হার্টের সমস্যা আগের তুলনায় অনেকখানি বেড়েছে। আর হার্ট অ্যার্টাকের এখন কোনও বয়স নেই। যুবদের মধ্যে বরং এই সমস্যা অনেকটাই বেশি। যে কারণে বিশ্বজুড়ে হার্ট অ্যার্টাকে বেড়েছে মৃত্যুর সংখ্যাও। শরীরে যদি লো-ডেনসিটি-লাইপোপ্রোটিনের পরিমাণ বাড়ে তাহলে সেখান থেকে কোলেস্টেরলের সমস্যাও বাড়ে। যে কারণে LDL- কোলেস্টেরলকে রক্তের শত্রু বলা হয়। কারণ শিরায় যদি কোলেস্টেরল জমে তাহলে রক্ত প্রবাহের পথ সংকুচিত হতে থাকে। আর রক্ত প্রবাহের পথে কোনও বাধা আসলে তখনই হার্টে পর্যাপ্ত পরিমাণে রক্ত পৌঁছয় না। হৃৎপিন্ডে ঠিক ভাবে রক্ত না পৌঁছলেই সেখান থেকে হার্ট অ্যার্টাক এবং হার্ট ফেলিওয়ের মত পরিস্থিতি তৈরি হয়। হৃৎপিন্ডের কোষে ঠিকমতো অক্সিজেন, পুষ্টি না গেলে সেখান থেকে হার্টের উপর চাপ পড়ে।
দুধের মধ্যে থাকে প্রচুর পরিমাণ পুষ্টি। থাকে ফ্যাট, প্রয়োজনীয় খনিজ, ভিটামিন। আর তাই অনেকের মনে প্রশ্ন ওঠো তাহলে কি আদৌ দুধ খাওয়া উচিত? ফুল ফ্যাট মিল্ক কখনই খাওয়া উচিত নয়। কারণ এই দুধের মধ্যে থাকে স্যাচুরেটেড ফ্যাট। এই স্যাচুরেটেড ফ্যাট শরীরে খারাপ কোলেস্টেরলের পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়। যে কারণে ফুল ফ্যাট দুধের পরিবর্তে সোয়া মিল্ক খান।
হার্ট, কোলেস্টেরলের সমস্যা হলে তাই সোয়া মিল্ক খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। সোয়া মিল্ক খুবই স্বাস্থ্যকর। আর এই দুধের মধ্যে স্যাচুরেটেড ফ্যাট খুবই কম পরিমাণে থাকে। দুধের মধ্যে যে প্রোটিন থাকে তা এনজাইমগুলিকে ব্লক করে দেয়। যা লিভারে লাইপোপ্রোটিনের পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়।
দিনের মধ্যে কত পরিমাণ সোয়া মিল্ক খাবেন?
হার্টের সমস্যা রুখতে দিনের মধ্যে দু থেকে তিনকাপ পর্যন্ত সোয়া মিল্ক খাওয়া যেতে পারে। ২৫০ মিলি দুধ তো খেতেই পারেন। যদি নিরামিষাশী হন তাহলে হাফ লিটার পর্যন্ত সোয়া মিল্ক দিনের মধ্যে খাওয়া যেতে পারে। সেই সঙ্গে বিভিন্ন গবেষণাতেও বলা হয়েছে সোয়া মিল্কের একাধিক উপকারিতা রয়েছে। শরীরে খারাপ কোলেস্টেরলের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে আর হার্টের রোগ ঠেকাতে রোজ নিয়ম করে খান সোয়া মিল্ক। কাছে ঘেঁষবে না হার্ট অ্যার্টাকের মত সমস্যা।