Varun Dhawan: দুরারোগ্য ‘ভেস্টিবুলার হাইপোফাংশন’-এর শিকার বরুণ ধাওয়ান! কতটা মারাত্মক এই বিরল রোগ?
Vestibular hypofunction: 'আমার ভেস্টিবুলার হাইপোফাংশন রয়েছে। মাঝে মাঝে ভারসাম্য হারিয়ে ফেলি। আপাতত শারীরিক পরিস্থিতির কথা ভেবে সব দৌড়ঝাঁপ থেকে বিরতি নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন ভেড়িয়ার অভিনেতা।
দক্ষিণী অভিনেত্রী সামান্থা প্রভুর পর এবার আরও এক অভিনেতার অসুস্থতার খবরে উদ্বিগ্ন সিনেমাপ্রেমীরা। সম্প্রতি একটি কনক্লেভে দুরারোগ্য রোগে আক্রান্ত হওয়ার কথা জানিয়েছেন বলিউডের অন্যতম হার্টথ্রব বরুণ ধাওয়ান (Varun Dhawan)। বর্তমানে আসন্ন সিনেমা ভেড়িয়া-এর প্রচারে দারুণ ব্যস্ত রয়েছেন তিনি। ছবির প্রচারে এসেই তিনি ‘ভেস্টিবুলার হাইপোফাংশন’ (Vestibular Hypofunction) নামক এক বিরল রোগে শিকার বলে জানান। তাঁর কথায়, ‘কোভিড পরবর্তীকালে সকলের মতই ইঁদুর দৌড়ে ছুটতে শুরু করি। যুগ যুগ জিও ছবির প্রচারে গিয়ে নিজেকে উজাড় করে দিয়ে ছিলাম। তখন আমার মনে হল আমি যেন নির্বাচনী প্রচার চালাচ্ছি।’ তবে এই শারীরিক অবস্থার কথা ভেবে আপাতত সব কাজ থেকেই বিরতি নিয়েছেন। কিন্তু এই ‘ভেস্টিবুলার হাইপোফাংশন’ রোগটি কী?
ওই প্রচার অনুষ্ঠানে বরুণ জানিয়েছেন, ‘আমার ভেস্টিবুলার হাইপোফাংশন রয়েছে। মাঝে মাঝে ভারসাম্য হারিয়ে ফেলি।’ আপাতত শারীরিক পরিস্থিতির কথা ভেবে সব দৌড়ঝাঁপ থেকে বিরতি নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন ভেড়িয়ার অভিনেতা।
ভেস্টিবুলার হাইপোফাংশন কী?
এনএইচএস-এর মতে, কানের ভারসাম্য ব্যবস্থার ভিতরের অংশটি সঠিকভাবে কাজ করা বন্ধ করে দিলে এই রোগের সৃষ্টি হয়। ভেস্টিবুলার সিস্টেম মানুষকে স্থির রাখতে চোখ ও কানের পেশিগুলির সঙ্গে একসঙ্গে কাজ করে। যখন এটি কাজ করে না, তখন এর মাধ্যমে মস্তিষ্কে বার্তা পাঠাতে অক্ষম হয়। তারপরই শুরু হয় মাথা ঘোরা ও বমি বমি ভাব।
ভেস্টিবুলার নিউরোনাইটিস বা ল্যাবিরিন্থাইটিস হল একপ্রকার ভাইরাল বা ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ , যা কানের ভিতরের অংশে বা সম্পূর্ণ স্নায়ুকে আক্রান্ত করে। তার জেরেই ক্ষতি সৃষ্টি হয়। এই বিরল রোগ কী কী কারণে দেখা যায়, তা জেনে নিন…
– কানের ভিতরের অংশে পুরনো আঘাত
-কানের অভ্যন্তরীণ কাঠামো দুর্বল।
– ওষুধের পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া।
– দিশেহারা, উদ্বেগ ও মানসিক চাপের কারণে।
– রক্ত জমাট, টিউমার, মস্তিষ্ক আক্রান্ত,
– কানের স্রাব সমস্যা
– বার্ধক্যজনিত কারণ
কানের ভিতরের হাড় ও তরুণাস্থির মধ্যে একটি অংশ তরল গিয়ে পূর্ণ। হাঁটাচলা, হাত-পা নড়া থেকে শুরু করে সব গতিবিধিক সঙ্গেই ওই তরলের একটি যোগাযোগ রয়েছে। গতিবিধি অনুযায়ী তরলের অবস্থানের পরিবর্তন হয়। আর তাতেই কানের মধ্যে থাকা স্নায়ুগুলি ওই তরলের মাধ্যমে মস্তিষ্কে বার্তা পাঠাতে পারে। এই অংশটি যখন সুষ্ঠুভাবে কাজ করে না, তখন মস্তিষ্কে বার্তা পৌঁছায় না। শুরু ভারসাম্যহীনতা।
এই রোগের কয়েকটি লক্ষণ বা উপসর্গ রয়েছে, যা দেখলে বুঝতে পারবেন আপনি ভেস্টিবুলার হাইপোফাংশনে আক্রান্ত!
– চরম ভার্টিগো।
– মাথা ঘোরা ও বমি বমি ভাব।
– দুর্বল ভারসাম্য।
– হাঁটাচলা ও দৌড়ানোর সঙ্গে অসামঞ্চস্য
– কানে শোনার সমস্যা
– ঝাপসা দৃষ্টি
ভেস্টিবুলার হাইপোফাংশন কী চিকিত্সা করালে সেরে যাবে?
এই রোগ সম্পর্কে চিকিত্সকরা জানিয়েছেন, এই জটিল অবস্থার চিকিত্সা করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যাতে পড়ে যাওয়া বা অস্বস্তি থেকে আঘাতের মতো বিপদগুলি দূর করা যায়। ভারসাম্য পুনরুদ্ধার করার জন্য কয়েকটি সম্ভাব্য চিকিত্সা রয়েছে, সেগুলি দেখে নিন একনজরে…
অন্তর্নিহিত কারণগুলির চিকিত্সা: এই অবস্থার প্রকৃত কারণ কী তার উপর নির্ভর করে, একজন ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়াই ভাল। কারণ আপনার অ্যান্টিবায়োটিক বা অ্যান্টিফাঙ্গাল চিকিত্সার প্রয়োজন হতে পারে।
লাইফস্টাইল পরিবর্তন: লক্ষণগুলি কমাতে, গাড়ি চালাবেন না, উচ্চস্বরে মিউজিক বা শব্দের কাছাকাছি থাকবেন না। অ্যালকোহল থেকে দূরে থাকুন।
ক্যানালিথ রিপজিশনিং ম্যানুভারস: এই রোগের কারণে আপনার মাথা এবং বুকের মধ্যে অস্থিরতা দেখা যায়। ভারসাম্য পুনরুদ্ধার করতে এই পদ্ধতি সহায়তা করে।
সার্জারি: কানের স্নায়ুতে কোনও সমস্যা থাকলে ডাক্তাররা অস্ত্রোপচারের পরামর্শ দিতে পারেন।