহে ৩ থেকে ৪ দিন মাছ খেতে পারে।
– দিনে তিনবার করে দুধ খাওয়ান। ২ বছরের নিচে যাঁদের বয়স তাঁদের জন্য প্রতিদিন এক গ্লাস করে দুধ খাওয়া প্রয়োজন।
– জুস ও ড্রাই ফ্রুটস- ৬ বছরের নিচে যাদের বয়স, তাঁদের প্রতিদিন হাফ গ্লাস করে যে কোনও ফলের জুস খাওয়া দরকার। প্রসঙ্গত, জুসে যেন কোনও প্রিজারভেটিভ রাসায়নিক না থাকে। ফল কেটে তার থেকে রস বের করে বাচ্চাকে দিন। ৭ বছরের বাচ্চার জন্য প্রতিদিন ৩৩৫ মিলি ফ্রুট জুস দেওয়া দরকার।
– স্ন্যাকস বা মিষ্টি- নোনতা, মিষ্টি বা ফ্যাট জাতীয় খাবার এড়িয়ে চলাই বাল। তার বদলে আরও বেশি করে ফল বা সবজি খাওয়ান।
– যদি রিফাইন্ড বা ড্রায়েড সবজি ব্যবহার করেন, তাহলে সেগুলি যাতে নুন বা সুগার-ফ্রি হয়, সেই দিকে নজর রাখুন।
আরও পড়ুন: বাচ্চাদেরও কি ‘ডবল মাস্ক’ পরাতে হবে? মাস্ক পরানোর নতুন নিয়মগুলি জেনে নিন…
– প্রতিদিন পর্যাপ্ত পরিমাণে জল খাচ্ছে কিনা সেদিকে লক্ষ রাখুন। পানীয় জলে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে খনিজ ও পুষ্টিগুণ। যা রক্তের মধ্যে মিশে যায় দ্রুত। শরীরের মধ্যে দূষিত যা আছে, তা দূর করতে ও হাড়ের শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। শরীরের হিট-লেভেল নিয়ন্ত্রণ করতেও জলের বিকল্প নেই।
– মাছ, বাটা, বাদাম, অলিভ ওয়েল, সোয়া, ক্যানোলা, সানফ্লাওয়ার বা কর্ন তেলের মতো স্যাচুরেটেড ফ্যাট জাতীয় খাবার খাদ্যতালিকায় রাখতে পারেন। নারকেল তেল, মাংস, ক্রিম, ঘি, চিজ এগুলি এড়িয়ে চলাই ভাল।