TV9 Bangla Digital | Edited By: megha
Aug 27, 2022 | 7:16 PM
ফ্যাটি লিভার ধরা পড়লে জীবনধারার উপর রাশ টানতে হয়। বিশেষ নজর দিতে হয় খাদ্যতালিকার উপর। পাশাপাশি আপনি যদি বেশ কিছু ঘরোয়া টোটকা মেনে চলতে পারেন তাহলে উপকার পাবেন। দেখে নিন ঘরোয়া প্রতিকারগুলো কী-কী...
ফ্যাটি লিভার রোগের জন্য সবচেয়ে কার্যকর ঘরোয়া প্রতিকারগুলির মধ্যে একটি হল অ্যাপেল সাইডার ভিনেগার। এটি লিভারে জমে থাকা চর্বি কমিয়ে ওজন কমাতে সাহায্য করে। এটি প্রদাহ কমিয়ে লিভারের সুস্থ কার্যকারিতাকেও উৎসাহিত করে। এক গ্লাস গরম জলে এক টেবিল চামচ অ্যাপেল সাইডার ভিনেগার ও সামান্য মুধ মিশিয়ে টানা দু'মাস পান করুন।
লেবুতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে যা লিভারকে গ্লুটাথিয়ন তৈরি করতে সাহায্য করে। এই এনজাইম লিভার থেকে টক্সিন দূর করতে সাহায্য করে। ফ্যাটি লিভারের সমস্যাকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে আপনি লেবুর জলও পান করতে পারেন।
গ্রিন টি-তে উচ্চ-ঘনত্বের ক্যাটেচিন রয়েছে, যা লিভারের কার্যকারিতা উন্নত করে এবং নন-অ্যালকোহলযুক্ত লিভারের রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের চর্বি পোড়াতে সাহায্য করে। ফ্যাটি লিভারের ঝুঁকি এড়াতে দিনে ৩ থেকে ৪ কাপ গ্রিন টি পান করতে পারেন।
হলুদ হল সুপারফুড। হলুদের মধ্যে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ফ্যাটি লিভারের চিকিৎসায় সাহায্য করে। পাশাপাশি এটি লিভারে চর্বি জমতে দেয় না। আপনি গরম জলে কাঁচা হলুদ মিশিয়ে পান করতে পারেন। অথবা এক গ্লাস দুধে হলুদ মিশিয়েও প্রতিদিন পান করতে পারেন।
ফ্যাটি লিভার রোগের অন্যতম প্রধান কারণ হল চর্বিযুক্ত খাবার খাওয়া। পেঁপে এবং এর বীজ উভয়ই চর্বি পোড়াতে কার্যকর, ফলে এর দ্বারা ফ্যাটি লিভারের রোগ প্রাকৃতিকভাবে প্রতিরোধ করা সম্ভব। প্রতিদিন আপনি পেঁপে খেতে পারেন। আপনি এর বীজ পিষে জলে মিশিয়েও পান করতে পারেন।
আমলকি ফ্যাটি লিভারের আরেকটি কার্যকর ঘরোয়া প্রতিকার। আমলকি ভিটামিন সি সমৃদ্ধ এবং এটি যকৃতের সঠিক কার্যকারিতাতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে। এটি এটি লিভার থেকে টক্সিন অপসারণ করে কাজ করে। কাঁচা আমলকি খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য সবচেয়ে উপকারী।