আগেকার দিনে রুপোর পাত্রে খাওয়াদাওয়ার চল ছিল। মানুষ রুপো, তামা কিংবা সোনার পাত্রেও খাওয়াদাওয়া করতেন। কিন্তু আপনি যদি ভেবে থাকেন বৈভবের কারণে তাঁরা এমনটা করতেন, তেমনটা কিন্তু নয়। পুরনো দিনে মানুষের জীবনে অত্যাধুনিকতা ছিল না, জিনিসপত্রের দামও এত বেশি ছিল না। তাঁরা ভেজাল খাবার খেতে না, এমনকী স্বাস্থ্যের কথা চিন্তা করে আয়ুর্বেদেই বিশ্বাস করতেন। সেই আয়ুর্বেদই বলছে, রুপোর পাত্রে আহার করা কতখানি ভাল।
১. বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, রুপোয় আছে অ্যান্টি-ব্যাক্টেরিয়াল গুণ। জীবাণু নাশ করার শক্তি আছে এই ধাতুতে। ফলে শুধু খাওয়াদাওয়া নয়, রুপোর পাত্রে দীর্ঘক্ষণ খাবার রেখে দিতে পারেন আপনিও। খাবারে পচন ধরে না। অনেকক্ষণ সতেজ থাকে খাবার। থালা না হলেও খাবার খাওয়ার সময় রুপোর একটি চামচ ব্যবহার করতেই পারেন আপনি। কিংবা ব্যবহার করতে পারেন রুপোর বাটি।
২. জীবাণুদের সঙ্গে লড়াই করার পাশাপাশি, আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে পারে রুপো। বহু রোগভোগ থেকে রক্ষা করে এই ধাতু। শরীরের ইমিউনিটি বৃদ্ধি করে। তাই বাড়িতে রুপোর পাত্র থাকলে তাতে চটপট খাওয়া শুরু করে দিতে পারেন।
৩. রুপোর পাত্রে খাবার খেলে শরীর ঠান্ডা হয়। তাড়াতাড়ি হজমে সহায়ক এই ধাতু। হজমশক্তি বাড়িয়ে দেয় অনেকটাই। ফলে আপনার যদি হজমের সমস্যা থাকে নির্দ্বিধায় রুপোর থালায় খেতে শুরু করে দিন। সমস্য়ার সমাধান হয়ে যাবে।
৪. অন্যান্য ধাতুর তুলনায় রুপোর পাত্রে রয়েছে নন-টক্সিন উপাদান। ধাতুটি খাবারে রাসায়নিক বিক্রিয়া ঘটায় না। যে কারণে খাবারের খাদ্যগুণ বজায় থাকে।
আরও পড়ুন: দেখুন ছবিতে: সবসময় দল বেঁধে বেড়াতে যাওয়া কি ভাল?
আরও পড়ুন: Kareena Kapoor Khan: টক দই ও কাঠবাদামের তেল দিয়ে কী করেন করিনা?