ছবি প্রতীকী
প্রকৃতির অপরূপ শোভা দেখার জন্য বর্ষাকাল নিঃসন্দেহে অন্যতম শ্রেষ্ঠ সময়কাল। তবে এই বিশেষ ঋতু আমাদের জীবনে নিয়ে আসে অনেক সমস্যা। অসংখ্য রোগ, সংক্রমণের শিকার হন সাধারণ মানুষ। এর পাশাপাশি দেখা দেয় আর একটি সমস্যা। বর্ষাকালে ভেজা এবং পিছল রাস্তাঘাটের কারণে অনেকেই পড়ে গিয়ে চোট-আঘাত পান। এইসব সামান্য চোটের প্রভাব কিন্তু অনেক গুরুতর হতে পারে। এইসব পড়ে যাওয়ার কারণ কিন্তু আপনার শরীরে ভিটামিন ডি- এর ঘাটতিও হতে পারে। তাই সময় থাকতে সতর্ক হোন।
পড়ে গেলে চোট-আঘাত পেলে পরবর্তীকালে কী কী সমস্যা হতে পারে?
- বেকায়দায় পড়ে গেলে পা মচকে যেতে পারে। মাসল ক্র্যাম্প হতে পারে। পায়ের হাড়ে হেয়ারলাইন ক্র্যাক বা চিড় ধরতে পারে।
- পায়ের সঙ্গে কোমর এবং হাতেও প্রভাব পড়তে পারেন। কারণ পড়ে যাওয়ার সময় এই হাত এবং কোমরে ভর দিয়েই পড়ে যান বেশিরভাগ মানুষ।
- খুব জোরে পড়ে গেলে হাড় ভাঙার মতো গুরুতর সমস্যা হতে পারে। বেকায়দায় চোট লাগতে পারে মাথাতেও। আর ব্রেন ইনজ্যুরি কখনই ভাল নয়।
- আচমকা পড়ে গেলে শিরদাঁড়াতেও চোট লাগতে পারে। এর ফলে বিকল হতে পারে স্নায়ু। কিংবা বিভিন্ন স্নায়ুর রোগ দেখা দিতে পারে।
- পা পিছলে পড়ে গেলে হাত-পা কেটে যাওয়ার সম্ভাবনাও থাকে। বেকায়দায় বেসামাল হয়ে পড়ে গেলে শরীরে বিভিন্ন অংশেই চোট-আঘাতের সম্ভাবনা থাকে। হাতের কবজি, পায়ের লিগামেন্ট, কোমরের হাড়, গোড়ালি এইসব গুরুত্বপূর্ণ অংশে বেশ ভাল চোটের সম্ভাবনা থাকে পড়ে গেলে।
কীভাবে সতর্ক থাকবেন?
- পিছল জায়গা বা জল পড়ে থাকা ভেজা জায়গা দিয়ে ধীরে সুস্থে সতর্ক হয়ে চলাফেরা করুন।
- সিঁড়ি দিয়ে নামার সময় অবশ্যই রেলিং ধরে একটা একতা সিঁড়ির ধাপ নামুন। স্টেপ জাম্প করলেই বিপদ।
- হাঁটার সময় অন্যমনস্ক না থাকাই ভাল। ফোন ঘাঁটবেন না।
- বর্ষাকালে হিল জুতো পরে রাস্তাঘাটে না বেরোলে আচমকা পড়ে যাওয়ার ব্যাপারে একটু সুবিধাজনক জায়গায় থাকবেন। অর্থাৎ হিল জুতোর কারণে পা মচকে যাওয়ার বা পিছলে পড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা কম।
- তুলনায় শুষ্ক এলাকা দিয়ে, বড় রাস্তা হলে ফুটপাথ দিয়ে যাতায়াতের এচষ্টা করুন।
- কী ধরনের জুতো পরবেন, সে ব্যাপারে সতর্ক থাকুন।
- অন্ধকার এলাকা দিয়ে হাঁটার সময় অবশ্যই আলো জ্বালান। এক্ষেত্রে ফোনের ফ্ল্যাশলাইট কিংবা টর্চ ব্যবহার করা ভাল।
আরও পড়ুন- এক গ্লাস গরম দুধে দুটি খেজুর! মাত্র ১০ দিনেই মিলবে উপকার