Mouth Ulcers: অল্প ঠান্ডা লাগলেই মুখে ঘা? চটজলদি সমাধান পান এই ৭ ঘরোয়া ভেষজে
TV9 Bangla Digital | Edited By: দীপ্তা দাস
Dec 21, 2022 | 6:10 PM
Home Remedies: বহু মানুষ দীর্ঘদিন ধরে মুখের ঘায়ের সমস্যায় ভোগেন ও কষ্ট পান। অথচ এই সমস্যার জন্য একাধিক ঘরোয়া প্রতিকার রয়েছে যা ব্যথা কমাতে এবং রোগরে দ্রুত নিরাময় করতে পারে।
1 / 11
মুখের ঘা অত্যন্ত বেদনাদায়ক অসুখ। এই ধরনের আলসার বা ঘা এক সপ্তাহ পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে। মুখের ভিতরের ত্বকে ছোট অগভীর সাদা অংশকে কেন্দ্র করে দানাদার স্তর তৈরি হয়। ঘা আকারে ছোট হলেও ভয়ঙ্কর অস্বস্তিতে ভোগেন রোগী।
2 / 11
মাউথ আলসার বেশ গুরুতর সমস্যা তৈরি করে। ফলে খাবার খাওয়া এবং কথা বলার মতো কার্যকলাপকে তৈরি হয় জটিলতা। মাউথ আঢ়সার হওয়ার পিচনে বহু কারণ রয়েছে। তবে সবচেয়ে সাধারণ কারণ হল দুর্ঘটনাবশত গালে বা জিভে কামড়ে ফেলা। তবে ভাঙা দাঁত, টুথব্রাশের ঘর্ষণের কারণেও মাড়িতে বা মুখগহ্বরের তালুতে তৈরি হতে পারে আলসার।
3 / 11
এছাড়া ভিটামিনের ঘাটতি, ঘুমের অভাব, ডিহাইড্রেশন এবং মানসিক চাপ বা স্ট্রেসের কারণেও মুখে আলসার হতে পারে। মুখের ঘায়ের সমস্যায় ভোগা বহু ব্যক্তি অনেকেই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে দেরি করেন এবং ভাবেন হয়তো দিন কয়েকের মধ্যেই রোগ থেকে মুক্তি পাবেন। অথচ মুখের ঘা চট করে সারতে চায় না। কিছু কিছু ঘা দিন সাতেক অবধি স্থায়ী হতে পারে।
4 / 11
এমন ব্যক্তিদের উচিত কিছু ঘরোয়া প্রতিকার অবলম্বন করা। ঘরোয়া ভেষজের সঠিক ব্যবহারে দ্রুত মুখের ঘায়ের নিরাময় হয়। ভেষজগুলি ঘা জনিত ব্যথা কমাতেও সাহায্য করে।
5 / 11
লবণ জল: মুখে একটু জ্বালা জ্বালা ভাব দেখা যায় বলে আলসার কমাতে লবণ জলের মিশ্রণ অনেকে ব্যবহার করতে চান না। তবে লবণ জল কার্যকরভাবে মুখের আলসার শুকাতে ব্যবহৃত হয়। লবণ একটি প্রাচীন উপাদান যা ক্ষত নিরাময়ে এবং ক্ষত সৃষ্টিকারী ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা কমাতে সাহায্য করে। মনে রাখতে হবে, ব্যাকটেরিয়া মুখে দুর্গন্ধ তৈরি করতে পারে। ফলে নিয়মিত ঈষদুষ্ণ জলে লবণ ফেলে গার্গেল করলে মুখে দুর্গন্ধ সৃষ্টিকারী ব্যাকটেরিয়া থেকে যেমন মুক্ত থাকা যায় তেমনই আলসারের সমস্যাও দূর হয়।
6 / 11
মধু : ঘরে বসেই মুখের ঘা সারাতে চাইলে অবশ্যই মধু ব্যবহার করুন। মুখের ঘায়ের উপশমে মধু সবচেয়ে ভালো কাজ করে। মধুর অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্যগুলি মুখগহ্বরে আর্দ্রতা প্রদান করে ও ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা কমাতে সাহায্য করে। খুব ভালো হয় যদি মধুতে এক চিমটে হলুদ মিশিয়ে খাওয়া যায়। তাতে মুখের ঘা দ্রুত সেরে যায়।
