Hormonal Imbalance: কন্ডোম জড়ানো কলা খেয়ে যুবক গেলেন হাসপাতালে… কী হল তারপর?

TV9 Bangla Digital | Edited By: রেশমী প্রামাণিক

Jan 30, 2023 | 3:58 PM

Condom-Filled Banana: হরমোনের অসামঞ্জস্যতা জনিত জটিল এক অসুখের শিকার ওই ব্যক্তি। চিকিৎসা পরিভাষায় যার নাম Hormonal Rage...

Hormonal Imbalance: কন্ডোম জড়ানো কলা খেয়ে যুবক গেলেন হাসপাতালে... কী হল তারপর?
কী হল তারপর?

Follow Us

উত্তেজনা চরমে উঠলে মানুষ কী না করে! তবে এই ব্যক্তি যা করলেন তাতে তাজ্জব বনে গিয়েছে দুনিয়া। সম্ভবত এই ঘটনা দুনিয়ায় প্রথম বলেও মনে করছেন গবেষকরা। এই সপ্তাহেই কিউরিয়াস জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে এই গবেষনা। ৩৫ বছর বয়সী আমেরিকার এক যুবক তাঁর যৌন উত্তেজনার চরম মুহূর্তে আস্ত কন্ডোমে মোড়া একটি কলা খেয়ে ফেলেন। আর তারপর শুরু হয় পেট ব্যথা, বমি বমি ভাব। এমন কাণ্ড ঘটানোর পর টানা ৭ ঘণ্টা যন্ত্রণায় ছটফট করেছেন। এতই কষ্ট পাচ্ছিলেন যে জলও খেতে পারছিলেন না। এরপর বমি শুরু হলে পড়শিরা তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যান। হাসপাতালে গিয়ে প্রথমে তিনি লজ্জায় নিজের কীর্তিরকথা বলতে পারেননি। শুধু বলেছিলেন আগদের দিন থেকে টয়লেট হচ্ছিল না। এরপর চিকিৎসকরা তাঁর সিটি স্ক্যান করালে দেখতে পান ক্ষুদ্রান্তে একটি কন্ডোম মোড়ানো কলা আটকে রয়েছে। যেখান থেকেই এত সমস্যা তৈরি হয়েছে।

এরপর যুবককে জিগ্গেস করা হলে তিনিও ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, কলায় মোড়া আস্ত কন্ডোম তিনি গিলে ফেলেছেন। এরপর চিকিৎসকরা নাম প্রকাশে ওই ব্যক্তির সঙ্গে বিশদে কথা বলেন। সেখান থেকেই তাঁরা জানতে পারেন হরমোনের অসামঞ্জস্যতা জনিত জটিল এক অসুখের শিকার ওই ব্যক্তি। চিকিৎসা পরিভাষায় যার নাম Hormonal Rage Fit- অন্য সময় সুস্থই থাকেন। তবে হরমোনের মধ্যে তারতম্য দেখা দিলে তখনই তিনি অল্বাভাবিক আচরণ শুরু করেন। চিকিৎসকরা কথা বলে আরও জানতে পারেন যে ওই ব্যক্তি দীর্ঘদিন ধরে ডিপ্রেশনের শিকার। যে কারণে তিনি ওষুধও খান। একইসঙ্গে হরমোনের ভারসাম্যেও সমস্যা রয়েছে। আর এই সমস্যা হলে ২৪ ঘন্টা তা স্থায়ী থাকে। তারপর নিজে থেকেই তা সেরে যায়।

ছবি সৌজন্যে- Cureus.com

কেন এমন অদ্ভুত কাণ্ড তিনি ঘটালেন? চিকিৎসকদের এই প্রশ্নের জবাবে যুবক জানান তিনি মোটেই এমন কাজ করতে চাননি। কিন্তু তাঁর আত্মা তাঁকে বলছিল কেউ তাঁর ক্ষতি করতে পারে। অন্য কিছু তাঁর শরীরে প্রবেশ করতে পারে। যে কারণে তিনি কন্ডোম জড়ানো কলা খেয়ে ফেলেন।  যে সময়ে ওই কান্ড ঘটান তখন তিনি মদ্যপ ছিলেন না, চিকিৎসকরাই তা জানিয়েছেন।

ব্যক্তিটিকে বাঁচাতে তড়িঘড়ি অস্ত্রোপচারের সিদ্ধান্ত নেন চিকিৎসকরা। তিনদিন পর তাকে হাসপাতাল থেকে ছেড়েও দেওয়া হয়। প্রাথমিক ভাবে যুবকটির খেতে আর মলত্যাগে সমস্যা হবে তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তা ঠিক হয়ে যাবে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা।

Next Article