AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Vitamin D Side Effects: অতিরিক্ত ভিটামিন-ডি শরীরের জন্য বিষাক্ত! কেন জানেন?

Vitamin D- শরীর সুস্থ রাখতে এবং হাড় ও দাঁতের গঠন মজবুত করতে শরীরে ভিটামিন ডি এর প্রয়োজন। আজকাল অনেকেই ভিটামিন ডি জনিত সমস্যায় ভোগেন। তার জন্য সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে তবেই কিন্তু ওষুধ খান

Vitamin D Side Effects: অতিরিক্ত ভিটামিন-ডি শরীরের জন্য বিষাক্ত! কেন জানেন?
অতিরিক্ত ভিট্মিন ডি কিন্তু শরীরের জন্য বিষাক্ত
| Edited By: | Updated on: Dec 20, 2021 | 1:17 PM
Share

শরীর সুস্থ রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে ভিটামিন ডি। বিশেষত শরীরে দাঁত ও হাড়ের গঠনে সাহায্য করে এই ভিটামিন। শরীরে ভিটামিন ডি এর অভাব হলে নানা রকম সমস্যা হয়। আজকাল অনেকেই ভিটামিন ডি এর অভাব জনিত সমস্যায় ভুগছেন। বিশ্ব জুড়েই বাড়ছে এই সমস্যা। কারণ একটাই, দূষণ এবং রোদের অভাব। আগেকার দিনে মা ঠাকুমারা বাচ্চাদের পর্যাপ্ত সূর্যালোকে রাখতেন। ফলে সেখান থেকেই প্রাকৃতিক ভাবেই শরীরে ভিটামিন ডি তৈরি হত। কিন্তু সেই সুযোগ আজকের দিনে নেই। ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ খাবার যে কারণে ডায়েটে রাখতে বলেন বিশেষজ্ঞরা। এছাড়াও যাঁদের শরীরে ভিটামিন ডি খুবই কম তাঁদের আলাদা করে সাপ্লিমেন্ট খেতে হয়।

ভিটামিন ডি-এর অভাব জনিত কারণেই এখন বাড়ছে হাঁটুর সমস্যা। সেই সঙ্গে দাঁতও সহজেই ভেঙে যাচ্ছে। যে কারণে প্রায় সব চিকিৎসকেরাই ভিটামিন ডি খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন। তবে ভিটামিন-ডি এর ক্যাপসুল সপ্তাহে একটার বেশি খাওয়া কিন্তু একেবারেই ঠিক নয়। এই সাপ্লিমেন্টের নির্দিষ্ট মাত্রা থাকে। আর তাই তা চিকিৎসকের পরামর্শ মেনেই খান।

ভিটামিন ডি- সাপ্লিমেন্ট মোটেই শরীরের জন্য খারাপ নয়। কিন্তু যাঁদের নির্দিষ্ট কিছু সমস্যা রয়েছে তাঁদের জন্য অতিরিক্ত ভিটামিন ডি কিন্তু একেবারেই ভাল নয়। দ্য টাইমস অফ ইন্ডিয়ার একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী, অনেকেই জন্মগত ভাবে ভিটামিন ডি টক্সিসিটির (Vitamin D toxicity) শিকার। যা গ্রানুলোম্যাটাস ডিসওয়ার্ড হিসেবে পরিচিত। এছাড়াও অনেকের ভিটামিন ডি হজম করার ক্ষমতাও কম (deregulated vitamin D metabolism)। যা প্রভাব ফেলে মেটাবলিজমে। যেখান থেকে বাড়ে ক্যানসারের (lymphomas) সম্ভাবনা। কিন্তু কেন এই ভিটামিন ডি টক্সিসিটি দেখা যায়? এর কারণ হিসেবে উঠে আসছে ভুল ওষুধ। যদি রোগের ভুল চিকিৎসা হয়, ভুল ওষুধ খান, মাত্রাতিরিক্ত ওষুধ খান, এবং একটানা বেশি ডোজের ওষুধ খেলে এই সমস্যা কিন্তু বেশি হয়। যে কারণে ভিটামিন ডি চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া খাওয়াই উচিত নয়।

কিন্তু কী ভাবে বুঝবেন যে আপনি ভিটামিন অতিরিক্ত পরিমাণ ভিটামিন ডি ( Vitamin D) খেয়েছেন এবং সেই কারণেই এই সব পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় ভুগছেন

ভিটামিন ডি যদি মাত্রার থেকে বেশি পরিমাণে খাওয়া হয় তাহলে কিন্তু হাইপারভিটামিনোসিস দেখা যায়। আর অতিরিক্ত ভিটামিন ডি কিন্তু মানবদেহের জন্য একপ্রকার বিষ। রক্তে ভিটামিন ডি এর মাত্রা ১০০ ng/ml এর বেশি হওয়া ঠিক নয়।

আর তাই চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে এবং প্রেসক্রিপশনে উল্লিখিত ওষুধই নিয়ম কর খান প্রতিদিন।

অতিরিক্ত ভিটামিন ডি রক্তে ক্যালশিয়ামের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। যেখান থেকে পেটে ব্যথা, খিদে কমে যাওয়া, কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো নানা সমস্যা আসে।

শরীরে ভিটামিন ডি এর পরিমাণ বেড়ে গেলে তা সরাসরি কিডনিতে প্রভাব ফেলে। যেখান থেকে কিডনির কাজকর্মে ব্যাঘাত ঘটে। এমনকী কিডনি ফেলিয়রও হতে পারে।

ভিটামিন-ডি এর অভাব আজকাল খুবই সাধারণ ঘটনা। এর জন্য ডায়েটের দিকে বিশেষ নজর দিন। সেই সঙ্গে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। নিজের ডাক্তারিতে কিন্তু ওষুধ খাওয়া শুরু করবেন না।

আরও পড়ুন: Stomach cancers:হেঁশেলে মজুত থাকা এই সব মশলার গুণেই ভারতীয়রা তুলনায় কম ক্যানসারে আক্রান্ত হন! বলছে সমীক্ষা