গরম ক্রমেই অসহনীয় হয়ে উঠছে। রোজ রোজ ঘাম-গরমে মানুষ ক্লান্ত। এর সঙ্গে দূষণ তো আছেই। বাইরের ধুলো-ধোঁওয়া, খাবারের ভেজাল, পোড়া তেল, মশলা- সারাদিনে প্রচুর পরিমাণ টক্সিন যায় শরীরে। আর এই টক্সিন এতটাই ক্ষতিকারক যে হাড়, পেশী, মস্তিষ্ক, হার্ট, কিডনি সব কিছুর উপর প্রভাব ফেলে। শরীর থেকে বর্জ্য অপসারণের কাজ করে লিভার। রোজ এই দূষিত পদার্থ জমতে থাকায় একসময় শরীরও কাহিল হয়ে পড়ে। আর তাই শরীরকে পরিষ্কার রাখতে নজর দিতে হবে রোজকারের খাবারে।
আর শরীর ভিতর থেকে পরিষ্কার রাখতে নিয়মিত ভাবে ভেষজ, খনিজ পদার্থ,জুস ইত্যাদির প্রয়োজন রয়েছে। যানবাহনের ধোঁওয়া, কল কারখানার ধোঁওয়া এসব শরীরের জন্য খুবই ক্ষতিকারক। এর মধ্যে থাকে সীসা, আর্সেনিক, কার্বন মনোক্সাইড, সালফার ডাই অক্সাইড নাইট্রোজেন ডাই অক্সাইড- এই সব বিষাক্ত রাসায়নিক শরীরে গেলে সেখান থেকে একাধিক ক্ষতির সম্ভাবনা থেকে যায়।
শুধু তাই নয়, বাড়িতে ব্যবহৃত সাবান, শ্যাম্পু, ডিওডোরেন্ট, ক্রিম এসবের মধ্যেও রাসায়নিক উপাদান থাকে অনেকটা পরিমাণে। এর ফলেই শরীরে টক্সিন বেশি জমতে শুরু করে। আর তাই শরীর সুস্থ রাখতে ডিটক্সিফিকেশন খুবই প্রয়োজন। শরীরে টক্সিন জমলে সেখান থেকে বিপাকে সমস্যা হয়। এছাড়াও ত্বকের নানা সমস্যা, অ্যালার্জি, হাঁপানি, ফসফুসের ক্রনিক সমস্যা এসব লেগেই থাকে। শরীরে টক্সিন জমলে ব্রণ হবেই। আর তাি এই যাবতীয় টক্সিন দূর করতে হলে কিছু খাবার আজ থেকেই শুরু করুন।
যেমন দিনের শুরুতে খান নিম-হলুদ আর আখের গুড়। নিমপাতা, কাঁচাহলুদ আর একটু আখের গুড় নিয়ে একসঙ্গে চিবিয়ে খান। এতে ক্ষতিকারক টক্সিন দূর হবে আর শরীর ভিতর থেকে থাকবে পরিষ্কার। দিনের শুরুতে যদি একগ্লাস আমলার জুস খেতে পারেন তাহলেও খুব ভাল। এতে শরীর থেকে ক্ষতিকারক টক্সিন খুব সহজেই বেরিয়ে যেতে পারে। এছাড়াও নিয়ম করে কাঁচা হলুদ, পেঁয়াজ, আদা, রসুন, অ্যালোভেরা খেতে পারলেও ভাল। রোজ একটুকরো করে কাঁচা পেঁয়াজ খাওয়ার অভ্যাস থাকলে, আদা দিয়ে চা খেলে, এক কোয়া করে কাঁচা রসুন খেলে সেখান থেকে উপকার পাবেনই। আদা-দারচিনি দিয়ে চা চলতে পারে। রোজ এক গ্লাস অ্যালোভেরার জুস খেলেও খুব ভাল কাজ হবে। জল ঢেলে ভাতের সঙ্গে একটুকরো কাঁচা পেঁয়াজ খেলে এই গরমে সবচাইতে বেশি উপকার পাবেন।