দেহে বিভিন্ন রোগের লক্ষণ ফুটে ওটে জিহ্বায় বা জিভে। জিভের সাধারণ রঙের পরিবর্তনেই তা স্পষ্ট হয়। সকাল-সন্ধ্যা দাঁত মাজার সঙ্গে মুখ পরিষ্কার করলেও সেই দাগ ফুটে ওঠে। মুখের স্বাস্থ্যের সঠিক খেয়াল না রাখলে জিভের উপর সাদা আস্তরণ পড়ে। ব্যাক্টেরিয়া ও ছত্রাকের আক্রমণে এমনটা হতে পারে। শরীরে জলের ঘাটতি হলেও জিভ সাদা হয়ে যায়। নিয়মিত মদ্যপান, ধূমপান করলেও কিন্তু জিভের উপর সাদা স্তর পড়ে।
মুখের ভিতর নানা ধরনের ছত্রাক বসবাস করে। তার মধ্যে একটি হল ‘ক্যান্ডিডা ইস্ট’। এই ছত্রাকটি মাত্রাতিরিক্ত বেড়ে গেলেও জিভে সাদাটে আস্তরণ তৈরি হতে পারে। বিজ্ঞানের ভাষায় একেই বলে ‘ওরাল থ্রাশ’। সাধারণত গুরুতর সমস্যা না হলেও ওরাল থ্রাশ শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমিয়ে দিতে পারে।
চিকিৎসকরা ওরাল থ্রাশের জন্য অ্যান্টিফাঙ্গাল ওষুধ দিয়ে থাকেন। এই ধরনের ওষুধ ৭ থেকে ১৪ দিনের মতো খেতে হয়। এর পাশাপাশি বাড়িতে নুন-জল দিয়ে কুলকুচি করলে এই সমস্যায় ভালো হয়। সংক্রমণ থাকা অব্দি রোজ টুটব্রাশ পাল্টাতে পারলে ভালো হয়। তবে এই রোগ বেশি দিন থাকলে মুখের মধ্যে অন্য রোগ জন্ম নিতে পারে। জল বা খাবার খেতেও সমস্যা তৈরি হতে পারে। পরিস্থিতি খারাপ হলে জিভে ব্যথাও হয় অনেকের।