ব্যথা কমাতে (Pain Relief) কিন্তু ঘন ঘন ওষুধ (Painkiller) খাওয়া যখন চলবে না। এই নিজেদের ডাক্তারিগুলো আমাদের শরীরের অনেক ক্ষতি করে চলেছে প্রতি মুহূর্তে। হ্যাঁ, আপনি মনে করতে পারেন, যে ওষুধ না খেলে কষ্ট কমানোর উপায় কী? উপায় আছে। আর সেই উপায় আপনার রান্নাঘরেই সামিল। আমার-আপনার রান্না ঘরেই এমন কিছু প্রাকৃতিক পেনকিলার (Natural Painkiller) রয়েছে, যা ব্যথা কমাতে বিশেষ ভূমিকা নেয়। তাই একবার সেই সবের খোঁজ পেয়ে গেলেই ব্যথা নিমেষের মধ্যে উধাও হয়ে যাবে আর শারীরিক কোনও ক্ষতিও হবে না। যাঁরা ভাবছেন, প্রাকৃতিক উপাদান দিয়ে যন্ত্রণা কমানো সম্ভব নয়, তাঁরা একবার এই টিপসগুলো দেখে নিন, জানতে পারবেন ঠিক কত ভাল উপায়ে ব্যথার উপশম করা সম্ভব।
আদা:
প্রাকৃতিক পেনকিলারের লিস্টে একেবার উপরের দিকে আদাকে না রাখলেই নয়। কারণ, এক টুকরো আদার কুচি খাওয়ামাত্র শরীরে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদানের মাত্রা এতটাই বেড়ে যায় যে তার প্রভাবে মাসিক যন্ত্রণা তো কমেই, সেই সঙ্গে পেশির ব্যথা, বাতের যন্ত্রণা এবং পেটের ব্যথা কমাতেও সময় লাগে না।
হলুদ:
যে-কোনও ধরনের যন্ত্রণা কমাতে হলুদের জুড়ি মেলা ভার। কারণ, এতে রয়েছে কারকিউমিন নামে এক ধরনের অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান, যা জয়েন্ট এবং পেশির যন্ত্রণা কমাতে বিশেষ ভূমিকা নেয়। শুধু তাই নয়, ক্যানসারের মতো মারণ রোগকে দূরে রাখতে, হজম ক্ষমতার উন্নতি ঘটাতে, দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে শক্তিশালী করে তুলতে এবং শরীরকে বিষমুক্ত রাখতেও নানা ভাবে সাহায্য করে এই প্রাকৃতিক উপাদানটি।
টক দই:
দই খেলে পেট ব্যথা কমে যায়। কারণ দইয়ে রয়েছে বেশ কিছু উপকারী উপাদান যা পেটের যন্ত্রণা কমাতে বিশেষ ভূমিকা নেয়। বিশেষত, পিরিয়ডের সময়কার যন্ত্রণা কমাতে দইয়ের কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে। তাই এবার থেকে মাসের এই বিশেষ সময়ে যদি দিনে দু’বাটি করে দই খেতে পারেন, তা হলে উপকার যে পাবেই পাবেন, সেকথা হলফ করে বলতে পারি।
অ্যাপেল সাইডার ভিনিগার:
রাতে শুতে যাওয়ার আগে এক গ্লাস জলে এক চামচ করে অ্যাপেল সাইডার ভিনিগার এবং মধু মিশিয়ে সেই মিশ্রণটি পান করুন। দেখবেন, যে-কোনও ধরনের ব্যথা কমে যেতে সময় লাগবে না। বিশেষ করে ঘুমনোর সময় পায়ে যাঁদের শিরায় টান ধরার সমস্যা আছে, তা থেকে অনেকটাই আরাম পাবেন।
Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি শুধুমাত্র তথ্যের জন্য, কোনও ওষুধ বা চিকিৎসা সংক্রান্ত নয়। বিস্তারিত তথ্যের জন্য আপনার চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন।