গর্ভাবস্থায় একজন মাকে সব সময়ই নিজের অনেক বেশি খেয়াল রাখতে হয়। আশেপাশে সাহায্যের অনেক মানুষ থাকলেও একজন মায়ের অতিরিক্ত অনেক বেশি দায়িত্ব থাকে। এরকম অনেক দায়িত্বের মধ্যে প্রাথমিক কিছু হল খাওয়া দাওয়া আর শরীরচর্চা। শরীরচর্চা গর্ভাবস্থায় যে কি ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ তা সামান্য ব্যাখ্যার মাধ্যমে বোঝাানো সম্ভব নয়। মায়ের শরীরচর্চা আসন্ন শিশুর স্বাস্থ্যের ওপরও মারাত্মক প্রভাব ফেলতে পারে।
এই শরীরচর্চার একটা অংশ হল সাঁতার কাটা। সাঁতারের উপকারিতা এতটাই বেশি যে সেলিব্রিটি থেকে শুরু করে সবাই গর্ভাবস্থায় সাঁতার কাটাকে প্রাথমিক শরীরচর্চা হিসেবে বেছে নিয়েছেন। আসলে সাঁতারের উপকারিতা হল এই ব্যায়াম সারা শরীরেই প্রভাব ফেলে। আর যখন পুরো শরীরের ব্যায়াম হয় তখন মানসিক ভাবেও একজন গর্ভবতী মহিলা অনেক সতেজ থাকেন।
কী কী উপকারিতা পাওয়া যেতে পারে:
১) গর্ভাবস্থায় সাঁতার গোড়ালি এবং পায়ের ফোলাভাব দূর করতে সহায়তা করে, পাশাপাশি এটি ব্লাড সার্কুলেশনও বাড়ায়।
২) সাঁতার কাটা মর্নিং সিকনেস কমায়। গর্ভাবস্থায় অনেকেই সকালে ঘুম থেকে উঠে বমি বমি ভাব অনুভব করেন, যেটা কমাতে সাঁতার সহায়তা করতে পারে।
৩) গর্ভাবস্থায় সাঁতার কাটা অত্যন্ত নিরাপদ ও ভালো ব্যায়াম। এতে দেহের বিভিন্ন অস্থিসন্ধি, লিগামেন্ট, ইত্যাদির ব্যথা কমে।
৪) সাঁতার মাংসপেশী ঠিক রাখে এবং স্ট্রেচিবিলিটি বৃদ্ধি হয়, ফলে প্রসবের সময় খুব একটা সমস্যা হয় না।
৫) এছাড়াও হাড় এবং জয়েন্টগুলিতেও আরাম হয়।
গর্ভাবস্থায় সাঁতার কাটার সময় কিছু বিশেষ পরামর্শ:
১) শরীরের সঙ্গে ভালমতো ফিট হয় এমন স্যুইম স্যুট নিন। এইসময় যতদিন এগোবে ততই শারীরিক আকারের পরিবর্তন হবে, তাই এটি সবসময় মনে রাখবেন।
২) জলে বা পুলের আশপাশ পিচ্ছিল হতে পারে, তাই খুব সাবধানে চলাফেরা করুন। কোনওভাবে যাতে পড়ে না যান, সেইদিকে খেয়াল রাখবেন।
৩) হাইড্রেট থাকুন, কারণ তৃষ্ণার্ত বোধ না করলেও আপনি সাঁতারের সময় ডিহাইড্রেট হতে পারেন।
৪) সাঁতার কাটার সময়, সর্বদা কাউকে আপনার চারপাশে রাখুন। একা সাঁতার কাটতে যাবেন না।
৫) এছাড়াও, সাঁতার বা শরীরচর্চা করার ক্ষেত্রে আপনার চিকিৎসকের সঙ্গে অবশ্যই পরামর্শ করে তারপর সিদ্ধান্ত নিন।