Amla: শীতকালের ডায়েটে রাখুন আমলার মুরাব্বা বা রস! ফল পাবেন হাতেনাতে

TV9 Bangla Digital | Edited By: দীপ্তা দাস

Oct 31, 2021 | 5:38 PM

প্রকৃতির সবচেয়ে শক্তিশালী ফলগুলির মধ্যে এটি। বাত, পিত্ত ও কফ-সহ শরীরের মধ্যে বিষাক্ত পদার্থকে নির্মূল করতে সাহায্য করে। আমলা সাধারণত চিনির মাত্রা নিয়ন্ত্রণের জন্য দারুণ।

Amla: শীতকালের ডায়েটে রাখুন আমলার মুরাব্বা বা রস! ফল পাবেন হাতেনাতে
চবণপ্রাস। প্রতীকী ছবি

Follow Us

শীতকাল প্রায় দোরগোড়ায়। আর এই মরসুমে সুস্বাস্থ্যের জন্য মরশুমি ফল হিসেবে আমলা খাওয়া সবচেয়ে উপকারী। এই ফলে রয়েছে পুষ্টির ভাণ্ডার। এতে রয়েছে পর্যাপ্ত ভিটামিন সি। রয়েছে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার বৃদ্ধির মূল উত্‍স। ১০০ গ্রাম আমলায় প্রায় ৭০০ গ্রাম ভিটামিন সি রয়েছে।

শুধুমাত্র আমলাই নয়, চবণপ্রাশও শীতের মরসুমের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে ব্যবহার করা হয়। বিশেষ করে শীতকালে সুস্থ থাকতে হাজার বছরেরও বেশি সময় ধরে ঔষধি হিসেবে আমলা ব্যবহার হয়ে আসছে। শুধু সংক্রমণ বিরুদ্ধেই নয়, সর্দি ও কাশি বিরুদ্ধেও প্রাচীরের মতো দেওয়াল গড়ে তোলে। তবে ডায়াবেটিস, ক্যানসার, হৃদরোগ, উচ্চ রক্তচাপ ও কিডনির সমস্যার মতো দীর্ঘস্থায়ী রোগগুলিকেও দূরে রাখতে সাহায্য করে। চুল পড়ার সমস্যাতেও আমলা অত্যন্ত উপকারী।

আমলাকে আয়ুর্বেদে আমলকি বলা হয়। প্রকৃতির সবচেয়ে শক্তিশালী ফলগুলির মধ্যে এটি। বাত, পিত্ত ও কফ-সহ শরীরের মধ্যে বিষাক্ত পদার্থকে নির্মূল করতে সাহায্য করে। আমলা সাধারণত চিনির মাত্রা নিয়ন্ত্রণের জন্য দারুণ। ক্রোমিয়ামের উচ্চ সামগ্রীর কারণে রক্তে শর্করার মাত্রা বৃদ্ধি রোধ করে। তাজা আমলা খাওয়াও ইনসুলিনের সংবেদনশীলতা বাড়ায় এবং ইনসুলিনের সঠিক শোষণ নিশ্চিত করে, এইভাবে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।

আমলার আশ্চর্যজনক উপকারিতা

– শীতকালে অনেকেরই কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দেখা যায়। হজমজনিত রোগ থেকে মুক্তি পেতে রোজ আমলা খেতে পারেন।

– চুলপড়া, অ্যাসিডিটি, ওজন হ্রাস, হজমের সমস্যা. থাইরয়েড, ডায়াবেটিস, চোখের দৃষ্টিশক্তির উন্নতি ও অন্যান্য সমস্ত অসুস্থতার জন্য সবচেয়ে ভাল কাজ করে আমলা।

ইন্সটাগ্রামে ড দীক্ষা ভাবসার আমলা খাওয়ার বিভিন্ন উপায়ের কথা জানিয়েছেন। সেগুলি কী কী জেনে নিন…

১. পাউডার- সকালে খালি পেটে ১ চা চামচ আমলা গুঁড়োর সঙ্গে ১ চা চামচ মধু বা গরম জল যোগ করে খেতে পারেন।

২. রস- ২০ মিলি আমলার রস গরম জলের সঙ্গে মিশিয়ে সকালে উঠেই খেতে পারেন।

৩. চবনপ্রাশ- চবণপ্রাশের প্রধান উপাদান হল আমলা। সকালে খালি পেটে বা খাবারের দুই ঘন্টা পরে গরম জলের সাথে ১ চামচ চ্যবনপ্রাশ খেতে পারেন।

৪, আমলা মুরাব্বা এবং আচার: বাজারে তাজা আমলা দিয়ে এই শীতে আমলা মুরাব্বা বা আচার তৈরি করতে পারেন এবং প্রতিদিন আপনার খাবারের সাথে উপভোগ করতে পারেন।

৫. আমলা ফল: আপনি আমলাকে গাঁজন করতে পারেন এবং প্রতিদিন ১-২টি ফল খেতে পারেন।

৬. আমলা ক্যান্ডি: আপনি আমলাকে টুকরো টুকরো করে রোদে শুকাতে পারেন। একবার সেগুলি যথেষ্ট শুকিয়ে গেলে- আপনি সেগুলি সংরক্ষণ করতে পারেন এবং প্রতিদিন ক্যান্ডি হিসাবে পপ করতে পারেন।

আরও পড়ুন: Parijaat: ঠান্ডায় সর্দি-কাশি থেকে আর্থ্রাইটিস, সব রোগের একমাত্র মোক্ষম দাওয়াই এই ফুল!

Next Article