IVF Process: আইভিএফ পদ্ধতিতে মা হবেন ভাবছেন? কোন জিনিসগুলি এখনই জেনে নেওয়া জরুরি?
IVF Process: আইভিএফ পদ্ধতি বেছে নিলেও সন্তান সুখ থেকে বিরত থাকতে হতে পারে। তাই এই পদ্ধতি বেছে নেওয়ার আগে কয়েকটি বিষয় মাথায় রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কোন কোন বিষয় মাথায় রাখবেন?
পুরুষদের সঙ্গে সঙ্গে মহিলারাও আজকাল অর্থনৈতিকভাবে স্বাধীন হওয়ার দিকে বেশি মন দেন। পড়াশোনা শেষ করতেই করতেই প্রায় বছর ২৪। এরপর নিজের পায়ে দাঁড়িয়ে প্রতিষ্ঠিত হতে হতে দেখা যায় বয়স হয়ে গিয়েছে ৩০-৩২। দাম্পত্য জীবন উপভোগ করে যতদিনে মা হওয়ার কথা ভাবেন তত দিনে প্রায় ৩৫-৩৬ এর কোঠায় পৌঁছে গিয়েছেন তিনি।
তবে বয়স বেড়ে গেলে সন্তানধারণের ক্ষেত্রে নানা সমস্যা দেখা যায়। সঙ্গে আধুনিক জীবনযাত্রা ও অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস সন্তানধারণে নানা সমস্যা তৈরি করতে পারে। বিশেষ করে বয়স বেড়ে গেলে সাধারণ সঙ্গমের মাধ্যমে সন্তান লাভ আরও কঠিন হয়ে ওঠে।
যদিও ইদানীং চিকিৎসা বিজ্ঞানের অগ্রগতির সঙ্গে সঙ্গে এই সমস্যার সমাধান হয়েছে কিছুটা। আইভিএফ বা ইন ভিট্রো ফার্টিলাইজেশন পদ্ধতির মাধ্যমে সন্তান সুখ লাভ করতে পারেন অনায়াসেই। তবে এই পদ্ধতি বেশ খরচ সাপেক্ষ। তার উপর নানা জটিলতা থাকলে আইভিএফ পদ্ধতি বেছে নিলেও সন্তান সুখ থেকে বিরত থাকতে হতে পারে। তাই এই পদ্ধতি বেছে নেওয়ার আগে কয়েকটি বিষয় মাথায় রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কোন কোন বিষয় মাথায় রাখবেন?
১। এই পদ্ধতিতে মহিলার শরীরে বিভিন্ন রকম হরমোন ইনজেক্ট করা হয়। ফলে শরীরে হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট হতে পারে। ফলে মেজাজ বিগড়ে যাওয়া, শরীরে ব্যথা-যন্ত্রণা, অস্বস্তির মতো নানা সমস্যা শুরু হয়। তাই এই পদ্ধতি মোটেই সহজ নয়। সেক্ষেত্রে আগে থেকেই মানসিক প্রস্তুতি প্রয়োজন।
২। মানসিক চাপ যে শুধু আইভিএফ পদ্ধতিতে সমস্যা তৈরি করতে পারে তাই নয়, আপনার শরীরে নানা রকম গোলমালের কারণও হতে পারে। তাই মানসিক চাপ কমানো অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। যোগা করা, ডায়েরি লেখা, ধ্যান করা, হাঁটা অনেক ভাবেই মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন। প্রয়োজনে কাউন্সিলরের সাহায্য নিতে পারেন।
৩। আইভিএফ প্রক্রিয়ায় ভ্রূণের সংখ্যাকে নিয়ন্ত্রণ করা হয়, তাই একের বেশি সন্তানের জন্মের সম্ভাবনা থাকে মাত্র ২০ শতাংশ। অনেকে মনে করেন, আইভিএফ পদ্ধতিতে একাধিক ভ্রূণ স্থানান্তরিত করা হলেই একাধিক সন্তানের জন্মের সম্ভাবনা বেড়ে যায়। এই ধারণা ভুল। বরং এতে ঝুঁকি বেড়ে যায়, গর্ভপাতের সম্ভাবনাও বেশি।