উচ্চরক্তচাপের (Hypertension) সমস্যা বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই জিনগত হয়। এছাড়াও আরও একাধিক কারণ থাকতে পারে। অনেক সময় দীর্ঘদিন কোনও ওষুধ খেলেও যেমন এই সমস্যা আসার সম্ভাবনা থাকে তেমনই হার্টের (Heart Problem) কোনও সমস্যা থাকলে তার সঙ্গেও কিন্তু জড়িত থাকে উচ্চরক্তচাপের সমস্যা। তেমনই কর্মক্ষেত্রে বা পারিবারিক জীবনে দীর্ঘদিন ধরে অতিরিক্ত মানসিক চাপ (Mental Pressure) থাকলেও কিন্তু সেখান থেকে আসতে পারে এই অতিরিক্ত রক্তচাপজনিত একাধিক সমস্যা। আর তাই যদি সমস্যা থাকে বাড়ির অন্দরেই তাহলে কিন্তু প্রথম থেকে সাবধানে থাকতে হবে। এক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রিত জীবনযাত্রা খুবই জরুরি। সেই সঙ্গে খাদ্যাভ্যাসেও আনতে হবে বেশ কিছু পরিবর্তন। কারণ উচ্চরক্তচাপ থাকলেই সেখান থেকে আসে একাধিক স্বাস্থ্য সমস্যা। জটিল হতে পারে হার্ট অ্যার্টাকের ঝুঁকিও।
পরিবারগত কারণেও কিন্তু একাধিক সমস্যা আসে। প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম তা চলতেই থাকে। এই সমস্যার মধ্যে কিডনি, হার্ট, ডায়াবিটিস-সহ আরও একাধিক সমস্যা থাকে। অপুষ্টি কিংবা অতিরিক্ত মদ্যপান করলেও কিন্তু আসতে পারে হাইপারটেনশন। আজকাল জীবনযাত্রা আগের থেকে অনেক বেশি জটিল। ফলে প্রথম থেকেই এ বিষয়ে সচেতন থাকতে হবে।
স্যাচুরেটেড ফ্যাট নয়- রোজকার ডায়েট থেকে স্যাচুরেটেড ফ্যাট একেবারেই কমিয়ে ফেলতে হবে। ৬ শতাংশের বেশি একেবারেই খাওয়া যাবে না। এছাড়াও মোট ফ্যাট দৈনিক ক্যালোরির ২৭ শতাংশের বেশি হওয়া কিন্তু ঠিক নয়। সব সময় মাখন তোলা দুধ খেতে হবে। এমনকী ফ্যাট ফ্রি পনির খান। চর্বি যতটা সম্ভব কম খাওয়ার চেষ্টা করুন।
ফাস্ট ফুড কম খান- রোজকার তালিকা থেকে যেমন নুনের পরিমাণ কম করতে হবে তেমনই কিন্তু ফাস্টফুড খাওয়াও বন্ধ করতে হবে। যে কোনও ফাস্ট ফুডের মধ্যে থাকে প্রচুর পরিমাণ নুন আর চিনি। যা আমাদের রক্তচাপের উপর প্রভাব ফেলে। এছাড়াও শরীরে যদি অতিরিক্ত নুন যায় তখন কিডনিও ঠিক মতো কাজ করে না। কিডনির কাজ ঠিকমত না হলেই প্রভাব পড়ে রক্তচাপে। শরীরে অতিরিক্ত টক্সিন জমা হলে রক্তচাপও বেড়ে যায়।
স্বাস্থ্যকর খাবার খেতে হবে- রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকবে এরকম খাবারই কিন্তু সব সময় খাওয়ার চেষ্টা করুন। শাক-সবজি, ফল, লেবু, বাদাম, গোটা শস্য, বিভিন্ন বীজ, ভেষজ খাবার, মাছ, মুরগির মাংস এসব রাখুন রোজকার ডায়েটে। অলিভ অয়েল দিয়ে তৈরি খাবাকর খেতে পারলে সবথেকে ভাল। রেড মিট কিন্তু একেবারেই খাওয়া চলবে না. ধূমপান, মদ্যপানের অভ্যাস এড়িয়ে চলুন।
ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখুন- অতিরিক্ত ওজন বা ওবেসিটি জনিত সমস্যা থাকলেও কিন্তু সেখান থেকে আসে এই উচিচরক্তচাপ জনিত সমস্যা। নিয়মিত শরীরচর্চা না করলে একাধিক সমস্যা আসে। আর তাই আগে থেকেই সতর্ক থাকুন। রোজ ৩০ মিনিট করে অবশ্যই শরীরচর্চা করুন। মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। সেই সঙ্গে ভালকরে ঘুম হওয়াটাও কিন্তু খুবই জরুরি। এছাড়াও ১০ দিন অন্তর নিয়ম করে রক্তচাপ মেপে নিতে হবে। রক্তচাপ যদি ১২০/৮০ mmHg এর কম বা বেশি হয়, তাহলে অবশ্যই দেরি না করে চিকিৎকের পরামর্শ নিন।
Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি শুধুমাত্র তথ্যের জন্য, কোনও ওষুধ বা চিকিৎসা সংক্রান্ত নয়। বিস্তারিত তথ্যের জন্য আপনার চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন।
আরও পড়ুন: Type 2 Diabetes: জীবন হোক চিনি-মুক্ত! ধারেকাছেও ঘেঁষবে না ডায়াবিটিস…