ভারতের প্রতিটা রান্নাঘরে রসুন পাওয়া যায়। খাবারে স্বাদ যোগ করার পাশাপাশি শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে রসুন। আয়ুর্বেদেও বিশেষ উল্লেখ রয়েছে এই ভেষজ উপাদানের। রসুনের মধ্যে অ্যালিসিন নামের একটি শক্তিশালী যৌগ রয়েছে। এটি আমাদের শরীরে ওষুধের মতো কাজ করে। রসুনের মধ্যে অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টি-ফাঙ্গাল বৈশিষ্ট্য রয়েছে। এই কারণেই রসুন খেলে শরীরে রোগের ঝুঁকি কমে।
প্রতি ১০০ গ্রাম রসুনে ১৫০ ক্যালোরি, ৩৩ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট, ৬.৩৬ গ্রাম প্রোটিন রয়েছে। এছাড়াও রসুনের মধ্যে ভিটামিন বি, ফোলেট, ভিটামিন সি, ক্যালশিয়াম, আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, ফসফরাস, পটাশিয়াম, সোডিয়াম এবং জিঙ্ক রয়েছে। সুতরাং, রসুন খেলে আপনার শরীরে পুষ্টির ঘাটতি হবে না। কিন্তু কোন উপায়ে খেলে এই উপকারিতা পাবেন, জানেন?
বিশেষজ্ঞদের মতে, সকালে খালি পেটে কাঁচা রসুন খেলে সবচেয়ে বেশি উপকার পাওয়া যায়। এক কোয়া রসুনের সঙ্গে ৩-৪ টুকরো লবঙ্গ ও এক চামচ মধু মিশিয়ে পান করুন। এটা ভাল করে চিবিয়ে খেতে হবে। কাঁচা রসুনের স্বাদ ও গন্ধ কড়া মনে হতে পারে। তাই এরসঙ্গে এক গ্লাস গরম জল পান করুন। আপনি চাইলে রসুন, লবঙ্গ ও মধু মিশিয়ে একটা জারে ভরে রাখতে পারেন। সেটাই প্রতিদিন সকালে খালি পেটে খান।
খালি পেটে রসুনের এই মিশ্রণ খেলে হাজার একটা উপকারিতা পাওয়া যায়। এটি উচ্চ রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে। পাশাপাশি এটি দেহে রক্ত সঞ্চালন বাড়াতে সাহায্য করে। পেটের গণ্ডগোল ভুগলেও আপনি এটি খেতে পারেন। এটি পেটের সংক্রমণ থেকে আপনাকে দূরে রাখবে। বদহজমের সমস্যা থেকেও রেহাই পাওয়া যায়। রসুন যেমন একটি চমৎকার অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, তেমনই এটি ওজন কমাতেও সাহায্য করে। শুধু মধুর সঙ্গে রসুন মিশিয়ে খেতে হবে।
কোলেস্টেরলের সমস্যাতেও আপনি কাঁচা রসুন ও মধু খেতে পারেন। রসুন হল অ্যালিসিন এবং অ্যাজোইনের মতো অ্যান্টিবায়োটিক এবং অ্যান্টিফাঙ্গাল সালফার যৌগগুলির একটি ভাণ্ডার। সুতরাং, কাঁচা রসুন মধু দিয়ে খেলে আপনি হৃদরোগের ঝুঁকিও কমিয়ে ফেলতে পারবেন। লিভারকে সুস্থ রাখতেও সাহায্য করে এই মিশ্রণটি। এই মিশ্রণ শরীর থেকে সমস্ত দূষিত পদার্থ দূর করে দেয় এবং দেহে রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে।