Oral Health: দাঁতের ব্যথা থেকেও হতে পারে হৃদরোগ! যত্ন নেবেন কী ভাবে?
ওরাল হেলথ শরীরের নানা রোগের জানান দেয়। ডায়াবিটিসের মত রোগ অনেক সময় ধরা পড়ে রোগীর মুখের স্বাস্থ্যের অবস্থা দেখে। বিশ্বের অনান্য দেশের নিরিখে ভারতে ওরাল ক্যান্সারের প্রবণতা বেশি। তাই বিশেষ করে যারা তামাক জাতীয় দ্রব্য সেবন করেন তাদের অন্তত ছয় মাসে একবার করে ওরাল স্ক্রিনিং করানো আবশ্যিক।
দাঁতের ব্যথা বা মাড়ির সমস্যা আজকাল খুব সাধারণ একটি সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। দাঁতের ব্যথা থেকে মাড়িতে ব্যথা, রক্তপাত, দাঁতে পোকা এসব আমাদের নিত্য সঙ্গী। ৮ থেকে ৮০ সবাই এই সমস্যায় ভুক্তভুগি। এফডিআই ওয়ার্ল্ড ডেন্টাল ফেডারেশনের মতে বর্তমানে পৃথিবীর প্রায় শতকরা ৯০ ভাগ লোক জীবদ্দশায় কখনও না কখনও দাঁতের সমস্যায় ভোগেন। ভারতেও ওরাল ক্যানসারে আক্রান্তের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। তাও ওরাল হেলথ আমরা নিয়ে কেউ খুব বেশি মাথা ঘামাই না। আপনি কি জানেন, মুখগহ্বরের স্বাস্থ্য শুধু মুখেই আটকে নেই। এর সঙ্গে জড়িয়ে গিয়েছে আপনার হার্টের স্বাস্থ্য। সাম্প্রতিকতম গবেষণা বলছে, ওরাল হেলথ হৃদরোগের সঙ্গে জড়িত। অর্থাৎ, মুখের ভিতরে যদি কোনও সমস্যা হয়, সেখান থেকে আপনার হার্টের উপরে খারাপ প্রভাব পড়বে।
ঠিক মতো দাঁত না মাজলে, মাড়ি ও দাঁতে ব্যাকটেরিয়া জমে থাকে। এই জীবাণু আমাদের রক্তের সঙ্গে মেশে এবং শারীরিক প্রদাহ তৈরি করে। অনেক সময় এই ব্যাকটেরিয়াগুলির কারণে রক্তনালিতে রক্ত জমাট বেঁধে যায়। এর জেরে রক্ত সঞ্চালন ব্যহত হয়। তখনই হার্টের উপর চাপ পড়ে এবং হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ে। শুনে অবাক হবেন, শুধুমাত্র দাঁত ও মাড়ির কারণে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি প্রায় সাড়ে ৩ গুণ বেড়ে যায়। এছাড়াও সিগারেট, বিড়ির মতো তামাক দ্রব্য মুখগহ্বর ও হার্টের উপর সরাসরি প্রভাব ফেলে।
কেন যত্ন নেওয়া প্রয়োজন মুখের স্বাস্থ্যের? ওরাল হেলথ শরীরের নানা রোগের জানান দেয়। ডায়াবেটিসের মত রোগ অনেক সময় ধরা পড়ে রোগীর মুখেগহ্বরের স্বাস্থ্যের অবস্থা দেখে। বিশ্বের অনান্য দেশের নিরিখে ভারতে ওরাল ক্যানসারের প্রবণতা বেশি। তাই বিশেষ করে যারা তামাক জাতীয় দ্রব্য সেবন করেন তাদের অন্তত ছয় মাসে একবার করে ওরাল স্ক্রিনিং করানো আবশ্যিক।
মুখের যত্ন নিতে কী করবেন? মাড়ির সমস্যায় ভোগেন বা দাঁতে ক্যাভিটি এমন মানুষের সংখ্যা নেহাত কম নয়। এই ধরনের সমস্যা থেকে দূরে থাকতে প্রয়োজন দিনে অন্তত দু-বার, দু-মিনিট ধরে ব্রাশ করা, এবং মিষ্টি জাতীয় খাবার কম খাওয়া। এছাড়া দরকার নিয়মিত চেক আপের। তামাক জাতীয় দ্রব্য দাঁতের পক্ষে খুব ক্ষতিকারক।
দাঁতে পোকা বা ক্যাভিটি হলে কী করবেন? অনেক সময় প্রফেশনাল ক্লিনিং বা স্কেলিং করালে ক্যাভিটি বা মাড়ির সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যেতে পারে। কিন্তু ক্যাভিটি বেড়ে গেলে প্রয়োজন হতে পারে রুট ক্যানেল এর। এই পদ্ধতিতে দাঁত না তুলে, ক্যাভিটি পরিস্কার করে, দাঁতের উপর একটি বিশেষ টুপি পরিয়ে দেওয়া হয়। তাতে দাঁত সুরক্ষিত থাকে।
আপনার কি মাড়ি থেকে রক্তপাত হয়? কী করবেন? মাড়ি থেকে রক্ত পড়ার নানা কারণ থাকতে পারে। তাই প্রয়োজন সঠিক স্ক্রিনিং এর। অনেক সময় হৃদ রোগীদের রক্ত পাতলা করার জন্য ওষুধ দেওয়া হয়। সেই সময় মাড়িতে যদি ইনফেকশন থাকে তবে রক্তপাত হতে পারে। লিউকেমিয়া রোগীদেরও মাড়ি থেকে রক্তপাত হয়। তবে এ ছাড়াও আরও অনেক কারণ থাকতে পারে। তাই তাই মাড়ি থেকে রক্তপাত হলে অবশ্যই কোনও চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।