Cold And Flu: সর্দি-কাশি-জ্বর-দুর্বলতায় নাজেহাল রোগীর সংখ্যা বাড়ছে! রোগ প্রতিরোধে কী করবেন?

Immune Systems: ঠান্ডা লেগে সর্দি-জ্বরে ভোগা তেমন কোনও বড় সমস্যা নয় বলেই মনে করি আমরা। তবে এই বছর ঋতু পরিবর্তনের সময়ে যে জ্বর হচ্ছে তাতে আগে থেকে ব্যবস্থা নিতে বলছেন চিকিৎসকরা। বিশেষজ্ঞরা বলছেন সময়ে সঠিক ব্যবস্থা না নিলে হাসপাতালেও ভর্তি হওয়ার দরকার পড়তে পারে।

Cold And Flu: সর্দি-কাশি-জ্বর-দুর্বলতায় নাজেহাল রোগীর সংখ্যা বাড়ছে! রোগ প্রতিরোধে কী করবেন?
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 30, 2022 | 6:50 AM

উৎসবের মরশুম (Festive Season) শুরু হয়ে গিয়েছে। আকাশে ভাসছে শরতের মেঘ, বাতাসে টের পাওয়া যাচ্ছে শিরশিরানি। দিন ছোট হচ্ছে। ক্রমশ কমছে তাপমাত্রা। বাড়ছে কোল্ড, ফ্লু  (Cold And Flu)এবং অন্যান ঋতু পরিবর্তনজনিত (Season Change) অসুখবিসুখ। এই ধরনের সমস্যা থেকে দূরে থাকতে হলে সঠিক মাত্রায় প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে। উপযুক্ত ব্যবস্থা নিলে তা ঋতু পরিবর্তনজনিত অসুস্থতা থেকে আপনাকে রক্ষা করবে। কারণ চলতি বছরে অনেকেই সাধারণ কোল্ড এবং ফ্লু’তে আক্রান্ত হচ্ছেন। কোল্ড এবং ফ্লু খুব সাধারণ সমস্যা মনে হলেও দেখা যাচ্ছে রোগীরা একবার আক্রান্ত হলে জ্বর, সর্দি এবং কাশিতে তাঁদের নাজেহাল অবস্থা হচ্ছে। সেই সঙ্গে থাকছে চরম দুর্বলতা। ফলে তিনদিনে জ্বর কমে গেলেও তার প্রভাব থাকছে বেশ কয়েকদিন। তাতে কাজে যোগ দিতে আরও দেরি হয়ে যাচ্ছে। দৈনন্দিন জীবনেও পড়ছে প্রভাব।

কথায় আছে ‘প্রিভেনশন ইজ বেটার দ্যান কিওর’। অর্থাৎ ‘রোগে পড়ার আগে প্রতিরোধ করাই বুদ্ধিমানের কাজ’। তাই প্রথম থেকে ব্যবস্থা না নিলে হাসপাতালেও ভর্তি হওয়ার মতো ঘটনা ঘটতে পারে। বিশেষ করে বয়স্ক ও বাচ্চাদের হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার আশঙ্কা যথেষ্ট বেশি। প্রশ্ন হল করবেন কী?

অসুস্থদের থেকে দূরত্ব: পুজোর মরশুম। তাই দলবেঁধে ঘুরতে যাওয়াই রীতি। তবে এই বছর করোনার প্রকোপ এখনও কাটেনি। তাই ঘুরতে বেরলেও মাস্ক ব্যবহার করতে ভুলবেন না। আবার যে কোনও ইনফ্লুয়েঞ্জা থেকে বাঁচতে মাস্কের ভূমিকা অপরিসীম। এছাড়া সর্দি-কাশিতে আক্রান্ত যে কোনও ব্যক্তির থেকে দূরত্ব বজায় রাখুন। কারণ এই ধরনের ব্যক্তির হাঁচি-কাশির সঙ্গে বেরনো ড্রপলেট থেকে সুস্থ ব্যক্তির দেহে প্রবেশ করতে পারে জীবাণু।

হাত ধোওয়া: বারবার হাত ধোয়ার অভ্যেস বজায় রাখুন। কারণ নোংরা হাত মুখে দিলে সেখান থেকেও শরীরে জীবাণু প্রবেশ করতে পারে। ফলে সঠিকভাবে হাত ধুলে হাতের জীবাণু ধ্বংস হবে। রোগজীবাণু থেকেও দূরে থাক যাবে। সাবান ও জল না পেলে হ্যান্ড স্যানিটাইজারের ব্যবহার করতে পারেন। খাবার খাওয়ার আগে হ্যান্ড স্যানিটাইজারের ব্যবহার করুন সঠিকভাবে। হাতে স্যানিটাইজার লাগিয়ে মিনিট দেড়েক অপেক্ষা করুন। তারপর ওই হাত দিয়ে খাবার খান।

সুষম আহার: শরীরের রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে হলে সুষম খাদ্য গ্রহণ করা জরুরি। কারণ খাদ্যের ভিটামিন ও খনিজই আমাদের দেহের রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা শক্তিশালী করে তোলে। তাই নিয়মিত খাদ্য তালিকায় রাখুন মাছ, চিকেন, ডিম, শাকসব্জি, ফল। মাছ, মাংস, ডিমের প্রোটিন এবং শাকসব্জি ও ফলে থাকা ভিটামিন আমাদের ইমিউনিটি বাড়াতে সাহায্য করে।

স্বাস্থ্যবিধি: আশপাশের এলাকা পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করুন। কোথাও জল জমতে দেবেন না। কারণ জমা জলে মশা ডিম পাড়ে। সেখান থেকে মশাবাহিত নানা অসুখ হওয়ার আশঙ্কা থেকেই যায়। এছাড়া বাড়িঘরও পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখুন। সেক্ষেত্রে জীবাণুদের বাড়বাড়ন্ত রোধ হবে। রোগ ছড়িয়েও পড়তে পারবে না।

শীতের জন্য তৈরি: পুজোর মরশুমে রাতের দিকেও অনেকে ঘোরাঘুরি করেন। রাতের দিকে কিন্তু দ্রুত তাপমাত্রা কমে যায়। তাই রাতে ঘুরতে বেরলে সঙ্গে একটা গরম জামাকাপড় রাখুন। এছাড়া রাত্রে গায়ে চাদর দিয়ে ঘুমোন। হুট করে ঠান্ডা লাগার আশঙ্কা কমবে।