শীতের ছুটি কাটাতে দুবাইতে হাজির উরফি জাভেদ। তবে ছুটি কাটাতে গিয়ে মোটেই হ্যাপি মুডে নেই তিনি। উরফি মানেই জমকালো পোশাক আর বিদঘুটে সব ফ্যাশান। তবে আপাতত এসবের বাইরে গিয়ে হাসপাতালে ঠাঁই হয়েছে তার। ভক্তদের কপালে ভাঁজ, কেন হাসপাতালে যেতে হল নায়িকাকে। ইনস্টাগ্রামে একটি ভিডিয়ো পোস্ট করে সেই বার্তা দিয়েছেন স্বয়ং উরফি। উরফির ল্যারিংজাইটিস ও টনসিলাইটিসের সংক্রমণে ভুগছেন। পরিস্থিতি এতটাই নাগালের বাইরে চলে গিয়েছে যে তাঁকে ডাক্তারের পরামর্শে হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়েছে। সেই সঙ্গে আপাতত তাঁর কথা বলা মানা। ভাবছেন তো কী এই অসুখ? ল্যারিংজাইটিস হল স্বরযন্ত্রের প্রদাহ। ভোকাল কর্ডে সংক্রমণের কারণে গলায় ব্যথা থাকে। কথা বলতে এবং খেতে সমস্যা হয়। সেই সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করলে অদ্ভুত একটা আওয়াজ বেরিয়ে আসে।
ল্যারিংজাইটিসের সাধারণ কারণ হল গলায় সংক্রমণ। ঠাণ্ডা লেগে কিংবা কোনও ব্যাকটেরিয়াল সংক্রমণের কারণে হতে পারে গলা ব্যথা। শ্বাসনালীতে ভাইরাসের সংক্রমণ হলে এই গলা ব্যথা বেশি হয়। ধূমপান, অ্যালার্জি, গলা জ্বলা, সাইনাস, ছত্রাকের সংক্রমণ বেশি হলে সেখান থেকে এই ল্যারিংজাইটিসের সম্ভাবনা থেকে যায়। শীতকালে ঠাণ্ডা লেগেই এই সমস্যা সবচাইতে বেশি হয়। তাই যাদের কোল্ড অ্যালার্জি থাকে তাদের শীতকালে সাবধানে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়।
ল্যারিংজাইটিস সাধারণত অল্পদিনই স্থায়ী হয়। কিছুক্ষেত্রে তা দীর্ঘস্থায়ী হতে পারে। যদি গলা অতিরিক্ত জ্বালা করে তাহলেই সাবধান। এখান থেকে তখন সমস্যা আরও জটিল হওয়ার আশঙ্কা থেকে যায়। এছাড়াও ল্যারিংজাইটিসের সংক্রমণ হলে গলার স্বর কর্কশ হয়ে যায়। সেই সঙ্গে গলার স্বর একদম দুর্বল হয়ে যাওয়া, শুকনো কাশি, গলা শুকিয়ে যাওয়া এসব হল ল্যারিংজাইটিসের লক্ষণ।
এমন সমস্যা হলে প্রথমেই যা করতে হবে তা হল গলাকে বিশ্রাম দিতে হবে। সেই সঙ্গে প্রথমেই খেয়াল রাখতে হবে যাতে ঠাণ্ডা না লাগে। পাশাপাশি তরল খাবার খেতে হবে। বারে বারে গার্গল করতে হবে। একরকম লজেন্স পাওয়া যায়, যা মুখের মধ্যে নিয়ে চুষলে লালাগ্রন্থির ক্ষরণ ঠিক থাকে। গলা ব্যথা কমে। কমে গলা খুশখুশও। এর সঙ্গে যদি জ্বর থাকে তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেবেন।