রাখি বন্ধন হল সেই সময় যখন আমরা পরিবার এবং আত্মীয়দের সাথে একসঙ্গে বিভিন্ন ধরনের আনন্দের মুহূর্ত ভাগ করে থাকি। আর এটা বলার অপেক্ষা রাখে না যে এই দিনে আমরা উচ্চ-ক্যালোরিযুক্ত খাবারে খেয়ে থাকি। উৎসবের দিনে আমরা শরীরের যত্নের কথা প্রায়শই ভুলে যাই। এই বিষয়টি আমাদের পাচনতন্ত্রের উপর বিশেষ প্রভাব ফেলতে পারে। বিশেষ করে বর্ষাকাল বিভিন্ন ধরণের রোগের সময়, তাই নিয়মিত ডিটক্সের প্রয়োজন হয়। কারণ এই সময়ে আমাদের সহজাত রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকে।
ঋতুর কথা মাথায় রেখে বিভিন্ন প্রকৃতির মানুষের জন্য আয়ুর্বেদ ডিটক্স প্রক্রিয়া বিভিন্ন। উদাহরণস্বরূপ, বসন্ত, শরৎ এবং বর্ষায় আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকে।
আয়ুর্বেদ বিশেষজ্ঞ এবং বেডিক্সের ফর্মুলেটর ডঃ জিল গান্ধী আয়ুর্বেদ মতে ডিটক্সের কিছু টিপস দিয়েছেন।
গরম জলে নিয়মিত চুমুক দিন:
রাখি বন্ধনের মতো উৎসবে মানুষ কখনও কখনও দুধের তৈরি মিষ্টি খিরের সঙ্গে নানান ধরনের নোনতা খাবার খেয়ে থাকেন। আয়ুর্বেদে, এটি একটি বিরুদ্ধ আহার যা আমাদের হজমকে বিপর্যস্ত করে। ডঃ গান্ধী বলেন, “সারা দিন ধরে অল্প অল্প গরম জল খেলে এই বিপরীত খাবার নেওয়ার জন্য শরীরে যে বিষাক্ত পদার্থ তৈরি হয়, তা ডিটক্স করতে সাহায্য করবে।”
ভ্যাটা ডিটক্স:
আপনি যদি গ্যাস বা কোষ্ঠকাঠিন্য ইত্যাদির সম্মুখীন হন তবে আপনার ভ্যাটা ডিটক্সের প্রয়োজন। এর জন্য আপনি গরম মশলাযুক্ত চা খেতে পারেন। কালো মরিচ, লম্বা মরিচ এবং আদার সংমিশ্রণ জলে ফুটিয়ে সারাদিন খাওয়া যেতে পারে। এতে আপনার সামগ্রিক সিস্টেম সচল থাকে।
কাফা ডিটক্স:
আপনার যদি কাফার ভারসাম্যহীনতা থাকে সেক্ষেত্রে আপনি কোনো ভারী কাজ করার পরে আপনার প্রচুর ঘুম পাবে, আপনি নিস্তেজ হয়ে পড়তে পারেন এবং অলসতা অনুভব করবেন। এক্ষেত্রে সবচেয়ে ভাল হবে ডায়েট করা এবং খুব স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া। কঠিন খাবার পরিহার করুন এবং তরল খাদ্যের উপর নির্ভর করুন। মধু এবং লেবুর সাথে গরম জল কাফের মানুষের জন্য খুবই ভাল। যদি তাঁরা দিনের বেলা ভারী খাবার খান তাহলে রাতের খাবার বেশি পরিমাণে নাও খেতে পারেন। মধু এবং লেবুর সাথে গরম জল গুলে খেতে পারেন। রাতে ক্যালরিযুক্ত খাবারের খেলে দুপুরের খাবার এড়িয়ে যাওয়া যেতে পারে। তবে, ডিনার হাল্কা করাই শ্রেয়।
পিট্টা ডিটক্স:
পিট্টা মানুষের জন্য, ত্রিসুগন্ধী বলে একটি উপায় আছে। এটি হল ডালচিনি, তেজপাতা এবং ইলাইচির মিশ্রণ। পিত্তের ভারসাম্য বজায় রাখতে এই তিনটি জিনিস খুবই ভাল। যদি আপনি একটি পিত্তা আক্রান্ত মানুষকে ক্ষুধার্ত থাকতে বলেন, এটি তাদের জন্য খুব কঠিন। এমনকি যদি তাঁরা খুব ভারী খাবার খায় তবে পরবর্তী খাবারের সময় তাঁরা আবার ক্ষুধার্ত বোধ করবে। কিন্তু এটি সিস্টেমের জন্য ভাল নয়। এই স্বভাব সিস্টেমকে খুব ধীর গতির করে দেবে। তাঁদের জন্য, মাখনের সঙ্গে ত্রিসুগন্ধী খেলে ভাল ফল পাওয়া যাবে। কারণ মাখন তাদের ক্যালোরি পুড়িয়ে দেবে এবং ওজন বাড়াবে না। একই সাথে এই ত্রিসুগন্ধী মিশ্রণ তাঁদের ডিটক্সে সাহায্য করবে।