দোল দোরগোড়ায়। রঙের উৎসবে মেতে উঠবে ছোট থেকে বড় সকলে। কিন্তু নিজের খেয়াল রাখবেন তো? দোলের সময় এমন অনেক দুর্ঘটনা ঘটে যায়, যা আমরা কেউ ভাবতে পারিনা। তাই রঙের উৎসব সতর্কতার সঙ্গে পালন করা উচিত। সাধারণত দোলের সময় আমরা ত্বক ও চুল নিয়ে বেশি সচেতন হই। কিন্তু দোলের মরশুমে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় আমাদের চোখ। প্রথমত, বসন্তের আবহে রোগের ঝুঁকি বাড়ে। তার মধ্যে চোখের সংক্রমণও রয়েছে। তার উপর দোলে রং খেলার জন্যও চোখের নানা রকম সমস্যা দেখা দেয়।
রঙের গুণগত মান খারাপ হওয়ার কারণে ত্বক ও চোখের উপর মারাত্মক প্রভাব পড়ে। দোল খেলতে খেলতে অনেক সময় চোখের মধ্যে রং ঢুকে যায়। অনেক সময় কপালে বা মাথায় আবির দেওয়ার সময় রঙের গুঁড়ো চোখের পাতায় এসে পড়ে। আবার রং মাখতে মাখতে মনের ভুলে চোখে হাত দিয়ে দেন অনেকে। প্রাথমিক অবস্থায় চোখে জ্বালাভাব দেখা দেয়। ওই সময় ভুলেও চোখ রগরানোর চেষ্টা করবেন না। এখান থেকেই চোখে ব্যাকটেরিয়াল ইনফেকশন হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়। বরং, দোল খেলার সময় বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত।
রং খেলার সময় সানগ্লাস ব্যবহার করুন। যাঁদের চোখের সমস্যা বা পাওয়ার রয়েছে, তাঁরা অবশ্যই চশমা পরুন। চোখকে রঙের হাত থেকে বাঁচাতে এই প্রাথমিক কাজটা আপনাকে করতেই হবে। চশমা ব্যবহার করলে আপনি সহজেই চোখকে রঙের হাত থেকে রক্ষা করতে পারবেন।
জল রঙের চেয়ে শুকনো রং, আবির চোখের জন্য বেশি ক্ষতিকর। তাই রং বাছাইয়ের ক্ষেত্রে আপনাকে সতর্ক থাকতে হবে। যেহেতু এখন বেশিরভাগ রঙে ভেজাল মেশানো থাকে, তাই রং কেনার সময় যাচাই করে নিন। অর্গানিক রং ব্যবহার করুন। এতে চোখের পাশাপাশি আপনি ত্বকেও ক্ষতিকারক রঙের হাত থেকে বাঁচাতে পারবেন।
জল ভরা বেলুন ছোঁড়ার সময় সতর্ক থাকুন। কারও মুখের দিকে তাক করে বেলুন ছুঁড়বেন না। এই ধরনের কর্মকাণ্ডে মারাত্মক ক্ষতি হয়ে যেতে পারে। একইভাবে, কাউকে পিছন থেকে রং মাখাবেন না। এতে চোখের মধ্যে রং ঢুকে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
দোল খেলতে খেলতে চোখের মধ্যে রং ঢুকে গেলে ভয় পাবেন না। ভুলেও রং হাতে চোখ রগরাবেন না। প্রথমে সাবান দিয়ে হাত ধুয়ে নিন। তারপর পরিষ্কার জল দিয়ে চোখ ধুয়ে ফেলুন। প্রয়োজনে তুলোর বল জলে ভিজিয়ে তারপর চোখ পরিষ্কার করে নিন। তাতেও যদি চোখের জ্বালাভাব কিংবা অস্বস্তি না কমে, তাহলে দ্রুত চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করুন।