আলোর উৎসব শুধু আতশবাজির রোশনার মধ্যে সীমিত থাকে না। বাঙালির কাছে উৎসব মানে জমিয়ে খাওয়া-দাওয়া আর অফুরন্ত আড্ডা। আর যেখানে দীপাবলি নিয়ে আলোচনা হচ্ছে সেখানে স্ন্যাকসের কমতি থাকে না। কিন্তু কালীপুজোয় রাত অবধি জেগে, উপোস করে তার উপর অস্বাস্থ্যকর খাবার খেয়ে আজ আর শরীর সাথ দিচ্ছে না? খাওয়া-দাওয়ার দিকে নজর না দেওয়াতে আজ সকাল থেকে বদহজম শুরু হয়েছে? উৎসবের বাকি দিনগুলোর মজা নষ্ট না করতে চাইলে মেনে চলুন এই ঘরোয়া টোটকা…
এই কয়েকটা দিনের শুরুতে জিরে ভেজানো জল পান করুন। এতে পেট ঠান্ডা থাকবে। পাশাপাশি বদহজমের সমস্যা নিমেষে দূর করে দেবে জিরে ভেজানো হয়। গরমে জলে জিরে ভেজাবেন। এতে বেশি উপকার পাবেন।
উৎসবের ব্যবস্তার মাঝে জল খেতে ভুলবেন না। সারাদিন ধরে প্রচুর পরিমাণে জল পান করুন। অনেক সময় শরীর ডিহাইড্রেটেড হয়ে গেলে নানা সমস্যা দেখা যায়। আবার জল কম খাওয়ার জন্যও হজমের সমস্যা দেখা দেয়। তাই জলের সঙ্গে কোনও সমঝোতা চলবে না।
দুপুরের খাওয়া শেষ করে একটা অর্ধেক কলা। বদহজমের সমস্যা প্রতিরোধ করতে কলা দারুণ কার্যকর। কলার মধ্যে ফাইবার রয়েছে। এটি পেট ফোলাভাব, পেটের সমস্যা, কোষ্ঠকাঠিন্য ইত্যাদিকে নিয়ন্ত্রণ করে।
সারাদিনে পাঁচ-ছয় কাপ চা-কফি পান করেন? এই অভ্যাসে বদল আনুন। শুধুমাত্র বিকেলের জলখাবারের সময় কফি পান করুন। অতিরিক্ত পরিমাণ ক্যাফেইন শরীরের পক্ষে ভাল নয়। তবে বিকেলে কফি পান করলে এটি হজমের কাজে লাগে। কফির মধ্যে সামান্য পরিমাণ ফাইবার রয়েছে।
উৎসবের আবহে যোগব্যায়াম একদম বন্ধ? এখানেই কিন্তু ভুল করছে? বরং সহজ উপায় বেছে নিন। দিনে একবার ৫ মিনিটের জন্য সুপ্ত বদ্ধ কনাসনে শুয়ে থাকুন। এতে কোষ্ঠকাঠিন্য এবং বদহজমের সমস্যা দূরে থাকে।
রাতে এমন কোনও খাবার খাবেন না যা হজম হতে বেশি সময় লাগে। অতিরিক্ত তেলমশলা, ফ্যাটযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলুন। পেটের সমস্যা এড়াতে রাতে পান্তা ভাত বা জল ঢালা ভাত খেতে পারেন। এতে পেট ঠান্ডা থাকে এবং কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা সহজেই এড়ানো যায়।