পলিসিস্টিক ওভারিয়ান সিনড্রোম (PCOS)-এর সমস্যায় আগের থেকে এখন অনেক বেশি মানুষ ভুগছেন। মহিলাদের অনিয়মিত মাসিক, ওবেসিটি, হরমোনের সমস্যাই এই রোগের জন্য দায়ী। NCBI-এর রিপোর্ট অনুযায়ী বিশ্বের প্রায় ৪-২০ শতাংশ মহিলা এখন PCOS-এর শিকার। পলিসিস্টিক ওভারিয়ান সিনড্রোম থাকলেই সেখান থেকে একাধিক সমস্যা জাঁকিয়ে বসে। যার মধ্যে টাইপ ২ ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, হার্টের সমস্যা, এন্ডোমেট্রিয়াল ক্যানসারের সম্ভাবনা থাকে সবচাইতে বেশি। আর তাই পিসিওএস থাকলে শরীরের অতিরিক্ত যত্ন নিতে হবে। সব সময় নির্দিষ্ট একটা ডায়েট মেনে চলতেই হবে। ওজন কোনও ভাবেই বাড়তে দেওয়া চলবে না। কার্বোহাইড্রেট, শর্করা এড়িয়ে চলতে হবে। ৬ মাস অন্তর সুগারের পরীক্ষা করিয়ে নিতে পারলে সবচাইতে ভাল। ওষুধ খেলেই যে PCOS-সেরে যায় এমন একেবারেই নয়। ডায়েট, ওষুধ, শরীরচর্চার মধ্যে দিয়ে একে নিয়ন্ত্রণে রাখা যায় মাত্র। সিস্টের সমস্যা যদি নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারেন তাহলে একাধিক সমস্যা থেকেও মিলবে মুক্তি।
বিশিষ্ট হোমিওপ্যাথি চিকিৎসক ডাঃ স্মিতা ভোইর পাটিল তাঁর ইনস্টাগ্রামে সম্প্রতি একটি গুরুত্বপূর্ণ পোস্ট দিয়েছেন এই পিসিওএস-নিয়ে। সেখানেই তিনি তুলে ধরেছেন একাধিক গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্য। আর প্রথমেই তিনি বলেছেন মিষ্টি একেবারেই ছেড়ে দিতে হবে। আইসক্রিম, কোল্ডড্রিংক, চকোলেট, কোনও মিষ্টি পানীয় এমনকী চিনি দেওয়া চা-ও খাওয়া চলবে না। কারণ মিষ্টি PCOS-এর সবচাইতে বেশি ক্ষতি করে। সেই সঙ্গে হতে পারে স্বাস্থ্যের অবনতিও। তাই জেনে নিন কী কী একেবারেই করবেন না-
ইনসুলিন রেজিসট্যান্স PCOS-এর অন্যতম কারণ। তাই প্রথমেই সচেতন ভাবে মিষ্টি এড়িয়ে চলুন। অতিরিক্ত চিনি খেলে একাধিক সমস্যা হয়। সুগার বাড়ে, ওজন বাড়ে সেই সঙ্গে একাধিক হরমোনাল সমস্যাও জাঁকিয়ে বসে।
পিসিওএসের সমস্যা থাকলে ফলের রসও একেবারেই খাবেন না। ফলের রসের মধ্যে থাকে প্রচুর পরিমাণ চিনি। যা আমাদের অভ্যন্তরীণ সুগারের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। শরীরের জন্যও ঠিক নয়। গোটা ফল খান। কোনও ফলের রস করে নয়।
প্রক্রিয়াজাত খাবার থেকে দূরে থাকুন। যে কোনও ভাজা বা প্রক্রিয়াজাত খাবার আমাদের শরীরে প্রদাহের সমস্যা বাড়িয়ে দেয়। চিপস, চপ, তেলেভাজা, সসেজ, সালামি, হ্যাম, বার্গার এসব থেকে নিজের লোভ সংবরণ করুন। তুলনায় চেষ্টা করুন ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ খাবার খেতে।
যাঁদের ওভারিয়ান সিল্টের সমস্যা থাকে তাঁদের দুগ্ধজাতীয় খাবার খেলেও সমস্যা হয়। কারণ দুধের মধ্যে থাকে হাই ইস্ট্রোজেনিক অ্যাসিড। যা ইনসুলিন হরমোনের গ্রোথ ফ্যাক্টর হিসেবে কাজ করে। সেই সঙ্গে অ্যান্ড্রোজেন হরমোনের উৎপাদন বাড়ায়। পিসিওএসে আক্রান্ত মহিলাদের মধ্যে সেই সম্ভাবনা থাকে অনেকটাই বেশি। তাই দুগ্ধজাত খাবার একেবারেই এড়িয়ে চলবেন।