ডায়াবেটিসের সমস্যা এখন ঘরে ঘরে। যত দিন গড়াচ্ছে ততই বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। আগে একটা বয়সের পর সুগার হত। কিন্তু এখন খুব কম বয়স থেকেই দেখা যাচ্ছে এই সমস্যা। সুগার বাড়ছে কিনা তার জন্য নিয়মিত পরীক্ষা এবং ওষুধ খাওয়া জরুরি। সেই সঙ্গে পরিবর্তন আনতে হবে রোজকার ডায়েটেও। টাইপ ২ ডায়াবেটিসে আক্রান্তের সংখ্যা বেশি হলেও এখন কিন্তু গর্ভকালীন ডায়াবেটিসের সংখ্যাও বেড়েছে। অনেক হবু মা-ই ভুগছেন এই সমস্যায়। যাঁদের পারিবারিক ইতিহাসে ডায়াবেটিসের সমস্যা রয়েছে তাঁরা বেশিরভাগ আক্রান্ত হন টাইপ ১ ডায়াবেটিসে। আন্তর্জাতিক ডায়াবিটিস ফেডারেশন পরিচালিত ২০১৭ সালের একটি সমীক্ষা অনুসারে, ভারতে প্রায় ৭২ কোটি মানুষ সুগারের সমস্যায় ভুগছেন। ২০২১ সালে সেই সংখ্যা গিয়ে দাঁড়িয়েছে ৭৪ কোটিতে।যার মধ্যে ৫৩.১ শতাংশ মানুষের মধ্যে কোনও উপসর্গ থাকবে না। অজান্তেই তাঁরা আক্রান্ত হবেন এই মারণ রোগে।
আর তাই প্রথম থেকেই সতর্ক হতে বলচেন চিকিৎসকরা। নিয়মিত ভাবে স্বাস্থ্য পরীক্ষা সব মানুষের জন্যি কিন্তু ভীষণ জরুরি। গ্রাম-শহর বা শ্রেণি বৈষম্য দেখে কিন্তু ডায়াবেটিস হয় না। আজকাল আমাদের যেমন জীবনযাত্রা তাতে যে কোনও মানুষ যে কোনও সময় আক্রান্ত হতে পারেন। ক্লান্তি, দুর্বলতা, মাথা ঘোরা, দৃষ্টিশক্তি ঝাপসা হয়ে যাওয়া, অতিরিক্ত তেষ্টা পাওয়া, খেতে ইচ্ছে না করা এসব কিন্তু ডায়াবেটিসের লক্ষণ। এছাড়াও বেশ কিছু লক্ষণ রয়েছে যাতে আপনি বুঝতে পারবেন যে শরীরে রক্ত শর্করার পরিমাণ বাড়ছে।
গ্লুকোজের স্বাভাবিক মাত্রা
গ্লুকোজ শরীরের শক্তির প্রধান উৎস। বিশেষজ্ঞদের মতে, একজন সুস্থ ব্যক্তির রক্তে শর্করার মাত্রা খাওয়ার আগে 100 mg/dl এর কম হওয়া উচিত। একই সময়ে, একজন ডায়াবেটিস রোগীর রক্তে শর্করার মাত্রা ৮০-১৩০ mg/dl-এর মধ্যে হওয়া উচিত। খাবার খাওয়ার পর একজন সুস্থ ব্যক্তির রক্তে শর্করার মাত্রা ১৪০ mg/dl-এর কম হওয়া উচিত। যেখানে একজন ডায়াবিটিক রোগীর ১৮০ mg/dl-এর কম হওয়া উচিত।
রক্তে সুগার বাড়লে মুখে যে সব পরিবর্তন দেখা যায়-
ডায়াবিটিসের সাধারণ উপসর্গ রাতে ঘন ঘন প্রস্রাব, তৃষ্ণা, ক্লান্তি, ওজন হ্রাস, ঝাপসা দৃষ্টি, গোপনাঙ্গে চুলকানির মতো সমস্যা। এ ছড়াও সুগার লেভেল বাড়লে মুখের শুষ্কতা এবং মাড়িতে হ্যালিটোসিসের মতো সমস্যা দেখা যায়। এসব ছাড়াও, দাঁতে গহ্বর সৃষ্টি হওয়া বা দাঁত থেকে রক্তপাতের মতো লক্ষণগুলিও দেখা দিতে পারে।
এই সব সমস্যা হলে অযথা ফেলে রাখবেন না বা এড়িয়ে যাবেন না। যত দ্রুত সম্ভব চিকিৎসকের কাছে যাওয়া প্রয়োজন। পরামর্শমতো ওষুধ খান। রোজকার ডায়েটে আনুন পরিবর্তন। তবেই কিন্তু নিয়ন্ত্রণে থাকবে সুগার। নিজেও থাকবেন সুস্থ।
Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি শুধুমাত্র তথ্যের জন্য, কোনও ওষুধ বা চিকিৎসা সংক্রান্ত নয়। বিস্তারিত তথ্যের জন্য আপনার চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন।