রাজ্যে ঠান্ডা কখনও কম, কখনও বেশি। শহরতলিতে ঠান্ডা থাকলেও কলকাতায় ঠান্ডা বেশ কম। যদিও উত্তরবঙ্গে এখনও রয়েছে হাড়কাঁপানো শীত। উত্তরভারতেও চলছে শৈত্যপ্রবাহ। আর ঠান্ডায় শীতের হাত থেকে বাঁচতে অনেকেই হিটার, ব্লোয়ার এসব ব্যবহার করেন। নিদেনপক্ষে আগুন, পাতা জ্বালিয়ে গা সেঁকে নেওয়া তো আছেই। তবে নিয়মিত ভাবে যদি সেঁক নেওয়া হয় বা হিটার ব্যবহার করা হয় তাহলে শরীরে দেখা দিতে পারে অক্সিজেনের ঘাটতি। সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, উত্তর ভারতে গত সপ্তাহে ৬০ শতাংশ রোগী এসেছিলেন শ্বাসকষ্টের সমস্যা নিয়ে। গত সপ্তাহে কানপুরে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ৯৮ জনের। বিশেষজ্ঞদের মতে এর প্রধান কারণ হল অতিরিক্ত পরিমাণ ব্লোয়ার ব্যবহার করা।
শীতকালে ঠান্ডা দূর করতে অনেকেই কয়লা, পাতা, কাঠ, বর্জ্য ইত্যাদির সাহায্যে আগুন জ্বালিয়ে সেঁক নেন। যাঁরা ফ্ল্যাটবাড়িতে থাকেন তাঁরা ব্লোয়ার, হিটার এসবও ব্যবহার করেন। আর এখান থেকেই বিপত্তি। টাইমস অফ ইন্ডিয়াতে প্রকাশিত একটি রিপোর্টে বলা হয়েছে, ঘরের ভিতরে হিটার বা ব্লোয়ার ব্যবহার করলে বাতাসে কার্বন মনোক্সাইডের মত বিষাক্ত গ্যাসের পরিমাণ বাতাসে বেড়ে যায়। যার ফলে শরীর পর্যাপ্ত পরিমাণ অক্সিজেন পায় না।
এর ফলে দম বন্ধ হয়ে মৃত্যু হতে পারে। যে কারণে বাড়িতে হিটার, ব্লোয়ার বা কোনও রকম আগুন জ্বেলে ঘুমনোর পরামর্শ দেওয়া হয় না। কারণ যে কোনও সময় হতে পারে বিপত্তি। ঘরে বাতাস চলাচলের জন্য পর্যাপ্ত জানালা, দরজা না থাকলে এই সমস্যা আরও বেশি হয়।
আর তাই যে বিষয়গুলো অবশ্যই মাথায় রাখতে হবে-
1.বাড়ির খোলা জায়গায় ফায়ারপ্লেস বানান। ঘরের মধ্যে হিটার বা আগুম জ্বালবেন না। কিংবা বাড়িতে কোনও ভাবে আগুন জ্বেলে হাত-পা সেঁকবেন না।
2.রুম হিটার ব্যবহার করলে দরজা, জানলা কিছুটা খোলা রাখুন। অন্তত একটা জানলা খুলে রাখতেই হবে।
3.গরম খাবার, গরম পানীয়, চা এসব খান। এতে ঠান্ডা কম লাগবে।
4.পর্যাপ্ত পরিমাণ গরম কাপড় পরুন।