7 / 11
নারকেল তেল : অ্যান্টিফাঙ্গাল এবং অ্যান্টিভাইরাল বৈশিষ্ট্য রয়েছে নারকেল তেলের। পাশাপাশি অ্যান্টিইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্যেও ভরপুর। এটি ব্যথার প্রতিষেধক হিসেবেও কাজ করে এবং দ্রুত রোগ থেকে উপশম প্রদান করে। নারকেল তেল বেদনা কমাতে তাত্ক্ষণিক ফলাফল দিতে পারে। তাই মুখের ঘায়ের জায়গায় দিনে একাধিকবার নারকেল তেল প্রয়োগ করা যায়। আক্রান্ত স্থানে আধা চা চামচ নারকেল তেল লাগালে ব্যথা থেকেও তাৎক্ষণিক উপশম মেলে।
8 / 11
তুলসী পাতা : ঔষধিগুণে সমৃদ্ধ তুলসী মুখের ঘা সারাতে কার্যকরীভাবে কাজ করে। তুলসীর অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য রয়েছে। ফলে মুখের ঘায়ে তুলসীর রস লাগালে তা আলসারকে জীবাণুমুক্ত করতে পারে। তুলসী ঘায়ের নিরাময় প্রক্রিয়া দ্রুততর করে। তাই মুখের ঘা থেকে মুক্তি পেতে তুলসী পাতা চিবিয়ে নিন। এছাড়া ঈষদুষ্ণ জলে তুলসী পাতা ফেলে দিনে দু’বার গার্গেল করুন। হাতের কাছে তুলসী পাতা না পেলে মেথি পাতা দিয়েও গার্গেল করতে পারেন।
9 / 11
অ্যালোভেরার রস : অ্যালভেরার রস মুখে ঠান্ডা এবং প্রশান্তিদায়ক অনুভূতি দিতে পারে। অ্যালোভেরার রস নিয়মিত ব্যবহার করলে মুখে ঘা জনিত ব্যথাও দূর হয়। এছাড়া অ্যালোভেরার রস মুখের ঘায়ের নিরাময় প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করে। অতএব মুখের ঘা থেকে মুক্তি পেতে দিনে দু’বার অ্যালোভেরার রস দিয়ে কুলকুচি করুন। অ্যালোভেরা জ্যুস না পেলে আলসারের স্থানে অ্যালোভেরা জেলও লাগাতে পারেন।
10 / 11
লবঙ্গ তেল : লবঙ্গে রয়েছে ইউজেনল নামে অত্যন্ত উপকারী উপাদান যা বিভিন্ন প্রকার সংক্রমণ এবং প্রদাহ দূর করতে সাহায্য করে। এছাড়া লবঙ্গের অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল গুণাবলীর কারণে লবঙ্গ বিভিন্ন প্রকার মুখগহ্বর সংক্রান্ত অসুখ সারাতে ও মুখগহ্বরের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সাহায্য করে। তাই আলসার থেকে উপশম পেতে, সরাসরি আলসারে লবঙ্গ তেল লাগান। তেল ব্যবহারের পরে, ঈষদুষ্ণ জল দিয়ে আপনার মুখ ধুয়ে ফেলুন।
11 / 11
আপেল সিডার ভিনেগার : আপেল সিডার ভিনিগার হল সাধারণ এবং গৃহস্থালী উপাদান। বিভিন্ন রোগের প্রতিকার হিসেবেও আপেল সিডার ভিনিগার ব্যবহার করা হয়। আপেল সিডার ভিনিগারের অ্যাসিডিক প্রকৃতি ঘা সৃষ্টিকারী ব্যাকটেরিয়াকে মেরে ফেলতে কাজ করে। এছাড়া ব্যথা উপশম করতেও কাজে আসে। তাই মুখে ঘা হলে জলে আপেল সিডার ভিনিগার মিশিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন।