অশনি আর কালবৈশাখীর জেরে বিকেলের দিকে বৃষ্টি হলেও ভ্যাপসা গরম থেকে রেহাই নেই রাজ্যবাসীর। মাঝে মধ্যেই চরমে উঠছে আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি। তবে মৌসম ভবনের পূর্বাভাস এবার সময়ের আগেই রাজ্যে ঢুকবে বর্ষা। তার আগে রোদ-বৃষ্টি-গরমেই নাজেহাল মানুষ। বাড়ি থেকে অফিস পর্যন্ত রোদে তেতেপুড়ে যাওয়ার পর সরাসরি শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ঘরে ঢুকে পড়তে হয় সবাইকেই। একটানা এভাবে এসির মধ্যে থাকতে গেলে বেশিরভাগেরই মাথা ধরে থাকার মত সমস্যা হয়। যাঁদের মাইগ্রেনের সমস্যা আছে তাঁদের ক্ষেত্রে মাথাব্যথার সমস্যা আরও জটিল হয়। সঙ্গে বমি, গা গোলানো এসব তো থাকেই। রোগ গরমে বরং বাড়ে মাইগ্রেনের সমস্যা। মাইগ্রেনের সমস্যা যার হয় একমাত্র সেই বোঝে যে কতখানি কষ্ট হয়।
রোজ রোদের মধ্যে বেরোতে হলে এই সমস্যা সবচাইতে বেশি হয়। এমনিই গরমের দিনে ঘুম কম হয়। আর দিনের পরর দিন ঘুম না হলে শরীরের উপরও চাপ পড়ে। সেখান থেকে আসে স্ট্রেস। আর এই স্ট্রেস জনিত কারণেই বাড়ে মাথা ব্যথার সমস্যা। এছাড়াও জল কম খেলে সেখান থেকেও হতে পারে এই সমস্যা। মাইগ্রেনের সমস্যা হলে কিছু নিয়ম মেনে চলতেই হবে।
কোন সময়ে মাথা ব্যথা বেশি হচ্ছে সেই দিকে খেয়াল রাখুন। রোদে বেশিক্ষণ থাকলে মাথা ব্যথা হচ্ছে নাকি রান্নাঘরে বেশি সময় কাটালে সেখান থেকে সমস্যা হচ্ছে সেই দিকে খেয়াল রাখা জরুরি। কারণ যদি খুঁজে না পান তাহলে কিছু জিনিস মেনে চলতেই হবে। সেদিন কোন খাবার খেয়েছেন আর সেই খাবার থেকে অ্যালার্জি হচ্ছে কিনা তা খেয়াল করে রাখুন। যদি মনে হয় খাবার থেকে অসুবিধে হচ্ছে তাহলে সেই খাবার এড়িয়ে চলুন।
মাইগ্রেনের সমস্যা থাকলে বেশি করে জল খেতেই হবে। জল কম খেলে সমস্যা অনেক বেশি হবে। চেষ্টা করুন জল বেশি করে খেতে। পাশাপাশি চিনি, কফি এসব এড়িয়ে চলুন। দুধ দেওয়া কফি বা চা খাবেন না। এতে সমস্যা আরও অনেক বেশি হয়। মাইগ্রেনের সমস্যা থাকলে কোনও রকম চকোলেট খাবেন না। তা আইসক্রিম হোক, চকোলেট বা কেক। এতে কিন্তু ব্যথা আরও বেশি হয়।
লাইফস্টাইলে পরিবর্তন আনুন। ঘুম কম হলেই সমস্যা বাড়বে। আর তাই রোজ ঠিকমতো ঘুম হওয়া খুব জরুরি। সময় মেনে খাওয়া-দাওয়া করুন। ফল, সবজি বেশি করে খান। মশলাদার খাবার একেবারেই খাবেন না। রেড মিট এড়িয়ে চলুন। ঠিক সময় মেনে খাওয়া দাওয়া করুন।
মাইগ্রেনের ব্যথায় পেপারমিন্ট তেল ব্যবহার করুন। এতে পেশি শিথিল হয়, সেই সঙ্গে মাথা ব্যথা থেকেও মুক্তি পাওয়া যায়।
Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি শুধুমাত্র তথ্যের জন্য, কোনও ওষুধ বা চিকিৎসা সংক্রান্ত নয়। বিস্তারিত তথ্যের জন্য আপনার চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন।